পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মানববর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মসূচির আওতায় নিয়মিত নিরাপদ সেপটিক ট্যাংক বা পিট পরিষ্কার প্রচারাভিযান সফল করার লক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় খুলনা প্রেস ক্লাবের শহীদ হুমায়ুন কবীর বালু মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সিটি মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান। ব্যাপক প্রচার প্রচারণার মাধ্যমে প্রকল্পের গৃহীত কার্যক্রম সম্পর্কে নগরবাসীকে অবহিত করার লক্ষ্যেই এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সিটি মেয়র উপস্থিত সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, নগরীর পরিবেশ স্বাস্থ্যসম্মত রাখার ক্ষেত্রে দাতাসংস্থার সহযোগিতায় ২০১৪ সালের জানুয়ারি থেকে মানববর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়। একই বছরে ৩০ মার্চ বিল এন্ড মিলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের পরিচালক ব্রায়ান আরবোগাস্ট-এর উপস্থিতিতে প্রকল্পের শুভ সূচনা করা হয়। অপেক্ষাকৃত উন্নত মানববর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা এবং নগরবাসীর সেপটিক ট্যাংক নিয়মিত ও স্বাস্থ্যসম্মতভাবে পরিষ্কার করার বিষয়ে আচরণগত পরিবর্তন আনাই এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য বলে তিনি উল্লেখ করেন।
উল্লেখ্য, মানববর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মসূচি (এফএসএম) দেশের দক্ষিণাঞ্চলের শহর কেন্দ্রিক দরিদ্রবান্ধব বাজারমুখী পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থাপনার সমাধানে কাজ করে যাচ্ছে। বিল এন্ড মিলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে এসএনভি নেদারল্যান্ডস ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের কারিগরি সহায়তায় খুলনা সিটি কর্পোরেশনের নেতৃত্বে মানববর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মসূচি খুলনা শহরে বাস্তবায়িত হচ্ছে। বাংলাদেশ স্যানিটেশন কর্মকাÐে অনেক এগিয়ে গেলেও মানববর্জ্য ব্যবস্থাপনায় পিছিয়ে আছে। ফলে প্রায় শতভাগ পাকা পায়খানা ব্যবহারের পরেও খোলা স্থানে মলত্যাগ করার মতোই পরিবেশ দূষণ হচ্ছে এবং আমাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়ে যাচ্ছে। স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে মল অপসারণের জন্য ছোট-বড় মিলিয়ে ৫টি ভ্যাকুট্যাগ এবং এর সাথে সংশ্লিষ্টদের মানববর্জ্য ব্যবস্থাপনার ওপর প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। যেহেতু অনেক সম্মানিত নাগরিকগণ এ কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত নন সেহেতু বিষয়টি ব্যাপক প্রচারনার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।
সিটি মেয়র আরো বলেন, আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে মহানগরী জুড়ে এ বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে ২ মাস ব্যাপী প্রচারাভিযান কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে। কার্যক্রম সফল করার লক্ষ্যে ভ্যাকুট্যাগসহ র্যালী, ক্যাম্পেইন লোগো উম্মোচন, সংক্ষিপ্ত আলোচনা, পটের গান, পথনাটকসহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও সচেতনতামূলক ভিডিও প্রদর্শন করা হবে। সিটি মেয়র প্রচারাভিযান সফল করতে প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিটি মেয়র বলেন, কেসিসিসহ কয়েকটি শহরের মানববর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মসূচির ফলাফলের ভিত্তিতে বাংলাদেশ সরকার ২০১৪ সালে জাতীয় স্যানিটেশন নীতিমালায় মানববর্জ্য ব্যবস্থাপনা অন্তর্র্ভুক্ত করে। এছাড়াও সম্প্রতি সরকার কর্তৃক ইন্সটিটিউশনাল রেগুলেটরি ফ্রেমওয়ার্ক অনুমোদন করেছেন। ভবন নির্মাণের অনুমোদন প্রাপ্তির জন্য সেপটিক ট্যাংক ডিজাইন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। নীতিমালার আলোকে খুলনা নগরীর মানববর্জ্য ব্যবস্থাপনার একটি মডেল টাউন হিসেবে তৈরি করার জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
আশা করা যায় মানববর্জ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন শহরের জন্য খুলনা অনুকরণীয় হবে। কেসিসি’র কাউন্সিলর কে এম হুমায়ুন কবীর, মোঃ ফারুক হিল্টন, শেখ ইউনুস আলী সরদার, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর সাহিদা বেগম, খুলনা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সুবীর কুমার রায়, কেসিসি ও এসএনভি’র কর্মকর্তাসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।