Inqilab Logo

শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে আবদ্ধ পরিবেশে মা হলো বন্যহাতি

মো: দেলোয়ার হোসেন, গাজীপুর থেকে | প্রকাশের সময় : ২৯ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে গত রোববার রাতে প্রথম হস্তি শাবক প্রসব করেছে। আবদ্ধ পরিবেশে বন্য হাতির শাবক প্রসব এদেশে এটিই প্রথম বলে জানিয়েছেন পার্কের ভেটেরিনারী সার্জন মো. নিজাম উদ্দিন চৌধুরী। এ দেশের জন্য এটি একটি বিরল ঘটনা বটে।
সার্জন মো. নিজাম জানান, দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ২০১৩ সালে ৬টি বন্যহাতি এ সাফারি পার্কে এনে পোষ মানানো হয়। এদের মধ্যে দুইটি পুরুষ ও ৪টি মাদি। এত বছর পরে রোববার রাত পৌণে ১১টার দিকে পার্কে হাতি প্রথম শাবক প্রসব করলো। এনিয়ে এ সাফারি পার্কে হাতি পরিবারের সদস্য সংখ্যা হলো ৭টি। এর আগে এদেশের কোন পার্ক বা চিড়িয়াখানায় আবদ্ধ পরিবেশে হস্তিশাবক প্রসবের তথ্য নেই। শাবকটির প্রসবকালীন ওজন ছিল প্রায় ৬০কেজি। একটি পূর্ণবয়স্ক হাতি সাধারণত চার হাজার থেকে পাঁচ হাজার কেজি ওজন হয়। ১৮-২০ বছরে হাতি প্রজনন সক্ষম হয়। এদের গর্ভকালীন সময় ২০-২২মাস। সাধারণত চার-পাঁচ বছর পর একটি করে বাচ্চা প্রসব করে। হাতির সামনের দুই পায়ের মাঝখানে বক্ষদেশে (দুই নিপলযুক্ত) স্তন থাকে। শাবক সাধারণত সাড়ে তিন থেকে চার বছর পর্যন্ত মায়ের দুধ পান করে। হাতির গড় আয়ু ১০০বছর। বাচ্চাসহ মা হাতিটি আলাদা করে রাখা হয়েছে। মায়ের সাথে বাচ্চাটি ঘুরে বেড়াচ্ছে। ভেটেরিনারী সার্জন মো. নিজাম উদ্দিন চৌধুরী জানান, সার্বক্ষণিক মা ও শাবক হাতিটি তার নজরদারিতে রয়েছে। সেখানে পর্যটকদের যাতায়ত সীমিত রাখা হয়েছে। মা হাতিটিকে প্রতিদিন ২০ কেজি কলা গাছ, ৫০ কেজি মিস্টি কুমড়া, ৫০ কেজি আখ, ১০ কেজি গাজর, ৩ কেজি ঝাউ (ভাত)সহ তৃণ জাতীয় খাবার দেয়া হচ্ছে। প্রায় চার বছর পর থেকে বাচ্চা হাতি প্রাকৃতিক খাবার খাওয়া শুরু করে। মা হাতি যাতে অপুষ্টিতে না ভোগে তার জন্য তাকে প্রয়োজনীয় খাবার ও ঔষধ সরবরাহ করা হচ্ছে এবং তাদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহাবুদ্দিন বলেন, কোন চিড়িয়াখানা বা সাফারি পার্কে আবদ্ধ পরিবেশে (ক্যাপটিভিটি) হাতির শাবক প্রববের ঘটনা এদেশে একটি বিরল ঘটনা। মা হাতি ও শাবক দুই-ই সুস্থ আছে। তবে তাদের বিশেষ পরিচর্চায় রাখা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বঙ্গবন্ধু

৮ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ