পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
হাসান সোহেল : বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ৮শ’ কোটি টাকা চুরি ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেছেন শুরু থেকেই। এক মাস পর পত্রিকা পড়ে জেনেছেন অর্থমন্ত্রী। অর্থ সচিবতো নয়ই; এমনকি অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংকিং ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবকেও ভয়ঙ্কর চুরির ঘটনাটি জানানো হয়নি। বাংলাদেশ ব্যাংকের দাবি তদন্তের স্বার্থে কৌশল হিসেবে গোপনীয়তার আশ্রয় নেয়া হয়েছে। বিপুল পরিমাণ টাকা চুরির ঘটনা ঘটে ৪/৫ ফেব্রুয়ারি। এরপর বাংলাদেশ ব্যাংক ২৩ ফেব্রুয়ারি বোর্ড সভা, ২৮ ফেব্রুয়ারি ও ১ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের অডিট কমিটির সভা হয়েছে। কিন্তু কোন সভাতেই বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিক বা অনানুষ্ঠানিক কোনো আলোচনায় উপস্থাপিত হয়নি। সংশ্লিষ্টদের এ রহস্যজনক আচরণে সন্দেহের ডালপালা ছড়াতে শুরু করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ফরাসউদ্দিন আহমদ মনে করেন ভিতরের কেউ ছাড়া এতো বিপুল পরিমাণ অর্থ চুরির ঘটনা ঘটা অসম্ভব। আর অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বাংলাদেশ ব্যাংকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের ঘোষণা দিয়েছেন। এদিকে আন্তর্জাতিক চোরচক্রের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের যেসব কর্মকর্তার আঁতাত রয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে তাদের তালিকাও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী পেয়েছে বলে জানা গেছে।
হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে রিজার্ভ থেকে ৮শ’ কোটি টাকা চুরি যাওয়ার ঘটনা সরকারের ঊর্ধ্বতনদের কাছে গোপনে রাখাকে রহস্যজনক মনে করছেন ব্যাংকিং সেক্টরের বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে টাকা চুরির এতো বড় অঘটনকে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু ফিলিপাইনের পত্রিকায় এ নিয়ে খবর প্রকাশ এবং পরবর্তীতে বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমে বিষয়টি চলে আসায় ঘটনা ধামাচাপা দিতে পারেননি।
এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ঘটনা আড়ালের প্রচেষ্টা সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেছেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক ধৃষ্টতা দেখিয়েছে।’ অসন্তোষ প্রকাশ করে অর্থমন্ত্রী বাংলাদেশ ব্যাংকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দেন। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে বৈঠক করে গণমাধ্যমে বিবৃতি দিবেন বলে উল্লেখ করেন। অপরদিকে গভর্নর ড. আতিউর রহমান ভারত থেকে আজ দেশে ফিরছেন। তাই আগামী মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পরিষদের জরুরি সভা ডাকার নির্দেশনা দিয়েছেন ব্যাংকিং ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব। এছাড়া রিজার্ভ থেকে টাকা চুরির ঘটনা তদন্তে দু-এক দিনের মধ্যে ৪ সদস্যের কমিটি গঠন করবে বলে অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
সূত্র মতে, অর্থ চুরি ঘটনার পরই বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যবহৃত সার্ভারগুলো থেকে অনেক রেকর্ড মুছে দেয়া হয়েছে। তবে তদন্ত সংশ্লিষ্টরা ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তিনটি ইউজার আইডি শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছেন, যেগুলোর একটি থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে অর্থ স্থানান্তরের নির্দেশনা যায়। তারা আরও জানতে পেরেছেন, গত ২৪ জানুয়ারি প্রথম সিস্টেমটিতে তৃতীয় পক্ষের অনুপ্রবেশ ঘটে।
রিজার্ভের টাকা চুরির ঘটনা নিয়ে রোববার বিকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের ঘঠনাস্থল পরিদর্শন করেন সরকার গঠিত র্যাবের তদন্ত কর্মকর্তার। এতে নেতৃত্ব দেন র্যাব’র অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল জিয়াউল হাসান। সবকিছু ঠিক
আছে কিনা সেটি দেখতেই তারা ঘটনাস্থল যান। এর আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আইটি পরামর্শক রাকেশ আস্তানার সাথে বৈঠক করেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা। বৈঠকে রাকেশ আস্তানা ও র্যাবের পাওয়া তথ্যের আদান-প্রদান হয়। এ বিষয়ে সরকার গঠিত র্যাবের তদন্ত কমিটির সদস্য তানভীর হাসান জোহা বলেন, আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের আইটি পরামর্শকের সাথে একটি বৈঠক করেছি। বৈঠকে তারা কি পেয়েছে, আর আমরা কি পেয়েছি সেসব তথ্য আদান প্রদান করেছি। এ বিষয়ে শিগগিরই রিপোর্ট চূড়ান্ত করা হবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংকিং ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পরিষদের সদস্য এম আসলাম আলম সাংবাদিকদের জানান, অর্থ চুরির ঘটনাটি ঘটেছে ৫ ফেব্রুয়ারি। এরপর বাংলাদেশ ব্যাংক ২৩ ফেব্রুয়ারি বোর্ড সভা করেছে, ২৮ ফেব্রুয়ারি ও ১ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের অডিট কমিটির সভা করেছে। কিন্তু কোন সভাতেই বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিক বা অনানুষ্ঠানিক কোনো আলোচনা হয়নি। বিষয়টি প্রায় মাসখানেক তাঁর কাছে অজানা ছিল। আর তাই পুরো ঘটনার বিষয়ে জানতে বাংলাদেশ ব্যাংকে এসেছিলাম। যেসব বিষয় জানতে পেরেছি তা অর্থমন্ত্রীকে জানানো হবে। অর্থমন্ত্রণালয় থেকে পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, অর্থমন্ত্রীকে জানাবো, তিনি পরবর্তী করণীয় ঠিক করবেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের আইটি বিভাগের দুর্বলতার কারণে রিজার্ভ থেকে অর্থ চুরির ঘটনা ঘটেছে। সচিব বলেন, শুধু বাংলাদেশ ব্যাংক নয়, পুরো আর্থিক খাতের নিরাপত্তায় আইটির বিষয়টি সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই এ বিষয়ে সরকার সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে চুরি হয়েছে ৮১ মিলিয়ন বা ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার। এর মধ্যে ফিলিপাইনের একটি হিসাব থেকে ৬৮ হাজার ডলার এবং শ্রীলংকার ২ কোটি ডলার উদ্ধার করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাকী ৮ কোটি ৯ লাখ ৩২ হাজার ডলার নিয়ে শঙ্কা থেকে যাচ্ছে। এই অর্থ এই অর্থ ব্যাংকিং চ্যানেলের বাইরে থাকায় ফেরত পেতে দীর্ঘ সময় লাগবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। অর্থ চুরির বিষয়টি জানতে গতকাল সকাল সোয়া ১০টার দিকে বাংলাদেশ ব্যাংকে যান সচিব। তিনি দীর্ঘসময় সেখানকার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। পরে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এক প্রশ্নের জবাবে এম আসলাম আলম বলেন, আমি মনে করি, এটা অবশ্যই বাংলাদেশ ব্যাংকের আমাদের ও সরকারকে জানানো উচিত ছিল। কেন জানায়নি, আমি জানি না। প্রসঙ্গত যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্ক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থ চুরি হয় ৪ ও ৫ ফেব্রুয়ারি। ৭ ফেব্রুয়ারি ফেডারেল রিজার্ভের মাধ্যমে জানতে পারে বাংলাদেশ ব্যাংক। তখন বিষয়টি গোপন করেই খোঁজ-খবর নিতে শুরু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। অর্থ উদ্ধার ও জড়িতদের বিষয়ে জানতে ফিলিপাইনে পাঠানো হয় বাংলাদেশ ব্যাংকের দুই কর্মকর্তাকে। কিন্তু শূন্য হাতে ফেরত আসেন তারা।
বাংলাদেশ ব্যাংক গত শুক্রবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সাইবার আক্রমণে ৩৫টি ভুয়া পরিশোধ নির্দেশের মাধ্যমে ৯৫ কোটি ১০ মার্কিন ডলার বা প্রায় ৭ হাজার ৬০৮ কোটি টাকা স্থানান্তরের প্রস্তাব পাঠানো হয়। তার মধ্যে ৩০টি নির্দেশ আটকানো সম্ভব হয়। তাতে ৮৫ কোটি ডলার বেহাত হওয়া প্রতিহত করা গেছে। তবে পাঁচটি পরিশোধ নির্দেশের বিপরীতে ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার বা প্রায় ৮০৮ কোটি টাকা ফিলিপাইন ও শ্রীলঙ্কায় চলে যায়।
পুলিশের গোয়েন্দা শাখা বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কর্মকর্তার পাসপোর্ট জব্দ করেছে একই সঙ্গে ব্যাংকের ৩ কর্মকর্তাকে সন্দেহ করে তদন্ত কাজ এগুচ্ছে এসব বিষয়ে জানতে চাইলে এম আসলাম আলম জানান এসব বিষয়ে তাকে জানানো হয়নি। তবে গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, ওই ৩ কর্মকর্তার সূত্র ধরেই তদন্ত আগাচ্ছে।
এদিকে রিজার্ভের অর্থ চুরির ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের কয়েক কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে সংঘবদ্ধ একটি প্রভাবশালী চক্র জড়িত বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। চক্রের তালিকায় বাংলাদেশ ব্যাংকের শীর্ষ পর্যায়ের, ফরেক্স রিজার্ভ ও বৈদেশিক মুদ্রা পরিদর্শন বিভাগের কয়েকজন কর্মকর্তার নামই ঘুরে ফিরে উঠে এসেছে প্রাথমিক তথ্যে। আন্তর্জাতিক চক্রের সঙ্গে রয়েছে এদের যোগাযোগ। র্যাব ও পুলিশের হাতে এখন সেই তালিকা। সরকারের নির্দেশ পেলেই তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করবে র্যাব।
ঘটনার এক মাস পেরিয়ে গেলেও অর্থ চুরির সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করতে কোন তদন্ত কমিটি গঠন করেনি বাংলাদেশ ব্যাংক। বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত বিভাগগুলোই এ ঘটনার তথ্য সংগ্রহ করছে। তাদের তথ্যেই উঠে এসেছে এ জালিয়াত চক্রের সদস্যদের কথা। চক্রটি প্রভাবশালী মহলের ছত্র-ছায়ায় লালিত-পালিত যে তাদের নাম প্রকাশ করা নিয়ে জীবননাশের আতঙ্কে আছে তথ্য সংগ্রহকারী কর্মকর্তারা। এ জালিয়াত চক্রের সদস্যদের বাঁচাতেই কি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়নি এমন প্রশ্ন উঠেছে খোদ বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা ও অর্থনীতি বিশেষজ্ঞদের কাছে।
অর্থ চুরির বিষয়টি এখন র্যাব অনুসন্ধান করছে। যে কোন মুহূর্তে দোষীদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রস্তুত রয়েছে র্যাবের একটি টিম বলে সূত্র জানিয়েছে। এ ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের কোন কর্মকর্তা জড়িত আছে কিনা তা জানতে অনানুষ্ঠানিকভাবেই খতিয়ে পদখছেন শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা। এই কর্মকর্তারাই বৈঠক করেছেন পুলিশ ও র্যাব সদস্যদের সঙ্গে। এফবিআইয়ের সহযোগিতা পচয়েছেন। সরকারের বিভিন্ন মহল ও ফিলিপাইনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ইতিহাসে প্রথমবারের মত এত বড় ঘটনায় পুলিশ ও র্যাব তাদের উদ্যোগেই ছায়া তদন্ত করেছে এতদিন। প্রয়োজনে যোগাযোগ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে। এরই মধ্যে সন্দেহভাজন কয়েকজনের মোবাইল কললিস্ট যাচাই-বাঁছাই করে দেখেছেন তারা। কয়েকজনের বিদেশী কানেকশনও খতিয়ে দেখছেন তারা বলে জানায় র্যাবের একটি সূত্র।
সরকারের আইসিটি মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, যতটুকু জানতে পেরেছিÑ তাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের লোকজনের সংশ্লিষ্টতা ছাড়া কোন মতেই এ কাজ সম্ভব নয়। তা হ্যাকিং হউক কিংবা অবৈধ লেনদেন। তদন্ত কমিটি গঠন না করার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র শুভংকর সাহা বলেন, বিভাগ অনুযায়ী তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। আমরা অনেক দূর এগিয়েছি। অনেক তথ্য আমাদের হাতে এসেছে, তদন্তের স্বার্থেই সব বলা যাচ্ছে না।
উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে রাখা বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের ১০১ মিলিয়ন বা ১০ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার চুরি হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের দাবি, ‘হ্যাক’ করে এ অর্থ সরিয়ে নেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে রাখার চেষ্টা করলেও প্রথমে আন্তর্জাতিক এবং পরে দেশের সংবাদ মাধ্যমে তা প্রকাশ পেলে তা আর সম্ভব হয়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।