পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ৮০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া কোনো ঘটনাই না বলে মন্তব্য করেছেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমেদ। তিনি বলেন, আমি যেটা বলছি তা হলো, এটা কোনো বিষয় না। কয় টাকা গিয়েছে? ২৮ বিলিয়নই নিতে পারত না? ওটাতো নেয় নাই। তার মানে অত বড় চোর নয়, ছেঁচড়া চোর।
রোববার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁয়ে এক অনুষ্ঠান শেষে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন। বাংলাদেশ ট্রেড পোর্টাল ওয়েবসাইট উদ্বোধন উপলক্ষে অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার কারণে আর্থিক খাতে কী ধরনের প্রভাব পড়তে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে মাতলুব বলেন, বুঝতে হবে কতগুলো টাকা চুরি হয়েছে। আজ যদি সবার টাকা নিয়ে যেত, যদি ২৮ বিলিয়ন (২ হাজার ৮০০ কোটি) ডলারের মধ্যে ২৮ বিলিয়ন ডলারই নিয়ে যেত, তাহলে বুঝতাম আর্থিক খাতে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
তিনি বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু হয়ে গেছে। এমনও হতে পারে এখান থেকে কেউ কোড দিয়ে দিয়েছে। এখন তদন্ত চলছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সব কম্পিউটারে ভারতের এক ব্যক্তির সফটওয়্যার ব্যবহার করা হচ্ছে। এটি কি ঝুঁকিপূর্ণ কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সফটওয়্যার একটি পার্ট মাত্র। কোড নম্বরটিই মূল। তোমার কোড নম্বর যদি বন্ধুকে দিয়ে দাও, সে খুলতে পারবে। এখন এই কোড নম্বর ভাঙার জন্য অনেকে বসে আছে। এরা হ্যাকার। এই হ্যাকারদের থামানোর জন্য ফায়ারওয়ালের অনেকগুলা যন্ত্রপাতি রয়েছে। কেউ চেষ্টা করলেও হ্যাক করতে পারবে না। ওই সিস্টেমে আমাদের যেতে হবে। এখন এই দুর্ঘটনাটি বাংলাদেশ ব্যাংকে হওয়ার কারণে দেশব্যাপী সব ব্যাংকের পলিসি, সিকিউরিটি জোরদার হবে। ফলে ভবিষ্যতে আমাদের অনেক উপকার হবে।
এরপর এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, আমি নিশ্চিত এটি আমাদের শাপেবর হবে। এখন এই দুর্ঘটনা ঘটার কারণে আমার সবাই অ্যালার্ট (সতর্ক) হয়ে গিয়েছি। দেশব্যাপী অ্যালার্ট হয়ে গেছে। এখন এটিএম বুথে যাওয়ার সময় তিনবার চিন্তা করব। আগে খোলা বুথে ঢুকে টাকা তুলে নিয়ে আসতেন, এখন আর তা করবেন না। লুকায়ে-ঝুকায়ে করবেন।
এর আগে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ আমদানি-রফতানি-সংক্রান্ত তথ্য প্রাপ্তি সহজীকরণে বাংলাদেশ ট্রেড পোর্টাল নামে নতুন ওয়েবসাইট উদ্বোধন করেন। এটি সরকারি উদ্যোগে ব্যবসা-বাণিজ্য তথ্য প্রদানের উদ্দেশ্যে তৈরি প্রথম ওয়েবসাইট। বাংলা ও ইংরেজি মাধ্যমে ওয়েবসাইটটিতে তথ্য পাওয়া যাবে।
ওয়েবসাইটি তদারকির বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, শিগগির এফবিসিসিআইয়ের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সইয়ের মাধ্যমে ওয়েবসাইটের যাত্রা শুরু হবে।
এর আগে এফবিসিসিআই সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমেদ বলেন, সরকার চাইলে ওয়েবসাইটির দেখভাল করার সব ধরনের দায়িত্বে এফবিসিসিআই নিতে পারে। এর উত্তরেই এফবিসিসিআিইয়ের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সইয়ের কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন―বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়ার সচিব হেদায়েত উল্লাহ আল মামুন, প্রশাসনিক সচিব কাজী সালাউদ্দিন আকবর প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।