পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল নিয়ে সরকার নানা ষড়যন্ত্র করছে অভিযোগ বিএনপির। কাউন্সিল ব্যবস্থাপনা কমিটির আহ্বায়ক দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ১৯ তারিখে সরকার কত ষড়যন্ত্র করবেন না। ষড়যন্ত্রের একদফা মোকাবিলা করেছি বাকিটাও সম্ভব হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। কাউন্সিলে ‘সর্বাত্মক শৃঙ্খলা’ বজায় রাখতে দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতি নির্দেশনা দিয়েছেন গয়েশ্বর। গতকাল রোববার সকালে এক সভায় এই নির্দেশনা দেন। নিজের ছবি দিয়ে পোস্টার করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি। সকালে নয়া পল্টনে মহানগর কার্যালয়ে যুগ্ম-আহ্বায়ক আব্দুুল আউয়াল মিন্টুর সভাপতিত্বে এ সভা হয়।
প্রধান অতিথি হিসেবে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমাদের কাউন্সিলরের সংখ্যা হচ্ছে প্রায় ২৮শ’। আমন্ত্রিত অতিথি, রাজনৈতিক নেতৃবন্দ, বিদেশী অতিথি-সব কিছু মিলে ভেতরে চেয়ার থাকবে মাত্র সাড়ে ৪ হাজার। ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন প্রাঙ্গণে কাউন্সিলর ব্যতীত আর কারো প্রবেশের সুযোগ থাকবে না। আমরা যেন সবাই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ রাস্তায় জায়গাটা করে নেই।
তিনি বলেন, কাউন্সিলে শৃঙ্খলার যদি অভাব থাকে তাহলে আমরা অনুষ্ঠান সফল হতে পারবো না- এটা খেয়াল রাখতে হবে। ঢাকার বাইর থেকে যারা আসবেন, তারা যাতে মনে করেন, এটা একটা সুশৃঙ্খল পার্টি ও সভ্যদের পার্টি। আমি আশা করি, অতীতের চাইতে মহানগর নেতৃবৃন্দ নিষ্ঠার সাথে তাদের দায়িত্ব পালন করবেন। সুষ্ঠুভাবে দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে মির্জা আব্বাসের অভাব যাতে চোখে না পড়ে সেই কাজটি করবেন।
আগামী ১৯ মার্চ ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন প্রাঙ্গণে বিএনপির ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল হবে। দিনব্যাপী এই কাউন্সিলের প্রথম পর্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও দ্বিতীয় পবে কাউন্সিলের রুদ্ধদ্বার কর্ম অধিবেশন।
মহানগরের আহবায়ক কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় নেতাদের উদ্দেশ্য করে বলেন, সামনে কাউন্সিল। আমি বলব, ১৯ তারিখের আগ পর্যন্ত দয়া করে বায়োডাটা নিয়ে নেতাদের বাড়ি বাড়ি ঘুরাঘুরি কইরেন না। বায়োডাটা দিয়ে রাজনীতি হয় না। আমরা পদের জন্য যত তৎপর, রাজপথ দথল করার জন্য যদি অর্ধেক তৎপরত হতাম, তাহলে আজকে হাসিনার রাজত্বে বাস করতে হতো না, খালেদার রাজত্ব অনেক আগেই প্রতিষ্ঠিত হতো।
তিনি জানান, ১৯ তারিখে কাউন্সিলের বিষয়ে যতক্ষন পর্যন্ত মির্জা আব্বাস মুক্তি না পান ততক্ষন পর্যন্ত মহানগর আহবায়ক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক আব্দুুল আউয়াল মিন্টু আহবায়কের দায়িত্ব পালন করবেন। এ ব্যাপারে সকলকে সহযোগিতা করার আহবান জানান গয়েশ্বর।
জাতীয় কাউন্সিল নিয়ে সরকার নানা ষড়যন্ত্র করছে অভিযোগ করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ১৯ তারিখে সরকার কত ষড়যন্ত্র করবেন আর করবেন না- তা আমরা জানি না। তবে বেগম খালেদা জিয়া পুনর্নির্বাচিত, তারেক রহমান পুনর্নির্বাচিত। সুতরাং এক্ষেত্রে আমরা কিছু ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছি। বাকী ষড়যন্ত্র মোকাবিলা হবে। বেশিদিন ষড়যন্ত্র করে টিকে থাকা যায় না, এটা আমরা জানি।
ঢাকার বাইরে খেকে আসা কাউন্সিলরদের ‘বীর সিপাহসালা’ অভিহিত করে গয়েশ্বর বলেন, তারা বীর সিপাহসালা। বাংলাদেশে তারা যে আন্দোলন সৃষ্টি করেছে, পাকিস্তান থেকে এই পর্যন্ত এমন আন্দোলন কখনো হয় নাই। আমরা যদি মহানগরে বাস করি তারা নানা কারণে নানাভাবে দোষী। একথা যত কঠিনই হউক আমরা যে মহানগরে বাস করি, আমরা সেই আন্দোলনের ব্যর্থতার দায় এড়াতে পারবো না। এই ব্যর্থতার দায় থেকে আমাদের ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য শক্তি সঞ্চয় করতে হবে। পদ দখলের প্রতিযোগিতায় কখনো আন্দোলন সফল হয় না। এক সময় শ্লোগান শুনতাম- যে শিশু মায়ের কোলে সেও একবার জেল পালায়। এখন চারিদিকে তাকিয়ে দেখি- যে শিশু মায়ের বুকে সেও একটা পদ খুঁজে। এটা দুঃখজনক। পদ ছাড়া কিছুই বুঝে না।
জাতীয় কাউন্সিল উপলক্ষে পোস্টারে কেউ নিজের ছবি দিয়ে পোস্টার করলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান গয়েশ্বর। অন্যান্যের মধ্যে মহানগরের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, মহানগর আহবায়ক দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাস, মহানগর নেতা কাজী আবুল বাশার, আব্দুস সালাম আজাদ, ইউনুস মৃধা, বজলুল বাসিত আনজু প্রমুখ নেতা বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।