পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মেট্টোরেলের পাশাপাশি বাংলাদেশ রেলওয়েতে বৈদ্যুতিক ট্রেন সার্ভিস চালু করবে সরকার। নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকা হয়ে চট্টগ্রাম পর্যন্ত ইলেকট্রিক ট্রাকশন (ওভারহেড ক্যাটেনারি ও সাবস্টেশন নির্মাণসহ) প্রবর্তনের জন্য একটি সমীক্ষা প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে প্রেরণ করা হয়েছে।
সমীক্ষা কার্যক্রম সম্পাদন শেষে সমীক্ষা প্রতিবেদনের আলোকে নারায়ণগঞ্জ হতে ঢাকা হয়ে জয়দেবপুর পর্যন্ত ইলেকট্রিক ট্রেন সার্ভিস চালুর বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে রেলপথ মন্ত্রী মুজিবুল হক। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে এসংক্রান্ত প্রশ্নটি উত্থাপন করেন সরকার দলীয় সংসদ সদস্য দিদারুল আলম। জবাবে মন্ত্রী আরো জানান, পর্যায়ক্রমে বৈদ্যুতিক ট্রেন চালুর অংশ হিসেবে গাজীপুর-নারায়ণগঞ্জ বৈদ্যুতিক ট্রেন প্রথম চালু করা হবে। এবিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করেছেন।
অপর এক সম্পুরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত আমলে রেলপথ ছিল সম্পূর্ণ অবহেলিত, ধ্বংসপ্রাপ্ত। বর্তমান সরকারের আমলে রেলপথের আমূল পরিবর্তন হয়েছে, অনেক দূর এগিয়েছে। ট্রেন এখন অনেক গতি পেয়েছে। রেলওয়ের আরও উন্নতি করতে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের কোন জেলা রেলওয়ের নেটওয়ার্কের বাইরে থাকবে না।
জাসদের সংসদ সদস্য মঈন উদ্দিন খান বাদলের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে রেলপথ মন্ত্রী জানান, দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু থেকে গুনদুম পর্যন্ত রেল প্রকল্পটি প্রধান মন্ত্রীর নির্দেশে ‘ফাস্ট ট্রাক’ বা অগ্রাধীকার মূলক প্রকল্পের আওতাধীন। আগামী ২ মাসের মধ্যে এ প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার রেল চালু হবে।
এরআগে প্রশ্ন উত্থাপনকালে ক্ষোভ প্রকাশ করে ওই সংসদ সদস্য বলেন, এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে হলে চট্টগ্রাম থেকে চারটি নদী পার হতে হবে। তার মধ্যে আছে কর্ণফুলী নদীর উপরে কালুখালি ব্রিজ তার অগ্রগতি নেই। তিনি প্রকল্পের অর্থায়ন নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেন।
উত্তরে রেলমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম থেকে দোহাজারী পর্যন্ত রেল লাইন রয়েছে। আমরা এ প্রকল্পে দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার ও রামু থেকে মিয়ানমার সীমান্তে গুনদুম পর্যন্ত রেল পথ নির্মানের জন্য টেন্ডারসহ সব কাজ শেষ হয়েছে। অর্থায়নও নিশ্চিত হয়েছে। তিনি আরো বলেন, কালুখালী ব্রিজটির জন্য এক হাজার ২০০ কোটি টাকা প্রয়োজন। এ প্রকল্পের জন্য কোরিয়া অর্থায়ন করবে। তাদের সঙ্গে এমওডি (মিনিউটস অব ডিসকারশন) সম্পন্ন হয়েছে। দ্রæতই কোরিয়ান প্রতিনিধিরা বাংলাদেশে এসে ইআরডির সঙ্গে বৈঠক করবে। এরপর তারা চুক্তির জন্য সম্মত হলে আমরা কার্যক্রম শুরু করতে পারবো।
সরকার দলীয় সদস্য ফরিদুল হক খানের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, ২ হাজার ৮৭৭ কিলোমিটার রেলপথ রক্ষণাবেক্ষণে একটি নির্দিষ্ট দূরত্বের রেলপথের জন্য একটি করে টিম রয়েছে, যা গ্যাং নামে পরিচিত। এই গ্যাংসমূহ প্রতিনিয়ত রেলপথ পর্যবেক্ষণ করে থাকেন। তিনি আরো জানান, রেলওয়েতে অরক্ষিত রেলপথ নেই। তবে সাধারণ জনগণ ও যানবাহন অসতর্কভাবে রেল লাইন পারাপারের ফলে কোন কোন সময় দূর্ঘটনা ঘটে।
আওয়ামী লীগের আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী মুজিবুল হক জানান, রেলওয়ে একটি সেবামূলক সংস্থা। দেশের আপামর জনসাধারণকে স্বল্পমূল্যে নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যমূলক পরিবহণ সেবা প্রদানে নিশ্চিত করতে কাজ চলছে। দেশের ৪৪ জেলা রেলওয়ের নেটওয়ার্কের আওতাভ‚ক্ত। অবশিষ্ট জেলাগুলোকে এই নেটওয়ার্কের আওতায় আনতে প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে।
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, বর্তমান সরকার গত ৮ বছরে ১ হাজার ৯১ কিলোমিটার রেলপথ পুনর্বাসন, ২৪৩ কিলোমিটার নতুন রেলপথ নির্মাণ এবং ২৪৯ কিলোমিটার মিটারগেজ রেললাইনকে ডুয়েলগেজ লাইনে রূপান্তর করেছে। এছাড়া তারাকান্দি হতে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব পর্যন্ত ৩৫ কিলোমিটার নতুন রেললাইন স্থাপনের কাজ সমাপ্ত হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।