পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : প্রধানমন্ত্রীকে ‘রাজার ক্ষমতা’ দিতেই তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এবিএম খাইরুল হক অবসরের পরে রায় লিখে সংবিধান পরিপন্থি কাজ করেছেন বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। গতকাল সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, বিচারপতি খায়রুল হক (সাবেক প্রধান বিচারপতি) অবসর গ্রহণের পর বির্তকিত রায় লিখেছেন এবং স্বাক্ষর করেছেন। কীসের জন্য? শুধমাত্র একটা লোভের কারণে। তিনি চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা নিয়েছেন এবং আইন কমিশনের চেয়ারম্যান হয়েছেন। প্রধান বিচারপতি রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ বড় পদ। তিনি (খায়রুল হক) সেখান থেকে ডিমোশন হয়ে একটা চাকরি করার জন্য আইন কমিশনের চেয়ারম্যান হয়েছেন।
একারণেই খায়রুল হক দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা এবং ভোটার রাইটস ‘আমি আমার খুশি মতো ভোট দেবো’- এই অধিকার বন্ধ করেছেন। অর্থাৎ বিচারপতি খায়রুল হক প্রধানমন্ত্রীকে রাজার মতো ক্ষমতা দিয়েছেন পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে।
নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সকালে এই সংবাদ সম্মেলন হয়।
সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের কর্মকা-ের কঠোর সমালোচনা করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে ১৯৭৫ সালের একদলীয় দুঃশাসনে ব্যর্থ বাকশালের ফেলে যাওয়া জুতা পুনরায় আওয়ামী লীগে শাসকদলের পায়ে গলিয়ে দিতে সাহায্য করেছিলেন বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক। এটা ছিলো আবারো নিষ্ঠুর নির্দয় গণতন্ত্র ধ্বংসকারী একদলীয় শাসন কায়েম করার জন্য উচ্চ পর্যায়ের ষড়যন্ত্রের উলঙ্গরূপ। যেটি আবারো গত পরশু দিন জনগণের কাছে স্পষ্ঠভাবে জানিয়ে দিয়েছেন মাননীয় প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা তার বক্তব্যে। এটা নির্লজ্জ, এটা ঘৃণার। এই ধরনের দৃষ্টান্ত পৃথিবীর কোনো মান্যবর ন্যায় বিচার সম্পন্ন কোন বিচার করতে পারেননি, সেটা খায়রুল হক করেছেন। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
ব্রাক্ষণবাড়ীয়ায় মাদরাসা ছাত্র নিহত হওয়ার ঘটনায় আওয়ামী লীগকে অভিযুক্ত করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ও পুলিশের যৌথ আক্রমনে একজন ছাত্র নিহত ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির মারাত্মক অবণতি ঘটে। যা জেলার জনসাধারণ জানেন। অথচ ওই ঘটনায় বিএনপির জেলা সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ৪৪ জনের বিরুদ্ধে উল্টো মামলা করেছে।
মাদরাসা ঘটনার সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীরা বিন্দুমাত্র জড়িত নয়। অথচ স্থানীয় প্রশাসন ও শাসকগোষ্টি মামলা ও গ্রেফতারের মাধ্যমে আমাদের নেতা-কর্মীদের ভয়ানকভাবে হয়রানি করছে। মূলত ব্রাক্ষণবাড়ীয় এখন বিএনপি নিধন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, যেদিন ৪৪ জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দেয়া হয়েছে, তারা ৭৭দিন কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর সেদিনই তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হলো। সরকারি জুলুমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার জন্য জেলা নেতাদের ব্রাক্ষনবাড়ীয়ায় সংবাদ সম্মেলন পর্যন্ত করতে দেয়নি। ফলে আজ জেলা নেতারা এখানে এসেছেন।
সরকার গণতন্ত্রকে নিখোঁজ করেছেন, গুম করেছেন, এর একটি বড় উদাহরণ ব্রাক্ষনবাড়ীয়ায় ষড়যন্ত্রমূলক মামলা ও নেতা-কর্মীদের ওপর হয়রানির এই ঘটনা। আমরা ব্রাক্ষনবাড়ীয়া জেলার সরকারের দমননীতিতে উদ্ভুত ঘটনা ও মিথ্যা মামলা দায়েরের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অবিলম্বে জেলা নেতাদের ওপর মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান রিজভী।
একই সঙ্গে বুধবার রাজশাহীর তানোর পৌর সভার নির্বাচিত মেয়র মিজানুর রহমানকে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানস্থল থেকে গ্রেফতারের নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে তার মুক্তির দাবিও জানান তিনি।
মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে কোনো মামলা ছিলো না। তারপরও তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনা প্রমাণ করে সরকার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় টিকে থাকতে ও প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে বরাবরের মতোই বাঁকা পথে হাটা অব্যাহত রেখেছে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে ফজলুল হক মিলন, খায়রুল কবির খোকন, নাজিম উদ্দিন আলম, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিবুর রহমান হাবিব, আব্দুুস সালাম আজাদ, রফিক শিকদার, ব্রাক্ষণবাড়ীয়া জেলা সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকনসহ জেলা নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।