পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও বাংলা একাডেমির চত্বরে কবি ও মুক্তিযোদ্ধা রফিক আজাদের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছে সর্বস্তরের মানুষ। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে রফিক আজাদের লাশ গতকাল সোমবার সকাল ১০টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেয়া হয়। সেখানে দুপুর সোয়া ১২টা পর্যন্ত তাকে রাখা হয়। এরপর তাকে নেয়া হয় বাংলা একাডেমির চত্বরে।
এ সময় রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের ব্যক্তিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, লেখক সৈয়দ শামসুল হক, কবি নুরুল হুদা, অ্যামিরেটস প্রফেসর আনিসুজ্জামান, চলচ্চিত্রকার নাসিরুদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, চিত্রশিল্পী হাশেম খান, কবি রশিদ হায়দার, কবি ওবায়েদ আকাশ, কবি শামীম রেজা, রফিক আজাদের বড় ভাই কবি নুরুল ইসলাম খান, রফিক আজাদের স্ত্রী দিলারা হাফিজ ও চার ছেলেসহ অন্যরা।
শ্রদ্ধা জানাতে এসে কবি নির্মলেন্দু গুণ বলেন, কবি রফিক আজাদ-এর জন্মস্থান টাঙ্গাইলে হলেও তার বড় ভাই নেত্রকোনার চাকরির সুবাদে সে জীবনের অনেক সময় নেত্রকোনায় থাকায় সে আমাদের সহচর হয়ে যায়। পরবর্তীতে ১৯৬৬ সালে তার সাথে ঢাকা হলে দেখা হয় । রফিক সেদিন নেত্রকোনার লোক বলে আলাদাভাবে আমাকে সমাদর করেছিল। নেত্রকোনার খোঁজখবরই আমাদের সেই দিনের গল্পের বিষয় ছিল।
এদিকে বাংলা একাডেমি চত্বরে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় উপস্থিত ছিলেন কবি রশীদ হায়দার, কবি আসাদ চৌধুরী, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতসহ আরও অনেকে। এসময় একাডেমির সভাপতি প্রফেসর আনিসুজ্জামান বলেন, রফিক আজাদ আমাদের উল্লেখযোগ্য কবিদের মধ্যে অন্যতম। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গণতান্ত্রিক ও অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশ নির্মাণ নিয়ে তার ধ্যান-ধারণা ছিল। সবচেয়ে বড় কথা রফিক আজাদ আমার ছাত্র ছিল। আর আমার সামনে তার চলে যাওয়াটা গভীর বেদনাদায়ক।
পরে দুপুর পৌনে ২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে এ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। অবশেষে কবির মরদেহ ধানমন্ডির বাসায় নেয়া হয়। সেখানে নামাজে জানাজা শেষে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হয়।
মৃত্যুকালে তিনি তিন ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। এর আগে তিনি গত ফেব্রুয়ারি থেকে ওই হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।