Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

এসএমইতে ১৬শ’ কোটি টাকা দেবে এডিবি

প্রকাশের সময় : ২২ জানুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতে ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা (২০ কোটি ডলার) ঋণ দেবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। গ্রামীণ এসএমই খাতে এই অর্থ ব্যবহার করা যাবে। এতে অগ্রাধিকার পাবে গ্রামীণ নারী উদ্যোক্তারা। এ ঋণের সাথে শর্ত হিসাবে ১৫ ভাগ ২৪০ কোটি টাকা নারী উেেদ্দাক্তাদের পেছনে ব্যয় করতে হবে। বৃহস্পতিবার এডিবির বোর্ড সভায় এ ঋণ অনুমোদন পায়।
ইআরডি সূত্রে জানা যায়, ঋণের পুরো অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে হস্তান্তর করা হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এসএমই অ্যান্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস বিভাগ বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তা এসএমইর মাঝারি ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের মধ্যে বিতরণ করা হবে। এর আগে এসএমই খাতে ২০ কোটি ডলারের ঋণের সম্মতি জানায় এডিবি। এ ঋণ কার্যক্রম চূড়ান্ত ২৬ অক্টোবর ইআরডি ও এডিবির মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
আগের দফায় ২০১৩ সালে শেষ হওয়া এক কর্মসূচিতে এডিবি ৭ কোটি ৬০ লাখ ডলার ঋণ দিয়েছিল। ঋণ হিসেবে পাওয়া ৭ কোটি ৬০ লাখ ডলার প্রায় ৩০টি ব্যাংক ও ১৯ আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিতরণ করেছিল। এছাড়া সব তফসিলি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ৫ শতাংশ সুদহারে (ব্যাংক রেটে) এ ঋণ সুবিধা নেয়ার সুযোগ ছিল। নতুন করে যে চুক্তি হতে যাচ্ছে, সেখানেও এমন সুযোগ থাকতে পারে। ওই কার্যক্রমের স¤প্রসারিত রূপ হিসেবে আরেক দফা ২০ কোটি ডলার ঋণ দিতে রাজি হয়েছিল এডিবি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, ২০১৪ সালে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ১১ হাজার ৮৭৯ কোটি টাকার বেশি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। শতকরা হিসেবে যা ১৩ দশমিক ৩৪ ভাগ।
চাহিদা বৃদ্ধির পাশাপাশি এসএমই খাতে বিতরণ করা ঋণ আদায় ভালো হওয়ায় ব্যাংকগুলো এখন এ খাতে বেশি জোর দিচ্ছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকও ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পখাতে অর্থায়নকে গুরুত্ব দেয়ায় ব্যাংকগুলো এখাতে মনোযোগী হয়েছে। ২০১৪ সালে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো এসএমই খাতে বিতরণ করে ১ লাখ ৯১০ কোটি টাকার ঋণ, আগের বছরের তুলনায় যা ১৫ হাজার ৫৮৭ কোটি টাকা বা ১৮ দশমিক ২৭ শতাংশ বেশি।
স¤প্রতি এডিবি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, এশিয়ার নিবন্ধনকৃত ফার্মের ৯৬ শতাংশই এসএমই এবং শ্রম শক্তির ৬২ শতাংশই কর্মচারী। তারা অর্থনীতিতে মাত্র ৪২ শতাংশ অবদান রাখে। এ কারণে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তাদের আর্থিক সহায়তা দেয়া প্রয়োজন বলে এ দাতা সংস্থাটি মনে করে।
প্রতিবেদনে অরো উল্লেখ করা হয়, এশিয়ায় লক্ষাধিক ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প কল-কারখানা আছে। তবে এগুলোর মধ্যে খুব স্বল্প সংখ্যক এসএমই অগ্রগতি অর্জন করতে সক্ষম হয়। এ সব শিল্প-কল কারখানা বিশ্বব্যাপী পণ্য সরবরাহের চেইনের অংশ হতে পারে। এ জন্য এসব প্রতিষ্ঠানের মূলধন আরো বাড়ানো প্রয়োজন এবং বিভিন্ন আর্থিক চ্যানেলে প্রবেশের সুযোগ থাকা উচিৎ বলে মনে করে এশিয়ার এ সংস্থাটি। এর ফলে এডিবি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের ওপর গুরুত্বারোপ করে এসএমই খাতে ঋণ স¤প্রসারণের উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানান ইআরডি কর্মকর্তারা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: এসএমইতে ১৬শ’ কোটি টাকা দেবে এডিবি
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ