পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গাইবান্ধা জেলা সংবাদাতা : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ এমপি বলেন, বাংলাদেশ আর ভিক্ষুকের দেশ নয়। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্ব ও নিরলস পরিশ্রমের কারণে বাংলাদেশ ‘ভিক্ষুকের দেশ’ এর দুর্নাম ঘুচিয়ে সারাবিশ্বে মাত্র সাত বছরে উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ একসময় বিদেশ থেকে খাদ্য সহায়তা নিত কিন্তু বাংলাদেশ এখন নিজেই বিদেশে খাদ্য সহায়তা প্রদান করছে। তিনি আরও বলেন, সীমিত সম্পদ নিয়ে বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের অর্থনৈতিকে এগিয়ে যাওয়া চাট্টিখানি কথা নয়। অথচ তা সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে। গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিলে তিনি এ কথা বলেন।
দীর্ঘ ১১ বছর পর শনিবার স্থানীয় শাহ আব্দুল হামিদ স্টেডিয়ামে গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের প্রশাসক অ্যাডভোকেট সৈয়দ-শামস-উল আলম হীরুর সভাপতিত্বে ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরউল্যাহ এমপি এই সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পীকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়া এমপি, হুইপ মাহাবুব আরা বেগম গিনি এমপি, কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক এ.বি তাজুল ইসলাম এমপি, ডা. ইউনুস আলী সরকার এমপি, মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন এমপি, অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ এমপি, উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপি, কেন্দ্রীয় আ’লীগের উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক মাহমুদ হাসান রিপন, জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিকসহ কেন্দ্রীয় ও জেলা আ.লীগ নেতৃবৃন্দ।
ডেপুটি স্পীকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়া এমপি বলেন, আজকে আওয়ামী লীগের কাউন্সিল ও সম্মেলনে দলের নেতাকর্মীদের বিপুল উপস্থিতি প্রমাণ করে আওয়ামী লীগ এ জেলায় ঐক্যবদ্ধভাবে জনগণের কল্যাণে কাজ করে চলেছে। জনগণকে সাথে নিয়ে আওয়ামী লীগ আগামীতেও তার পথচলা অব্যাহত রাখবে বলে তিনি প্রত্যাশা করেন। তিনি আরও বলেনÑ বিদ্যুৎ সেক্টর, বিদ্যুৎ সড়ক সকল সেক্টরেই সীমাহীন দুর্নীতি বিগত সরকারের আমলে গ্রাস করে ফেলেছিল। অথচ বর্তমান সরকার প্রভুত উন্নয়ন সম্পন্ন করেছে। বিশ্বব্যাংকসহ আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকে মোকাবেলা করে শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় নিজস্ব অর্থায়নে আজ পদ্মা সেতুর কাজ এগিয়ে চলেছে।
সম্মেলন উদ্বোধনকালে কাজী জাফরউল্যাহ এমপি আওয়ামী লীগের মত বৃহত্তর রাজনৈতিক দলের কাউন্সিল যাতে নিয়মিত হয় সেব্যাপারে সকলকে তৎপর থাকতে অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে আওয়ামী লীগ যে সাংগঠনিকভাবে দৃঢ় ভিত্তির উপর সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে আজ গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের এই বৃহত্তর কাউন্সিল ও সম্মেলন সে কথারই স্বাক্ষর বহন করছে।
কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বলেন, জামায়াত-শিবির বিএনপি চক্র সন্ত্রাসী তা-ব চালিয়ে ব্যর্থ হয়ে এখন তারা আত্মরক্ষার্থে গর্তে ঢুকে পড়েছে। এই সন্ত্রাসী চক্রকে আর গর্ত থেকে বেরিয়ে আসতে দেয়া হবে না। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাদের শক্ত হাতে মোকাবেলা করবে।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক এ.বি তাজুল ইসলাম এমপি বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের দীর্ঘকাল অতিক্রান্ত হলেও স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার আল বদর চক্রের বিচার কেউ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পারেনি। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা জনগণের সমর্থন নিয়ে স্বাধীনতা চক্রের শুধু বিচারই করেননি। তাদের দম্ভক্তিকে উপেক্ষা করেও ফাঁসির কাষ্টে ঝুলিয়েছেন।
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের হুইপ মাহাবুব আরা বেগম গিনি এমপি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গাইবান্ধা তথা সারাদেশে উন্নয়নের জোয়ার বইছে। সারাদেশের মানুষ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধুর কাক্সিক্ষত সোনার বাংলা গড়তে আজ ঐক্যবদ্ধ। তিনি আরও বলেন, আজ এই কাউন্সিল ও সম্মেলনকে ঘিরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের যে তৎপরতা বেড়েছে এই তৎপরতাকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবেএই ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে জেলার সাতটি উপজেলা থেকে বিপুলসংখ্যক আ’লীগের নেতাকর্মী বর্ণাঢ্য সাজে ও ঢাকঢোল বাজিয়ে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায় অংশগ্রহণ করে। বিশাল স্টেডিয়াম মাঠটি লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে। গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের এই সম্মেলনে শরণাতীতকালেও এতো বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত হয়নি বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
সম্মেলন শেষে অ্যাডভোকেট সৈয়দ-শামস-উল আলম হীরুকে সভাপতি ও আবু বকর সিদ্দিককে সাধারণ সম্পাদক করে জেলা আ’লীগের কমিটি গঠিত হয়। পরে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত হবে বলে জানানো হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।