Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শাহজালালে নিরাপত্তা জোরদার

প্রকাশের সময় : ১৪ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো জোরদার করা হচ্ছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা তদারকি করতে মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এবং সচিব খোরশেদ আলম চোধুরী গতকাল সকালে বিমানবন্দর যান। পরে তাঁরা সেখানে নিরাপত্তা তল্লাশি বোর্ডিং পাস ও বোর্ডিং ব্রিজ এলাকা ও বিমানবন্দরের ক্যানোপী এলাকা পরিদর্শন করেন। এসময় সিভিল এভিয়েশনের নিরাপত্তা সদস্যদের ব্যাপক তৎপর থাকতে দেখা গেছে।
সূত্র জানায়, ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা দুই দফায় শাহজালাল বিমানবন্দর পরিদর্শন শেষে বিমানবন্দরের নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার তাগিদ দেয়া হয়। ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা আগামী ৩১ মাচ ডেটলাইন নির্ধারণ করে দেয়। সে অনুযায়ী বেসামরিক বিমান মন্ত্রণালয়ের নিদেশে শাহজালাল বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর কাজে হাত দেয় সিএএবি প্রশাসন। মন্ত্রণালয়ের নিদেশে বিমানবন্দরে এভিয়েশন ফোস নামে এক নিরাপত্তা বাহিনী গড়ে তোলার প্রস্তাব নিয়ে সিএএবির প্রশাসন কাজ করছে। ইতিমধ্যেই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী বিভিন্ন বাহিনী থেকে বাছাইকৃত প্রতি শিফটে ৬০ জন করে তিন শিফটে প্রায় ২৫০ জন এভিয়েশন ফোস ডিউটি করছে। অরো সাড়ে ৫ হাজার ফোর্স নিয়োগের জন্য প্রক্রিয়া চলছে। উন্নতমানের স্ক্যানিং মেশিন বিমানবন্দরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বসানো হয়েছে। বৈধ পাসপোর্ট এবং বৈধ কাগজপত্র ছাড়া কাউকেই বিমানবন্দরে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। গত কয়েক মাস ধরে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আইডি কার্ড স্ক্যান করে ডিউটির জন্য বিমানবন্দরে প্রবেশ করতে হচ্ছে। সিএএবি অর্গানোগ্রাম পরিবর্তন করে র‌্যাবের মতো একজন ডিজির অধীনে এভিয়েশন ফোস বাহিনী গড়ে তোলার বিষয়টিও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
জানা যায়, প্রায় ৫ শতাধিক নিরাপত্তা কর্মীকে উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য বিদেশে পাঠানো হচ্ছে। কিন্তু হঠাৎ করে গত শনিবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে এক চিঠির মাধ্যমে জানিয়ে দেন যে, শাহজালাল বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিচ্ছিদ্র করা না হলে যুক্তরাজ্য কার্গো বিমান এমনকি যাত্রিবাহী বিমান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হবে। আর তখনই শুরু হয় কর্মকর্তাদের দৌড়ঝাঁপ।
যুক্তরাজ্যের এ ঘোষণায় ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। বাণিজ্যমন্ত্রী বিষয়টি রাজনৈতিক বলে মিডিয়ায় তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় বলে ফেলেন। বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রীও যুক্তরাজ্য কর্তৃপক্ষের কার্গো বিমান চলাচলে বন্ধ করার ঘোষণার পর বলেন, শাহজালাল বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। মন্ত্রী শুধু এ কথা বলেই বসে নেই তিনি এবং সচিব গত শনিবার থেকে শাহজালাল বিমানবন্দরে একঘণ্টা করে অফিস করছেন।
একটি সূত্র জানায়, গতকাল মন্ত্রী প্রথমে সকালে একবার তারপর আবার দুপুরের পরে শাহজালাল বিমানবন্দরে এসে সন্ধ্যা পর্যন্ত অফিস করেছেন।
আগামী ৩১ মাচের মধ্যেই যুক্তরাজ্য কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ থেকে ব্রিটেনে কার্গো বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিবেন বলে বাংলাদেশ আশা করছে। আর সে অনুযায়ীই শাহজালাল বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হচ্ছে।
এদিকে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, সিভিল এভিয়েশনের গাফিলতির জন্য ইতিমধ্যেই চেয়ারম্যান পদে রদবদল করা হয়েছে। গতকালই এ পদে বিমানবাহিনীর এয়ার ভাইস মাশাল এহছানুল গনি চৌধুরীকে সিএএবির চেয়ারম্যান পদে পদায়ন সংক্রান্ত বিষয়টি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে বলে জানা য়ায়। বিমানবন্দরের নিরাপত্তার স্বার্থে সিএএবির আরো দুই শীর্ষ পদে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। এ দিকে শাহজালাল বিমানবন্দরের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তার পদটি সেনাবাহিনীর একজন মেজর পদমর্যাদার অফিসার দিয়ে আবারও পদায়নের চিন্তা-ভাবনা করছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। আর এ পদে সেনাবাহিনী থেকে পদায়ন করতে হলে সিএএবি প্রশাসনকে উচ্চ আদালতে আপিল করতে হবে। কারণ প্রধান নিরাপত্তার পদটি উচ্চ আদালতের এক আদেশে সিভিল প্রশাসন থেকে পদায়ন করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ খবর জানা গেছে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শাহজালালে নিরাপত্তা জোরদার
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ