পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
![img_img-1719393730](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678437663_IMG-20230310-WA0005.jpg)
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মিয়ানমানের প্রস্তাবে রাজি হয়নি খাদ্য মন্ত্রণালয়
বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ার খোলা বাজারে বিক্রির (ওএমএস) চালের দাম ১৫ টাকা বাড়িয়ে ৩০ টাকা করেছে সরকার। খোলাবাজারে বিক্রির (ওএমএস) চালের দাম দ্বিগুণ করা হচ্ছে। গতকাল রোববার থেকে সারা দেশে ওএমএস চালু হওয়ার কথা থাকলেও সব দেশের কোথাও চালু হয়নি। রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভাগীয় ও জেলা শহরগুলোতে একযোগে এ কর্মসূচি চালু হবে। এই কর্মসূচিতে চালের মূল্য আগের চেয়ে দ্বিগুণ করা হয়েছে। আগে ওএমএসের চাল ছিল ১৫ টাকা কেজি। এখন তা দ্বিগুণ বাড়িয়ে ৩০ টাকা করা হয়েছে।
খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দুই লাখ টন চাল মিয়ানমার থেকে আমদানি করবে বাংলাদেশে। এ লক্ষ্যে গতকাল সচিবালয়ে মিয়ানমানের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে খাদ্য সচিবের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের পর দুই পক্ষ থেকে কিছুই বলা হয়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক অতিরিক্ত সচিব জানান, দুই লাখ টন চাল মিয়ানমার থেকে আমদানি করবে বাংলাদেশ। চাল আমদানির চুক্তির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।তবে মিয়ানমানের একটি প্রতিনিধি দলের প্রস্তাবে রাজি হয়নি খাদ্য মন্ত্রণালয়।
গতকাল রোববার খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ইনকিলাবকে বলেন বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই দাম বাড়ানো হয়েছে। বাজারে যখন চালের দাম ৩০ টাকা ছিল তখন ওএমএসের চালের দাম ১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন বাজারে চালের দাম ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। তাই এখন আগের দাম রাখা যুক্তিসঙ্গত নয়। মন্ত্রী বলেন, এখন যদি আগের দামই রাখি তাহলে কালোবাজারি হওয়ার শঙ্কা থাকে। তাই যাতে কালোবাজারি না হয়, চালটা যেন সঠিকভাবে বিক্রি হয় সে জন্যই ওএমসের চালের দাম বাড়ানো হয়েছে। তিনি বলেন, গতকাল থেকে সারা দেশে ওএমএস চালু হওয়ার কথা থাকলেও সব জায়গায় চালু হয়নি। আশা করছি দুই-এক দিনের মধ্যে সব জায়গায় ওএমএস চালু হবে।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে সারা দেশে ওএমএসের চাল বিক্রি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। বাজারে চালের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণে কষ্টে আছে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মানুষ। দাম বাড়ার পর থেকে শুল্ক কমিয়ে বেসরকারিভাবে চাল আমদানি, সরকারিভাবে বিভিন্ন দেশ থেকে চাল কেনাসহ সরকারের নানা উদ্যোগের পরেও বাজারে এর খুব একটা প্রভাব পড়েনি। দরিদ্র মানুষের নাগালের মধ্যে আসছে না চালের দাম। বাজারে চালের দাম অসহনীয় পর্যায়ে গেলে নিন্ম আয়ের মানুষকে একটু স্বস্তি দিতে ওএমএসের চাল বিক্রি করে সরকার। কিন্তু সরকারি খাদ্যশস্যের মজুদ সংকট দেখা দেয়ায় গত জুলাই থেকে হাওর অঞ্চলের তিন জেলা ছাড়া সারা দেশে ওএমএসের চাল বিক্রি বন্ধ রয়েছে। রাজধানীতে বিক্রি বন্ধ হয়েছে আরও আগে। তাই এখন চালের দাম নিয়ে অস্বস্তি সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে। ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, খুচরা বাজারে মোটা চালের দাম কেজিপ্রতি ৪৮ থেকে ৫২ টাকা। কয়েক মাস আগেও তা ছিল ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। ভারত বাংলাদেশে আর চাল রফতানি করবে না- এমন গুজবে অসাধু ব্যবসায়ীরা চালের দাম কেজিপ্রতি প্রায় ১০ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে। ফলে চালের দাম হু হু করে বাড়তে থাকে।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, ওএমএসে আগের মতোই ১৫ টাকা কেজিতে চাল এবং ১৭ টাকা কেজিতে আটা বিতরণ করা হবে। কিন্তু এই কর্মসূচি চালুর দিন দ্বিগুণ দামে চাল বিক্রি করছে সরকার। রোববার থেকে খোলাবাজারে চাল বিক্রি শুরু হবে। এ সময় তিনি বলেন, হাওরে বন্যা, ঘূর্ণিঝড় মোরা, পাহাড় ধস, ২০ জেলার বন্যা এবং বোরো ফসলে বাস্ট রোগের আক্রমণের কারণে চলতি বোরো মৌসুমে ২০ লাখ টন ফসল কম হয়েছে। এসব কারণে সরকার অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেনি। এ সুযোগে অসাধু ব্যবসায়ীরা চাল নিয়ে চালবাজি ও রাজনীতি শুরু করেছে।
খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. বদরুল হাসান ইনকিলাবকে বলেন, আগে ওএমএসের চালের দাম ২৪ টাকা থেকে কমিয়ে ১৫ টাকায় করা হয়। অনেক দিন হয়ে গেছে, চালের দামও বেড়েছে, আগের দাম রাখলে তোৃ। (চালের দামে) আকাশ-পাতাল পার্থক্য তো রাখা যায় না। বেশি পার্থক্য থাকলে লিকেজের সম্ভাবনা রেড়ে যায়, নানান রকমের সমস্যা হয়। গতকাল রোববার থেকে সারা দেশে ওএমএস চালু হওয়ার কথা থাকলেও সব জায়গায় চালু হয়নি। বদরুল হাসান বলেন, আশা করছি দুই-এক দিনের মধ্যে সব জায়গায় ওএমএস চালু হবে। ৬২৭টি ট্রাক থেকে ওএমএসের চাল ও আটা বিক্রি করা হবে। ঢাকা মহানগরীতে ১২০টি ট্রাকে করে চাল ও আটা বিক্রি করা হবে, প্রতি ট্রাক থেকে দুই টন আটা ও এক টন চাল বিক্রি করা হবে। ঢাকার বাইরে বিক্রি হবে শুধু চাল। ওএমএসের প্রতি কেজি চালের গুদাম মূল্য সাড়ে ২৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।