পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশে আর হাওয়া ভবনের শাসন আসতে দেয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। তিনি বলেন, ঘাতকদের বাংলাদেশের মাটি থেকে চিরতরে নির্মূল করতে হবে। দেশে আর হাওয়া ভবনের শাসনে ফিরে আসতে দেয়া যাবে না। তাই আগামী নির্বাচনে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিরা যাতে ক্ষমতায় না আসে সেজন্য আপনাদের সজাগ থাকতে হবে।
গতকাল শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ‘ভুলি নাই, ভুলবো না’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত আলোচনা সভার সভাপতিত্বে করেন সংগঠনের সভাপতি এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
বাংলাদেশে আবার চক্রান্ত শুরু হয়েছে উল্লেখ করে নাসিম বলেন, এই চক্রান্তের মূল হোতা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। সেই অশুভ কালো হাত আবার ছোবল দেয়ার জন্য প্রস্তুত হয়েছে। জাতীয় শোক দিবস ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধু কন্যাকে হত্যা করার জন্য চক্রান্ত করা হয়েছিল। কিন্তু আল্লাহর রহমতে ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতার কারণে ওই চক্রান্ত এবারও সফল হয়নি।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর খুনিদেরকে বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুনর্বাসিত করেছিলেন, তাদেরকে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন, তিনিই এই হত্যাকান্ডে গ্রীণ সিগনাল দিয়েছিলেন। এগুলো আমরা ভুলিনাই, ভুলবোনা। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারকে হত্যা করার সময় সেখানে গর্ভবতী নারী ও শিশু ছিল। সেদিন যে মানবাধিকার লংঘন হয়েছিল, বছরের পর বছর এটি নিয়ে গ্রোপাগান্ডা করা হয়েছে, মিথ্যাচার হয়েছে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কেবল একজন সফল রাজনীতিবিদই ছিলেননা, তিনি ছিলেন একজন দক্ষ রাষ্ট্রনায়ক। তিনি ২৯০ টির মতো ব্রিজ নির্মাণ করেছিলেন, ২৭৫টি কালভার্ট নির্মাণ করেছেন, গুচ্ছগ্রাম প্রকল্প শুরু করেছিলেন। তিনি মাত্র ১১ মাসের মাথায় আমাদেরকে শাসনতন্ত্র দিয়েছিলেন, তিন মাসের মাথায় ভারতের সৈন্যকে ভারতে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছিলেন। ১১৬টি দেশের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন। একজন দক্ষ রাষ্ট্রনায়ক ছাড়া এগুলো কাজ করা সম্ভব না।
‘ভুলিনাই ভুলবোনা’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সাংস্কৃতিক জোটের এ সমাবেশে দেশের শীর্ষস্থানীয় কবি, সাহিত্যিক ও শিক্ষক প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।