পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বন্যা পরিস্থিতি ধামাচাপা দিতেই গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীদের ওপর হামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার। গতকাল রোববার বিকেল চারটায় জাতীয় প্রেসক্লাবে গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীদের ওপর একের পর এক হামলার পরিপ্রেক্ষিতে এক সংবাদ সম্মেলন তিনি এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনের মূল বক্তব্য পাঠ করেন গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার। তিনি বলেন,১৭ আগস্ট ত্রাণ তৎপরতা জোরদারের দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচি শেষে পূর্বঘোষিত ত্রাণ সংগ্রহ কার্যক্রম চলাকালে অতর্কিতে একদল উচ্ছৃঙ্খল যুবক ‘বন্যা কই পাইছিস? দেশে কোনো বন্যা নেই, তোরাই বন্যার গল্প বানাইছিস’ বলে লাঠিসোঁটা নিয়ে গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এতে কমপক্ষে পাঁচজন আহত হন। যাঁদের মধ্যে গুরুতর আহত রিয়াজুল আলম ভূঁইয়া এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ইমরান বলেন, এ ঘটনায় শাহবাগ থানায় একটি মামলা করা হলেও এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হয়নি। যদিও হামলাকারীদের চিহ্নিত করার উপাদান হিসেবে আক্রমণকারীদের ফেলে যাওয়া একটি সচল মোবাইল ফোন ও ছবি পুলিশের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী সময়ে গত পরশু হামলার প্রতিবাদ জানানো এবং একই সঙ্গে ত্রাণ সংগ্রহের জন্য গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা শাহবাগে অবস্থান নিলে পুলিশ কর্মসূচি পালন করতে বাধা দেয়। পরে সংবাদমাধ্যমে আমাদের ব্রিফিং শেষে ফেরার পথে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে এলে একই গোষ্ঠী পেছন থেকে মঞ্চের কর্মীদের ওপর কাপুরুষোচিত হামলা চালায়। এতেও কমপক্ষে আটজন কর্মী আহত হন। কিন্তু পুলিশের নাকের ডগায় উপর্যুপরি এই হামলার পরও সরকার বা প্রশাসনের তরফে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়া নিশ্চিতভাবেই প্রমাণ করে যে এই ধারাবাহিক হামলার পেছনে সরকারের ইন্ধন ও যোগসাজশ রয়েছে।
ইমরান এইচ সরকার বলেন, এটি সুস্পষ্টভাবে প্রতীয়মান যে জনদুর্ভোগ থেকে মানুষের দৃষ্টি সরিয়ে পুরো ব্যাপারটিকে অপরাপর ইস্যুগুলোর মতোই ধামাচাপা দিতে ও গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত করতেই সরকার এসব হামলা-মামলা অব্যাহত রেখেছে। আমরা সুস্পষ্ট ভাবে বলে দিতে চাই,অব্যাহত এই হামলা-মামলার পরিপ্রেক্ষিতে কোনো অনভিপ্রেত পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে তার সম্পূর্ণ দায়ভার সরকার ও প্রশাসনকেই নিতে হবে। গণজাগরণ মঞ্চ সব বাধা প্রতিরোধ করেই রাজপথে ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে।
সারা দেশে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে উল্লেখ করে ইমরান বলেন, গতকাল পর্যন্ত গণমাধ্যমে প্রচারিত সংবাদসূত্রে জানা গেছে, এ পর্যন্ত ৩০টি জেলার অন্তত ৬০ লাখ মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন। প্রাণহানির সংখ্যা এরই মধ্যে শতক ছাড়িয়েছে। দুর্গত এলাকায় খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও জরুরি চিকিৎসাসেবার অভাব সাধারণ মানুষকে চরম দুর্ভোগের মুখে ঠেলে দিয়েছে। গৃহপালিত পশুপাখির মৃত্যু এবং বানের পানিতে বিস্তীর্ণ ফসলি জমি তলিয়ে যাওয়া সৃষ্টি করেছে দীর্ঘমেয়াদি অভাব ও দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা।
গণজাগরণ মঞ্চ ইতিমধ্যেই ‘বানভাসি মানুষের পাশে তারুণ্য; বাঁচাও মানুষ’ শীর্ষক কর্মসূচি ঘোষণা করে ত্রাণ সংগ্রহ কার্যক্রম পরিচালনা করছে, যা থেকে সংগৃহীত ত্রাণসামগ্রী দুর্গত এলাকায় পৌঁছে দেওয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষাবিদ অজয় রায়, মানবাধিকারকর্মী খুশী কবির, ডাক্তার নাজিমুদ্দিন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি ইমরান হাবিব, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি জিলানী শুভ প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।