পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিলের চক্রান্ত বন্ধ না হলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হব। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম এদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানের প্রাণের সাথে মিশে আছে। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম একটি মীমাংসিত বিষয়। এতে করে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বিশ্বে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কাজেই ইসলাম নিয়ে যে কোন ষড়যন্ত্র দেশবাসী জীবন দিয়ে রুখবে। যারা বিভিন্নভাবে উস্কানি দিয়ে সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে চায় তাদের বিতাড়িত করতে হবে। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধান থেকে বাতিল করার লক্ষ্যে রিটের নামে ইসলামের বিরুদ্ধে গভীর চক্রান্তে মেতে উঠেছে সাম্প্রদায়িক উস্কানিদাতা শক্তি ‘হিন্দু, বৌদ্ধ-খৃষ্টান ঐক্য পরিষদ’। হাজার বছরের ঐতিহ্য সাম্প্রদায়িকতা ও সকল ধর্মের সহ-অবস্থান ও সম্প্রীতি ধ্বংসের গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ বলেই মনে হচ্ছে।
আজ (শনিবার) বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টনস্থ হাউজবিল্ডিং চত্বরে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিলের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ইসলামী আন্দোলন ঢাকা মহানগরীর আয়োজিত বিশাল বিক্ষোভ-পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। ঢাকা মহানগরী সভাপতি অধ্যাপক এটিএম হেমায়েত উদ্দীনের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারী মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূমের পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী প্রমুখ।
বিক্ষোভ-পূর্ব সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, সাম্প্রদায়িক সংগঠন ‘হিন্দু, বৌদ্ধ-খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের’ ইচ্ছানুযায়ী রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাদ দেয়ার ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের অপচেষ্টা হলে ঈমানদার জনতা রুখে দাঁড়াবে। যদি রীটের রায়ের নামে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামকে বাদ দেয়ার কোন ষড়যন্ত্র করা হয় তাহলে মুসলিম অধ্যুষিত এই দেশের ধর্মপ্রাণ তৌহিদী জনতা কোনভাবেই তা মেনে নিবে না। এ ধরনের সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার ভয়ঙ্কর চক্রান্ত হচ্ছে তা সরকারকে বুঝতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক মাওলানা এটিএম হেমায়েত উদ্দিন বলেন, বিগত ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারেও কুরআন-সুন্নাহ বিরোধী আইন করবে না বলে ওয়াদা করে। কেননা আওয়ামী লীগও বুঝতে পারে যে, এ ধরনের কথা না বললে ভোট পাওয়া যাবে না। সরকারের উচিত ইশতেহারের এ অংশটুকু জাতীয় সংসদে পাস করে সংবিধানে সন্নিবেশিত করা। তিনি বলেন, সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাদ দেবার আবেদন করে হাইকোর্টে দায়ের করা রিটটি সংশ্লিষ্টদের অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। জনস্বার্থ, সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের ধর্মীয় চেতনা, সর্বোপরি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার স্বার্থে এ ধরনের বিতর্কিত বিষয়ে দায়েরকৃত রিট খারিজ করে দিন।
সমাবেশ শেষে একটি বিশাল মিছিল পুরানা পল্টন, দৈনিকবাংলা, বায়তুল মোকাররম উত্তর গেইট হয়ে পল্টন মোড় পৌঁছলে পুলিশ মিছিলের গতিরোধ করে। পরে পুনরায় মিছিলটি হাউজবিল্ডিং এসে মুনাজাতের মাধ্যমে শেষ করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।