পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমানদের নির্বিচারে হত্যার প্রতিবাদে গতকাল নারায়ণগঞ্জের বন্দরে তৌহিদী জনতার উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় বন্দর শাহী মসজিদ ও ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে এ সমাবেশে ধর্মপ্রান মুসল্লীরা দলে দলে রোহিঙ্গা মুসলমান নির্যাতনের প্রতিবাদ মুখর মিছিল নিয়ে বন্দরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষীণ করে শাহী মসজিদ ফাজিল মাদ্রাসা মাঠে বিশাল সমাবেশ স্থলে এসে মিলিত হয়। বন্দর শাহী মসজিদ মসজিদের পেশ ঈমাম ও খতিব হযরত মাওলানা মুফতি বায়েজিত আহমেদের সভাপতিত্বে সমাবেশে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হান্নান সরকার, ২২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুলতান আহমেদ ভূইয়া, বন্দর থানা ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি নুর হোসেন, বন্দর কলাবাগ জামে মসজিদের পেশ ঈমাম ও খতিব রিয়াজুল হক মজুমদার, বন্দর থানা ওলামা পরিষদের সভাপতি হযরত মাওলানা মুফতি কবির হোসেন, বন্দর ফাজিল মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপাল শহিদুল হক, বাইতুল ফালাহ মহিলা মাদ্রাসার মুহতামিম হযরত শাহজালাল, কাজী বাড়ি জামে মসজিদের ঈমাম ও খতিব মাওলানা মুফতি উমায়ের আল-হোসাইন, রাজবাড়ী জামে মসজিদের ঈমাম ও খতিব মাওলানা কামরুল ইসলাম, বন্দর বাজার জামে মসজিদের ঈমাম ও খতিব মাওলানা ফারুকী, প্রধান বাড়ি জামে মসজিদের ঈমাম ও খতিব মাওলানা ইয়াসিন মাহমুদী, ছালেনগর জামে মসজিদের ঈমাম ও খতিব মাওলানা আল আমিন, আদমপুর জামে মসজিদের ঈমাম ও খতিব মাওলানা জহিরুল ইসলাম, জামাইপাড়া জামে মসজিদের ঈমাম ও খতিব মাওলানা মামুন, নুরবাগ জামে মসজিদের ঈমাম ও খতিব মাওলানা আবু সাঈদ, বাইতুল ফালাহ মহিলা মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা মুফতি মুসলেউদ্দিনসহ বন্দরের হাজার হাজার তৌহিদী জনতা ও মুসল্লীবৃন্দ। সভাপতির বক্তব্যে মুফতি বায়েজিত বলেন, বাংলাদেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের সুযোগ দেয়ার চেয়ে আর্ন্তজাতিকভাবে চাপ প্রয়োগ করে মিয়ানমার সরকারকে পূর্ণবাসনের বাধ্য করা জরুরি। তিনি বলেন বছরের পর বছর মিয়ানমারের জালিম সন্ত্রাসী সরকার প্রধান অং শান সূ চি নিরিহ রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর নির্বিচারে গনহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে অথচ জাতিসংঘ উল্লেখযোগ্য কোন ভূমিকাই নিচ্ছে না। মিয়ানমারের মত একটি ক্ষুদ্র দেশ এভাবে অযাচিতভাবে অমানবিকতা করে যাবে আর বিশ্ব মানবতা হাত গুটিয়ে বসে থাকবে এটা কখনোই মেনে নেয়া যাবে না। অনতিবিলম্বে মিয়ানমারের এই সন্ত্রাসী হত্যাযজ্ঞ বন্দ করুন ও নিরিহ মুসলমানদের নিজ দেশে স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ করে দেন, নচেৎ আপনারা জাতিসংঘ ভেঙ্গে দিন। আমাদের মুসলিম ভাই রোহিঙ্গাদেও যদি আর একটি আঘাত করা হয় তবে বাংলার তৌহিদী জনতা মোটেও ঘরে বসে থাকবে না। আল্লাহ হু-আকবর বলে জিহাদ করা মুসলমানদের অভ্যাস পূর্বেকার। বিধর্মী কর্তৃক মুসলমানদের উপড় আর কোন অন্যায় অত্যাচার সহ্য করা হবে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।