পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চালের বাজার কারসাজির মূল হোতা রশিদ ও লায়েককে গ্রেফতারের নির্দেশ
চালের বাজার কারসাজির মূল হোতা হিসেবে বাংলাদেশ রাইস মিল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুর রশিদ এবং সাধারণ সম্পাদক লায়েক আলীকে দায়ী করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তাদের দুইজনের চালের গুদামে অভিযান চালানো এবং গ্রেফতারের জন্য ডিসি ও পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
গতকাল রোববার সচিবালয়ে বাংলাদেশ অটো রাইস মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন নেতাদের সঙ্গে বৈঠককালে বাণিজ্যমন্ত্রী এই নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, অবৈধভাবে মজুদদারদের জন্য চালের দাম বাড়ছে। চালের অবৈধ মজুদ পেলেই মজুদকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, আমি সব জেলার ডিসিদের সঙ্গে কথা বলব। যেখানে চালের গুদাম আছে সেখানে অভিযান চালানো হবে। অবৈধ মজুদ রাখলে মিল মালিকদের তাৎক্ষণিক গ্রেফতার করা হবে। কারণ তারা সিন্ডিকেট করে বাজারে চাল সঙ্কট গুজব ছড়িয়েছে। সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে ষড়যন্ত্র করছে। এ সময় বাণিজ্যমন্ত্রী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক লায়েক আলীর গুদামেও অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দিয়ে বলেন, এটা আমাদের সিদ্ধান্ত ও নির্দেশ। চালের ইস্যুটি ধৈর্যের চরম সীমায় পৌঁছেছে। বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, আগামী মঙ্গলবার খাদ্য মন্ত্রণালয়ে সব মিল মালিক অ্যাসোসিয়েশন, আমদানিকারক অ্যাসোসিয়েশন, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে তিন মন্ত্রণালয়ের যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে যদি প্রমাণিত হয় আব্দুর রশিদ ও লায়েক আলীর অ্যাসোসিয়েশন চাল সঙ্কটের জন্য দায়ী তবে তাদের অ্যাসোসিয়েশনের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, বৈঠককালে বাণিজ্যমন্ত্রী মোবাইল ফোনে ওই দুই নেতার চালের গুদামে অভিযান চালানো ও গ্রেফতারের জন্য সংশ্লিষ্ট জেলার ডিসি ও এসপিকে নির্দেশ দেন। বৈঠকে চাল সঙ্কট কাটাতে দেশের কোথায় এবং কোন গুদামে চাল মজুদ আছে সে বিষয়টি জানতে চান বাণিজ্যমন্ত্রী। একপর্যায়ে বাংলাদেশ রাইস মিল অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ ও সাধারণ সম্পাদক লায়েক আলীর নাম উঠে আসে। তাদের মধ্যে আব্দুর রশিদের বাড়ি কুষ্টিয়ায়। কুষ্টিয়া ও নওগাঁয় তার চালের মিল ও গুদাম আছে। স¤প্রতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তার গুদামে অভিযান চালিয়ে অতিরিক্ত চাল মজুদের প্রমাণ পায়। এ সময় তাকে মাত্র ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। বিষয়টি জানতে পেরে বাণিজ্যমন্ত্রী তাৎক্ষণিকভাবে কুষ্টিয়ার এডিসি ও নওগাঁর ডিসি এবং দুই জেলার এসপির সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। এ সময় বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, রশিদের মতো লোকদের কোন আইনে মাত্র ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তিনি অতিরিক্ত চাল মজুদ করে যে অপরাধ করেছেন তাতে তাকে তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেফতার করা উচিত ছিল। এ মুহূর্তে আবারও তার গুদামে অভিযান চালান। সেখানে মজুদ করা অতিরিক্ত চাল ও ধান জব্দ করে তাকে গ্রেফতার করুন। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, একইভাবে আমি সব জেলার ডিসিদের সঙ্গে ফোনে কথা বলব। যেখানে যেখানে চালের গুদাম আছে সেখানে অভিযান চালানো হবে। অতিরিক্ত মজুদ রাখলে মিল মালিকদের তাৎক্ষণিক গ্রেফতার করা হবে। কারণ তারা সিন্ডিকেট করে বাজারে চাল সঙ্কটের গুজব ছড়িয়েছে। তারাই সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে ষড়যন্ত্র করছে। এ সময় খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, বাণিজ্য সচিব শুভাশীষ বসু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।