Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পবিত্র ফাতেহা ইয়াজদাহম আজ

প্রকাশের সময় : ২২ জানুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : আজ ১১ রবিউস সানী ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম। ফাতেহার অর্থ মহান ওলী আউলিয়া তথা মনীষীগণের জন্য দোয়া। এদিন ওলীকুল শিরমণি তৎকালীন যুগের শ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস, মুফাসসির, ফকীহ, দার্শনিক, সর্বজন শ্রদ্ধেয় শিক্ষক, সুবক্তা, কাদেরিয়া তরিকার প্রতিষ্ঠাত গাউসুল আজম হযরত শেখ মুহিউদ্দীন বড়পীর আবদুল কাদের জিলানীর (রহ.) ইন্তেকালবার্ষিকী। এ দিবসটি সমগ্র বিশ্বে, বিশেষ করে এ উপমহাদেশের মুসলিমদের কাছে অতীব তাৎপর্যপূর্ণ। আল্লাহর রাসূলের (সা.) পর্দা করার পর সাহাবায়ে কেরাম ও তাবেয়ীনে ইমামদের সোনালী যুগে কোরআন-হাদিসের আলোকে দুনিয়া ছিল ঝলমল। পরবর্তীতে ভোগবাদী স্বার্থাম্বেষী ও বিজাতীয় ষড়যন্ত্রের ফলে উম্মতের ঐক্য নষ্ট হয়ে বিভিন্ন ফেরকার সৃষ্টি হয়। যার ফলে মুসলমানদের বিজয়ের ধারা মুখ থুবড়ে পড়ে। কিন্তু মহান ওলীগণ জিহাদের ময়দান থেকে সামান্য সময়ের জন্যও পিছু হটেননি। তাঁরা শরিয়ত, তরিকত, হাক্কিকত ও মারিফাতের ঝান্ডা নিয়ে বিশ্বের আনাচে-কানাচে ছুটে চলতে শুরু করেন। প্রতিষ্ঠা করেন লাখ লাখ দ্বীনি মারকাজ, মসজিদ-মাদ্রাসা ও খানকা। এরূপ প্রতিটি খানকাই ছিল তৎকালীন জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চার শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয়। অপরদিকে ছিল শাসনকার্যের দফতর এবং ক্যান্টনমেন্ট স্বরূপ। এসব খানকা থেকেই এলমি রুহানি যোগ্যতা নিয়ে বের হয়েছিলেন হাজার হাজার মর্ধে মুজাহিদ। যারা ঘর ছেড়ে দুনিয়ার আনাচে-কানাচে দ্বীনের প্রচার প্রসারে বের হয়ে কাজ সম্পন্ন করে ইন্তেকাল করে ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে আছেন। তাদের মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ ছিলেন হযরত বড়পীর আব্দুল কাদের জিলানী (রহ.)। বড়পীর আবদুল কাদের জিলানীর (রহ.) সাপ্তাহিক মাহফিলে তৎকালীন জামানায় ৬০-৭০ হাজার মানুষ হাজির থাকতেন। তার কণ্ঠের আওয়াজ এবং আহ্বান শুনে অনেকেই আর ঘরে ফেরেননি, ছড়িয়ে পড়েছেন বিশ্বের সর্বত্র। কোটি কোটি মানুষ তার নিকট ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে ধন্য হয়েছেন। পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের ওলীগণের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে, বেশির ভাগই কাদেরিয়া, চিশতিয়া তরিকার শায়খ বা পীর। এ মহান ব্যক্তির ৫৪ জন সন্তানের পরবর্তী বংশধরগণ এক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা রেখে গেছেন। এমতাবস্থায় ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম ১১ শরীফ অনুষ্ঠানের গুরুত্ব কত বেশি তা একজন বুঝদার ও বিবেকবান লোকের জন্য বোঝা কঠিন নয়। এরপরও যারা ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহমের গুরুত্ব দেবে না, বুঝবে না তারা গাফেল।
দারুন নাজাত সিদ্দীকিয়ায় দু‘আ মাহফিল
পবিত্র ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম ও দাখিল পরীক্ষা-(২০১৬) উপলক্ষে ঢাকার ডেমরার দারুন্নাজাত সিদ্দীকিয়া কামিল মাদরাসায় আগামীকাল শনিবার বেলা ১২টায় এক বিশেষ দু‘আ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখবেন দৈনিক ইনকিলাবের নির্বাহী সম্পাদক ও মহাখালিস্থ গাউসুল আজম জামে মসজিদের  খতিব কবি মাওলানা রুহুল আমীন খান। সকলকে মাহফিলে অংশগ্রহণের জন্যে অনুরোধ করা হয়েছে।



 

Show all comments
  • Md abdul malek ৭ নভেম্বর, ২০২২, ১১:২৯ এএম says : 0
    আওলিয়া কেরামের জন্ম, ওফাত ও কর্ম স্মরণ করানোর জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
    Total Reply(0) Reply
  • তাসলিম ২৬ নভেম্বর, ২০২০, ৯:৪৪ পিএম says : 0
    ভারতের অবাঙালি মুসলিমরা ফাতেহা ইয়াজদহম উপলক্ষে দেশী মোরগ জবাই করে এবং ভাত তরকারি রান্না করে নিজেরা খায় অন্যদেরকেও খাওয়ায় কেন?
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পবিত্র ফাতেহা ইয়াজদাহম আজ

২২ জানুয়ারি, ২০১৬
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ