পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মোঃ ফজলুর রহমান, হবিগঞ্জ থেকে : হবিগঞ্জ জেলার বাহুবলের সুন্দ্রাটিকি গ্রামের ৪ শিশুকে অপহরণের পর নৃশংসভাবে খুনের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারো জেলার শায়েস্তাগঞ্জে ৪ শিশু নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এনিয়ে এলাকায় অভিভাবক ও শিশুদের মাঝে চরম আতংকের সৃষ্টি হয়েছে। নিখোঁজ শিশুরা সবাই হবিগঞ্জ সদর উপজেলার পূর্ব নোয়াগাঁও হাফিজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র। জানা যায়, হবিগঞ্জ সদর উপজেলার শায়েস্তাগঞ্জের পূর্ব নোয়াগাঁও হাফিজিয়া মাদ্রাসার ওই ৪ শিশু গত শুক্রবার বিকালে মাদ্রাসার হোস্টেল থেকে কাউকে কিছু না জানিয়ে শায়েস্তাগঞ্জ শহরের দিকে যায়। এ সময় স্থানীয় কয়েকজন লোক তাদেরকে সুতাং বাছিরগঞ্জ এলাকায় দেখতে পান। পরে তারা সন্ধ্যায় মাদ্রাসার শিক্ষকদের জানালে কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিক তাদেরকে বাছিরগঞ্জ, সুতাং বাজার ও শায়েস্তাগঞ্জে খোঁজাখোঁজি করে না পেয়ে প্রত্যেকের পরিবারকে বিষয়টি জানানো হয়।
নিখোঁজ শিশুরা হলো, বাহুবল উপজেলা খেলাফত মজলিসের সেক্রেটারি ওই উপজেলার চারগাঁও গ্রামের আহমদ রশিদ মনুর ছেলে রাফিদ আহমেদ (১৩), একই উপজেলার আব্দানারায়ন গ্রামের আব্দুল আহাদের ছেলে ইমতিয়াজ আহমেদ (১০), নবীগঞ্জ উপজেলার সুজাপুর গ্রামের আব্দুল্লাহ মিয়ার ছেলে নয়ন আহমেদ (১১) ও হবিগঞ্জ সদর উপজেলার দরিয়াপুর গ্রামের আব্দুল আউয়ালের ছেলে সোহানুর রহমান (১১)। এরা সবাই ওই হাফিজিয়া মাদ্রাসার আবাসিক ছাত্র হিসাবে হিফজ বিভাগে পড়ছিল। হঠাৎ করে গত শুক্রবার ১১ মার্চ বিকেল থেকে তাদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে মাদ্রাসা সূত্র জানায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিখোঁজ ৪ ছাত্র শুক্রবার বিকেলে পাঞ্জাবী বানানোর জন্য মাদ্রাসা থেকে বের হয়ে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার শায়েস্তাগঞ্জে যায়। এরপর থেকে তাদের আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
এ ব্যাপারে পূর্ব নোয়াগাঁও হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ মাওলানা সেলিম আহমদ জানান, শুক্রবার মাদ্রাসা বন্ধ ছিল। জুমআর নামাজের পর থেকে ওই ৪ ছাত্রকে তাদের থাকার কক্ষে গিয়ে পাওয়া যায়নি। পরে স্থানীয় কয়েকজন লোক ওইদিন বিকেলে তাদের হবিগঞ্জ সদর উপজেলার সুতাং বাছিরগঞ্জ এলাকায় দেখতে পান বলে জানিয়েছিলেন। এ সময় ছাত্ররা তাদেরকে জানায়, তারা শায়েস্তাগঞ্জে যাচ্ছে পাঞ্জাবী বানানোর জন্য। এরপর থেকে তাদের আর খোঁেজ পাওয়া যাচ্ছে না। এ ব্যাপারে শনিবার দুপুরে নিখোঁজ শিশু রাফিদের পিতা আহমদ রশিদ মনু বাদী হয়ে শায়েস্তাগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। ডায়েরী নং-৪১৫।
এ ব্যাপারে শায়েস্তাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াসিনুল হক জানান, ৪ শিশু নিখোঁজের বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। আমরা তাদের খোঁজে বেড় করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ১২ ফেব্রুয়ারি হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার সুন্দ্রাটিকি গ্রামের ৪ শিশুকে অপহরণ করা হয়। এর পাঁচদিন পর ১৭ ফেব্রুয়ারি সকালে গ্রামের পাশে ইছারবিল খালের পাশে বালু মিশ্রিত মাটিচাপা অবস্থায় ওই চার শিশুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।