পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান বলেছেন, আগামী ২০ মার্চ থেকে হজযাত্রীদের প্রাক-নিবন্ধন কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে। হজ নিয়ে কেউ দুর্নীতি ও অনিয়মের আশ্রয় নিলে তাদের কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। ধর্মমন্ত্রী বলেন, আল্লাহর মেহমান হাজীদের সেবা নিশ্চিতকল্পে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাতে হবে। গতকাল শনিবার সকালে শের-ই-বাংলা নগরস্থ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে তিন দিনব্যাপী ৯ম হজ ও ওমরাহ ফেয়ার-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) আয়োজিত হজ ও ওমরাহ ফেয়ারে সভাপতিত্ব করেন হাবের সভাপতি মোঃ ইব্রাহিম বাহার।
হাবের সহসভাপতি ফরিদ আহমেদ মজুমদারের পরিচালনায় এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সউদী-বাংলাদেশ মৈত্রী গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ধর্ম বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটি’র সভাপতি বজলুল হক হারুন, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মোঃ আব্দুল জলিল, পরিচালক হজ (উপ-সচিব ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামাল, হাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ড. মোহাম্মদ ফারুক ও মহাসচিব শেখ আব্দুল্লাহ।
ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান বলেন, চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ১ হাজার ৭শ’ ৫৮জন নারাী-পুরুষ হজে যেতে পারবেন। এর মধ্যে ১০ হাজার জন সরকারী ব্যবস্থাপনায় আর বাকিরা বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় হজে যাবেন। আরো ৫ হাজার হজযাত্রী’র নতুন কোটার জন্য সউদী কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, সউদী সরকার ই-হজ সিষ্টেম চালু করেছে। সেই লক্ষ্যে আমাদের হজ ব্যবস্থাপনার কার্যক্রম সম্পূর্ণ ডিজিটাইল পদ্ধতিতে করা হচ্ছে। একটি হজ এজেন্সি সর্বনি¤œ ১৫০জন হজযাত্রীকে হজে পাঠাতে পারবেন। ধর্মমন্ত্রী বলেন, আল্লাহপাক ব্যবসাকে হালাল আর সুদকে হারাম করেছেন এটা স্মরণ করেই হাজীদের সেবা নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বলেন, হজ ও ওমরাহ ফেয়ারের মাধ্যমে মধ্যস্বত্ত্ব্যভোগীদের দৌরাত্ব্য হ্রাস পাবে। তিনি বলেন, আমি দুর্নীতি করিনি ;আর হজ নিয়ে কাউকে দুর্নীতি করতে দেয়া হবে না। সংসদীয় স্থায়ী কমিটি’র সভাপতি বজলুল হক হারুন এমপি বলেন, চলতি বছর ক্ষতিগ্রস্ত হজযাত্রীর নামে হজ নিয়ে আর কাউকে দু’নম্বরী ব্যবসা করতে দেয়া হবে না। সর্ব উৎকৃষ্ঠ হজ ব্যবসাকে সর্ব নিকৃষ্ট করা যাবে না। হাজীদের কুরবানীর টাকা আত্মসাৎ করে গুণাহের বোঝা মাথায় নেয়া যাবে না। ই-হজ ব্যবস্থায় হজ কার্যক্রমে সফলতা আসবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। ভারপ্রাপ্ত ধর্ম সচিব মোঃ আব্দুল জলিল বলেন, সউদী সরকারের দিক নিদের্শনা অনুযায়ী ই-হজ সিস্টেমেই হজে কার্যক্রম চলবে। সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ হজ ব্যবস্থাপনার কার্যক্রমে সবাইকে সর্তকতার সাথে কাজ করতে হবে। ধর্ম সচিব সুন্দর ও সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার স্বার্থে মিডিয়াকে ইতিবাচক দৃষ্টি নিয়ে লেখার আহ্বান জানান। হাবের সভাপতি মোঃ ইব্রাহিম বাহার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, হজ ও ওমরাহ ফেয়ারের মাধ্যমে মধ্যস্বত্ত্ব্যভোগী দালালদের দৌরাত্ব্য হ্রাস পাবে। এ ফেয়ারে সউদী সরকারের প্রণীত ”ই-হজ সিস্টেমকে” হজযাত্রীদের সামনে তুলে ধরা হবে। হজযাত্রীগণ হজ ও ওমরাহ ফেয়ারে উপস্থিত হয়ে বিভিন্ন প্যাকেজ সুবিধাদি যাচাই-বাছাই করে সরাসরি হজ বুকিং দেয়ার সুযোব পাবেন। পরে ধর্মমন্ত্রী ফিতা কেটে ৯ম হজ ও ওমরাহ ফেয়ার উদ্বোধন করেন। ধর্মমন্ত্রী বিভিন্ন হজ এজেন্সি’র স্টল ঘুরে ঘুরে দেখেন। এদিকে, অনেক বিলম্বে হজ ও ওমরাহ ফেয়ার শুরু করায় প্রায় দেড়শ’ হজ এজেন্সি’র স্টল থাকার কথা থাকলেও অনেক হজ এজেন্সি হজ ও ওমরাহ ফেয়ারে অংশ গ্রহণ থেকে বিরত রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।