পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : দেশের সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আইনজীবী ড. কামাল হোসেন বলেছেন, স্বাধীন বাংলাদেশে দেশের সকল নাগরিকের সমান অধিকার থাকতে হবে। আইনের শাসনে এখানে বৈষম্যের কোনো সুযোগ নেই। নতুন প্রজন্মকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, অধিকার রক্ষা করতে হলে শক্তি সঞ্চয় করতে হবে। সকলকে সোচ্চার হতে হবে, সক্রিয় হতে হবে। গতকাল রাজধানীর গ্রিন রোডে এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বাংলাদেশের মানবাধিকার-২০১৬’ বিষয়ক এক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। গোলটেবিলে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের তিন শিক্ষক এ এন এম আতাহার আলী, আবদুর রহিম এবং আবদুল্লাহ আল নোমান। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী, ড. শাহদীন মালিক, বিচারপতি আমিরুল কবীর চৌধুরী, রাশেদা কে চৌধুরী, ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর, আয়েশ খানম, কাইউম রেজা চৌধুরী, ইশফাক এলাহী চৌধুরী প্রমুখ।
প্রবন্ধে বাংলাদেশে মানবাধিকারের চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিচারবহির্ভূত হত্যাকা-, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক গুম, কথা বলা ও সভা-সমাবেশের সংকুচিত অধিকার, ঝুঁকিপূর্ণ ভোটাধিকার, নির্বিচার গ্রেপ্তার এবং দুর্নীতিকে চিহ্নিত করা হয়। তবে এটাও বলা হয়, নাগরিকদের খাদ্য, শিক্ষা ও কাজের অধিকারের উন্নতি ঘটেছে। গত দুই দশকে নারীর ক্ষমতায়ন হয়েছে, মাতৃমৃত্যু হার কমেছে। মানুষের সামগ্রিক জীবনমানের উন্নতি ঘটেছে।
ড. কামাল হোসেন নিরপেক্ষতা ও আইনের শাসনের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, সংবিধান অনুসারে দেশের মালিক জনগণ। তাই মানবাধিকার কোনো আকাক্সক্ষার ব্যাপার না, এটা শহীদের স্বপ্ন। আমি অপ্রিয় সত্য কথা বলি, এই সার্টিফিকেট আমাকে বঙ্গবন্ধুই দিয়ে গেছেন। স্বাগত বক্তব্যে এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী বলেন, সম্প্রতি পত্র-পত্রিকায় দেখলাম, পুলিশ নিজেদের দেশের রাজা বলছে। একটা সুশৃঙ্খল বাহিনী যদি নিজেদের দেশের রাজা মনে করে, তাহলে তা দুঃখজনক। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বিচারকদের অবসরের পর রায় লেখা নিয়ে সাম্প্রতিক বিতর্কের বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন, অনেক কিছুই আইনে লেখা থাকে না। প্রথার মাধ্যমে তা করতে হয়। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে বিচারকদের ছুটি দেয়া হয় রায় লেখার জন্য। এখানেও ছুটি দেয়া হয় ঘরে বসে রায় লেখার জন্য। আশা করব, অবসরের আগেই বিচারকেরা রায় লিখবেন। আমাদের দেশে স্বাধীনতার পর থেকেই একটা চর্চা চলে এসেছে, এটা কীভাবে কমানো যায়, তা দেখতে হবে। কিন্তু এটাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক বিতর্ক সৃষ্টি করা অনভিপ্রেত। বিচারপতি আমিরুল কবীর চৌধুরী বলেন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকা- বন্ধ হওয়া উচিত। যেসব ঘটনাকে ক্রসফায়ার বলা হচ্ছে, তা তদন্ত করে দেখা উচিত। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, শিক্ষার জন্য শিক্ষা এখন প্রতিষ্ঠিত হয়নি। এখনো প্রতি পাঁচজনে একজন ঝরে পড়ছে। অদম্য মেধাবী ছাড়া গ্রামের ছেলে-মেয়েরা মেডিকেল-বুয়েটে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছে না। ড. শাহদীন মালিক বলেন, রিমান্ডের নামে ব্যক্তিকে নিজের বিরুদ্ধে নিজেকে সাক্ষী দিতে বাধ্য করা হয়। কাউকে সন্দেহ হলে পিটিয়ে স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়। অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন, মানবাধিকার বিষয়টা ভালো; কিন্তু এর ওপর ভর করে বিদেশি হস্তক্ষেপ করা হয়। মানবাধিকারের ঘুঘু দেখছি, ফাঁদ দেখছি না। আমার মনে হয়, দুটোই দেখা দরকার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।