পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভারতের হরিয়ানা রাজ্যে ধর্ষক ধর্মগুরু গুরমিত রাম রহিম সিংহের সাজা ঘোষণা করা হবে আজ সোমবার। রায় ঘোষণার পর পর ব্যাপক সহিংসতার প্রেক্ষাপটে ঝুঁকি নিচ্ছে না হরিয়ানার প্রশাসন। সাজা ঘোষণাকে সামনে রেখে হরিয়ানার পাঁচকুলা, চন্ডীগড়কে নিñিদ্র নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে। দুর্গ বানিয়ে ফেলা হয়েছে রোহাতকেও। ২৮ কোম্পানি আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে গোটা শহর জুড়ে। পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের নির্দেশেই আজ রোহাতকের জেলে এজলাস বসানো হচ্ছে। রোহাতকের জেলেই বসবে বিশেষ সিবিআই আদালত। জেলের অভ্যন্তরে তৈরি হওয়া অস্থায়ী এজলাসে গিয়ে বিচারক জগদীপ সিংহ আজ গুরমিত রাম রহিম সিংহের সাজা ঘোষণা করবেন।
বিশেষ সিবিআই আদালত ধর্ষণ মামলার রায় ঘোষণা করার পর শুক্রবার হরিয়ানা এবং পাঞ্জাব জুড়ে যে ভয়ঙ্কর তান্ডব চালিয়েছেন ‘ডেরা সাচ্চা সৌদা’র অনুগামীরা, তার প্রেক্ষিতেই আজ জেলের ভিতরে এজলাস বসানোর নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক জগদীপ সিংহকে উপযুক্ত নিরাপত্তা দিয়ে আকাশপথে (হেলিকপ্টারে) রোহাতকের জেলে পৌঁছে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এজলাস বসানোর জন্য আদালতের যতো কর্মী প্রয়োজন, তাদেরও একইভাবে জেলে পৌঁছে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সিরসাতেও প্রবল উত্তেজনা বিরাজ করছে। হরিয়ানার এই শহরেই ডেরা সচ্চা সৌদার সদর দফতর। শুক্রবার থেকেই উত্তপ্ত সিরসা। সে দিন সিরসায় ডেরা অনুগামীদের হাতে পুলিশ এবং সংবাদমাধ্যমও। আক্রান্ত হয়। তার পর থেকে সিরসায় নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়েছে। নামানো হয়েছে সেনা। সিরসায় ফের কার্ফুও জারি করা হয়েছে। ডেরা সচ্চা সৌদার সদর দফতরের ভিতরে বাবা রাম রহিমের অন্তত ৩০ হাজার অনুগামী রয়েছেন বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা যাচ্ছে।
আজ রাম রহিমের সাজা ঘোষণার পর এই বিশাল জমায়েত ফের সিরসায় তান্ডব চালাতে পারে বলে প্রশাসনের আশঙ্কা। তাই বারবার মাইকিং করে ডেরার সদর দফতর ছেড়ে সকলকে বেরিয়ে আসতে বলা হয়েছে। সদর কেন্দ্রের ভিতরে ঢুকে অভিযান চালানোর নির্দেশ এখনও পায়নি সেনা। তাই এক হাজার একর জুড়ে জড়িয়ে থাকা আশ্রমকে সব দিক থেকে ঘিরে রাখা হয়েছে। তবে রাম রহিমের অনুগামীরা গতকাল রোববার ডেরা ছেড়ে বেরিয়ে আসেন এবং বাড়ির পথ ধরেছেন বলেও প্রশাসনের দাবি। ফলে ডেরার ভিতরে জমায়েতের আকার ধীরে ধীরে কমেছে। সূত্র : এএফপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।