পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
অর্থনৈতি রিপোর্টার : চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সব ধরনের লেনদেন পিআইএনভিত্তিক (পারসোনাল আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার) করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত বৃহস্পতিবার কার্ড সংক্রান্ত লেনদেন ঝুঁকিমুক্ত করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। প্রজ্ঞাপনে সাইবার সিকিউরিটি গভর্ন্যান্স সংক্রান্ত নীতি প্রণয়নসহ ৪০টি নির্দেশনা জারি করা হয়। দেশের সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠানো প্রজ্ঞাপনটিতে বলা হয়, প্রতিটি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকি মূল্যায়ন করে পরিচালনা পরিষদের তত্ত¡াবধানে সাইবার সিকিউরিটি গভর্ন্যান্স সংক্রান্ত নীতি প্রণয়ন করতে হবে। এছাড়া যেকোনও সাইবার ঝুঁকি মোকাবিলা করার জন্য পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে।
এর বাইরে প্রযুক্তিগত দুর্বলতা মূল্যায়ন পরিচালনা এবং আপদকালীন ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম প্রণয়নসহ পুরো ব্যবস্থা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণের জন্য সপ্তাহের সাত দিন কার্যরত তথ্য নিরাপত্তা কেন্দ্র স্থাপন করতে হবে। এছাড়া কার্ডভিত্তিক লেনদেন পরিচালনাকারী সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান হতে ইস্যুকৃত সব কার্ডের অভ্যন্তরীণ আন্তঃব্যাংক লেনদেন বাংলাদেশ ব্যাংক পরিচালিত ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইস বাংলাদেশের (এনপিএসবি) মাধ্যমে মাধ্যমে পরিচালনা করতে হবে। এসএমএস এলার্ট সার্ভিসের মাধ্যমে কার্ডভিত্তিক সব লেনদেনের তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে গ্রাহককে অবহিত করতে হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, কার্ড লেনদেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও লেনদেনের অবকাঠামোসমূহ আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন করতে ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ব্যাংকগুলোকে পেমেন্ট কার্ড ইন্ড্রাস্ট্রি-ডাটা সিকিউরিটি স্ট্যার্ন্ডার্ড সার্টিফাইড হতে হবে। আগে ইস্যু করা এ ধরনের সব কার্ডসমূহকে ২০১৮ সালের ৩০ জুনের মধ্যে এই প্রক্রিয়া পুরোপুরি সম্পন্ন করতে হবে।
এছাড়াও প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, লেনদেনের সময় এটিএমে কার্ড আটকে গেলে গ্রাহকের আবেদনের ৭ দিনের মধ্যে কার্ড ইস্যু করা, নতুন পিন সরবরাহ করা, এটিএমগুলোয় বাধ্যতামূলকভাবে চিপ কার্ড পরিচালনার প্রযুক্তি, বুথে লেনদেনসমূহের ভিডিও ফুটেজ যথাযথভাবে পর্যবেক্ষণ ও ন্যূনতম একবছর তা সংরক্ষণ করার কথা বলা হয়েছে। এর বাইরে এটিএম সেবা প্রদানকারী ব্যাংকসমূহ প্রতিমাসে কমপক্ষে ২০টি এটিএম পরিদর্শন করবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, এটিএম বুথে নগদ টাকার সরবরাহ নিশ্চিত করার পাশাপাশি এটিএম সেবা সার্বক্ষণিক চালু রাখতে হবে। তবে বন্ধ বা অচল এটিএম বুথের সামনে অবশ্যই নোটিশ প্রদর্শনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং অনধিক ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তা সচল করতে হবে।
এছাড়াও বুথে কোনও ধরনের নতুন যন্ত্র সংস্থাপন বা মেরামতকালে এটিএম বুথে কর্মরত সিকিউরিটি গার্ড এ বিষয়ে ব্যাংকের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করে আগতদের পরিচয় নিশ্চিত করবে। গ্রাহকদের সমস্যার তাৎক্ষণিক সমাধান নিশ্চিত করতে আবশ্যিকভাবে যোগাযোগের ফোন নম্বর নোটিশ হিসেবে এটিএম বুথে প্রদর্শনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। লেনদেনসংক্রান্ত সব ধরনের ফি বা চার্জ প্রদর্শন করতে হবে, পাশাপাশি এটিএম ব্যবহারের চিত্র-সম্বলিত সঠিক নিয়মাবলী সহজ ভাষায় পোস্টার আকারে বুথে প্রদর্শন করতে হবে।
প্রজ্ঞাপনে পস লেনদেনের ক্ষেত্রে বলা হয়, বাংলাদেশে কার্যরত এনপিএসবি’র সদস্য সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান স্থাপিত সব পস চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে এনপিএসবি’তে সংযুক্ত করতে হবে। এছাড়া পস মেশিনের মাধ্যমে সম্পাদিত সব লেনদেন পিনভিত্তিক হতে হবে। অনলাইনে হোটেল বুকিং এবং অভ্যন্তরীণ বিমান টিকেট কেনা ছাড়া অন্য সব ক্ষেত্রে পস-এ প্রি অথরাইজেশনের সময়ে ম্যানুয়াল কী এনট্রি বন্ধ করা হয়েছে।
অনলাইন ব্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে অনলাইন, ইন্টারনেট, ই-পেমেন্ট গেটওয়েতে ব্যাংকের হিসাব অথবা কার্ডভিত্তিক সব লেনদেনের ক্ষেত্রে চলতি বছরের মধ্যে এককালীন পাসওয়ার্ড ব্যবস্থা প্রচলন করতে হবে। এছাড়া সবরকম লেনদেন স্থানীয় মুদ্রায় নিষ্পত্তি করতে হবে। এর বাইরে সমস্ত লেনদেনের ক্ষেত্রে এন্ট্রি মানি লন্ডারিং সংক্রান্ত আইন পালন নিশ্চিত করতে হবে এবং কোনও ধরনের অসঙ্গতি পরিলক্ষিত হলে তা সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশ ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটে অবহিত করতে হবে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়, ইন্টারনেট ব্যাংকিং সেবা প্রদানকারী ব্যাংকগুলোকে সার্বক্ষণিক এই সেবা চালু রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। কোনও কারণে এ সেবা প্রদানে বিঘœ ঘটলে, তা গ্রাহককে অবহিত করতে হবে এবং সর্ব্বোচ ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তা সচল করতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।