পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আমদানি হলেও কমেনি চালের দাম : দ্বিগুণ দাম পেঁয়াজের : বাড়ছে কাঁচা সবজি-মাছসহ মসলার দাম
লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। চাল-ডাল-মসলা থেকে শুরু করে কাঁচা সবজি-মাছ-গোশতের গগনস্পর্শী দামে পিষ্ট দেশের মানুষ। দীর্ঘদিন থেকে চালের বাজার অস্থির। তারপর আবার বন্যায় ফসলের ক্ষয়-ক্ষতিতে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছেই। এছাড়া কিছুদিন ধরে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধিই কাঁচাবাজারের মূল আলোচনার বিষয়। তবে পেঁয়াজের পাশাপাশি বাড়ছে রসুন, আদাসহ অন্যান্য মসলার দাম। ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে আগেভাগে মসলার দাম বাড়াচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। বন্যায় ফসলের ক্ষতি হওয়ায় বাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সবজির দাম। চলতি বন্যায় এ পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চলের ২ লাখ ৮৫ হাজার ৮৪৭ হেক্টর জমির ফসল পানিতে তলিয়ে আছে। যার প্রভাব পড়ছে বাজারে। ইতোমধ্যে বন্যাকবলিত জেলাগুলোতে সবজির দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে।
এদিকে উত্তরাঞ্চলের চলমান বন্যায় ফসলের ক্ষয়-ক্ষতি এবং ঢাকাসহ সারাদেশের বন্যার আশঙ্কা এবং সামনে কোরবানির ঈদ হওয়ায় দ্রব্যমূল্যের দাম আরও বাড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অপরদিকে বাণিজ্যমন্ত্রীও বৃষ্টি ও বন্যার কারণে পণ্যের দাম বাড়ার আশঙ্কা করেছেন। আর তাই সবমিলিয়ে নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে বিপাকে দেশের মানুষ। যদিও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে কোনো পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাবে না। তাছাড়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাজার মনিটরিং টিম নিয়মিত বাজার মনিটরিং করবে। পেঁয়াজের অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধি নিয়ে ওই সময়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এটা সাময়িক, দাম কমে যাবে। বিষয়টি আমি নিজে দেখব।’ যদিও মন্ত্রী বলেছেন, নিত্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। ঈদের সময় যা ছিল, ওখান থেকে কমেছে। বৃষ্টি ও বন্যার কারণে দু’একটি পণ্যের দাম হয়তো বাড়তে পারে। সেটাও দেখা হচ্ছে। এদিকে বন্যায় দেশে খাদ্য সঙ্কট মোকাবিলায় চালের আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ করা হয়েছে। নতুন নির্ধারিত আমদানি শুল্কে ১৫ লাখ টন চাল ও ৫ লাখ টন গম ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
নিত্যপণ্যের দাম বাড়ায় প্রভাব পড়ছে মূল্যস্ফীতিতে। এবারের বাজেটে চলতি অর্থবছরের মূল্যস্ফীতি ধরা হয়েছে ৫ দশমিক ৫০শতাংশ। অথচ গত জুন মাসে ছিল ৫.৯৪ শতাংশ। যা কিছুটা কমে জুলাইতে দাড়িয়েছে ৫.৫৭ শতাংশে। সার্বিক মূল্যস্ফীতি জুন মাসে ৫.৯৪ শতাংশ হলেও এক চালের দাম বাড়ায় খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি দাড়ায় ৭.৫১ শতাংশ। যা কিছুটা কমে জুলাই মাসে দাঁড়িয়েছে ৬.৯১ শতাংশে, অথচ জুলাই মাসের সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৫.৫৭ শতাংশ। তাই আগস্ট মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি এবং খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
চাল রফতানিকারক থেকে আমদানিকারক
গত চার বছর ধরে সরকারি খাতে কোনো চাল আমদানি করেনি বাংলাদেশ। বরং শ্রীলংকায় চাল রফতানি করে। বিশ্বের চতুর্থ চাল উৎপাদনকারী দেশ বাংলাদেশ এখন বিশ্বের অন্যতম প্রধান আমদানিকারকে পরিণত হয়েছে। প্রায় ১০ বছর পর নতুন করে চালের সঙ্কটে পড়ে বাজার স্থিতিশীল রাখতে আমদানিই এখন সরকারের একমাত্র ভরসা।
চার বছর ধরে সরকারি খাতে কোনো চাল আমদানি হয়নি। কিন্তু এ বছর বন্যা ও অতিবৃষ্টিতে হাওরের ফসল নষ্ট হওয়ার পর পর্যাপ্ত মজুদ না থাকায় চালের সঙ্কট দেখা দেয়। গত দুই মাসে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে ৫৭ হাজার টন চাল সরকারি গুদামে এসেছে। তবে চালের সরকারি চাহিদার তুলনায় তা সামান্যই। এখনো খোলা বাজারে পুরোদমে চাল বিক্রি শুরু করতে পারেনি খাদ্য অধিদপ্তর। অন্যান্য সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির কার্যক্রমও সীমিত করা হয়েছে। তবে খাদ্যমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম মনে করছেন, দেশে চালের কোনো সঙ্কট নেই। বাজার পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আছে। সামনের দিনে আমদানি বাড়লে দাম আরও কমে আসবে।
এদিকে চাল নিয়ে দেশে একই ধরনের সমস্যা দেশে তৈরি হয়েছিল ২০০৭-০৮ সময়ে। তখন চালের দাম কেজিপ্রতি ৪০ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। আর এবার মোটা চাল ৪৮ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত হয়। তবে প্রথম দফায় আমদানি শুল্ক কমানোর পর মোটা চালের দর ৩ টাকা কমলেও এখন তা আবার বেড়েছে। বর্তমানে উত্তরাঞ্চলের বন্যায় যার প্রভাব আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ
প্রতিদিনের রান্নায় অতি প্রয়োজনীয় উপাদান পেঁয়াজ। চালের পর হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বাড়ায় বিপাকে ক্রেতারা। আমদানি না বাড়লে দাম আরও বাড়বে বলে মনে করছেন বিক্রেতারা। বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, দেশের চাহিদা মেটাতে ব্যবসায়ীরা মিসর ও পাকিস্তান থেকে পেঁয়াজ আমদানি করেছেন। তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির কারণ সম্পর্কে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ‘বাংলাদেশের পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণ করে ভারত। ভারত ও বাংলাদেশে প্রচুর বৃষ্টি হয়েছে। এতে উভয় দেশেই পেঁয়াজ উৎপাদন ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভারতে ক্ষতি হওয়ায় তারা পেঁয়াজের দাম বাড়িয়েছে। যে কারণে আমাদের বেশি দামে আমদানি করতে হচ্ছে।’ ক্রেতাদের মতে, মৌসুমী ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পেঁয়াজ আটকে রেখে কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করে, প্রতিবছরের মতো কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে মুনাফার লোভে অসাধু চক্রের দৌরাত্ম্য ও বাজারে তদারকির অভাবে দাম বাড়াচ্ছে ব্যবসায়ীরা।
রাজধানীর পেঁয়াজের পাইকারি বাজার ঘুরে দেখা যায়, অল্প দিনের ব্যবধানে কেজিতে দাম বেড়েছে ২০ টাকা পর্যন্ত। আর সরকারি হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে দাম বেড়েছে ২৮ থেকে ৩৩ টাকা। অর্থাৎ দ্বিগুনেরও বেশি। অথচ বিগত অর্থবছর দেশে বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। দেশে উৎপাদন ও আমদানি মিলিয়ে পণ্যটির সরবরাহ চাহিদার তুলনায় বেশি। কিন্তু ভারতে দাম বাড়ায় ব্যবসায়ীরা দেশে দাম দ্বিগুণ করে ফেলার সুযোগ পেয়েছেন। একই সঙ্গে কোরবানির সময় দেড় থেকে দুই লাখ টন বাড়তি পেঁয়াজের চাহিদা তৈরি হয়। এ চাহিদাকে পুঁজি করেই সক্রিয় হয়ে ওঠে সিন্ডিকেট।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ১০ লাখ ৪১ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে, যা আগের বছরের চেয়ে ৪৭ শতাংশ বেশি। সর্বশেষ জুলাই মাসে আমদানি হয়েছে ১ লাখ ৩ হাজার টন পেঁয়াজ, যা আগের মাসের তুলনায় ৫৫ শতাংশ বেশি।
বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনের দ্রব্যমূল্য মনিটরিং সেলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের বাজারে পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। এতে বাংলাদেশের বাজারেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। আমদানিকারকেরা বলছেন, মিসর থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে কমপক্ষে দুই মাস লাগে। ফলে ঈদুল আজহার আগে মিসরের পেঁয়াজ আসছে না। তাঁদের মতে, পেঁয়াজের দাম উল্লেখযোগ্য হারে কমবে আগামী ডিসেম্বরে, যখন দেশে ও ভারতে নতুন মৌসুমের পেঁয়াজ উৎপাদন শুরু হবে।
সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে গত এক মাসে ঢাকার বাজারে পণ্যটির দাম ১১৩ শতাংশ বেড়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ আকারভেদে সর্বনিম্ন ৬০ ও সর্বোচ্চ ৭০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে, যা এক মাস আগে ৩০-৩৫ টাকা ছিল। অন্যদিকে ভারতীয় পেঁয়াজ মানভেদে ৫০-৫৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে, যা ছিল ২৫ টাকা।
কারওয়ান বাজার থেকে গতকাল পেঁয়াজ কিনে ফেরার সময় পান্থপথের বাসিন্দা আলমগীর হোসেন বলেন, ‘মাস দেড়েক আগে পাইকারি দোকান থেকে ১০ কেজি পেঁয়াজ কিনেছিলাম ২৫০ টাকা দিয়ে। এখন ৫ কেজি কিনতে লাগল ২৭৫ টাকা।’
চাল বা পেঁয়জের দামই নয়; রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, দেশি রসুন বিক্রি হয়েছে ১০০ থেকে ১১০ টাকায়। আগের সপ্তাহে ছিল ৯০ থেকে ১০০ টাকা। চীন থেকে আমদানি করা রসুন ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এই রসুনের দামও কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। আদার দামও বেড়েছে প্রতিকেজিতে ১০ টাকা। চীন থেকে আমদানি করা আদা ১২০ টাকায় এবং দেশি আদা ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শুকনো মরিচের দাম ১০ টাকা বেড়ে ২০০ টাকা হয়েছে। অন্যান্য মসলার মধ্যে দারুচিনি ৩৬০, জিরা ৪৫০, লবঙ্গ ১৫০০, এলাচ ১৬০০ এবং হলুদ ১৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
কাঁচাবাজারে বেড়েছে সব ধরনের সবজি ও মাছের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে সবজির দাম কেজি প্রতি বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা। বাজারে ৬০ টাকার নিচে কোনো সবজি নেই। শত টাকার উপরে বিক্রি হচ্ছে শিম, টমেটো ও কাঁচামরিচের কেজি। একই অবস্থা মাছের দামেও। তবে স্থিতিশীল রয়েছে মুরগি ও মাংসের দাম। রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, বেগুন, বরবটি, মূলা, পেঁপে, কাঁকরোল, করলা, ঝিঙা, চিচিঙ্গাসহ বেশিরভাগ সবজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা বা তারও বেশি দামে। এছাড়া শিম ১১০-১২০ টাকা, টমেটো ১৩০-১৪০ টাকা, কাঁচামরিচের কেজি ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১২০-১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সবজি বিক্রেতা তারেক বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় সবজির দাম কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। বৃষ্টির কারণে সরবরাহ কম। এ ছাড়াও বন্যায় কৃষকের ফসল নষ্ট হয়েছে। আর বর্ষা মৌসুমে সবজি কম পাওয়া যায়। এসব কারণে সবজির দাম বেড়েছে। অপরদিকে সবজির সঙ্গে মিল রেখে বেড়েছে মাছের দামও।
মুদি দোকানি মো. শফিকুল ইসলাম জানালেন, কোরবানি ঈদে অন্যান্য সময়ের চেয়ে মসলার চাহিদা সবচেয়ে বেশি থাকে। এ কারণে আগে থেকেই দাম বেড়েছে। বাজার করতে আসা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী আবদুল হক বললেন, নিত্যপণ্যের দাম বেড়েই চলছে। যাদের আয় কম তাদের কষ্ট কেউ বোঝে না। মসলার দাম এভাবে বাড়তে থাকলে মসলা ছাড়া খাবার খেতে হবে।
বাজার তদারকরি করা দরকার মন্তব্য করে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, স্মরণকালের ইতিহাসে এ বছর সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। বর্তমানে উত্তরাঞ্চলে বন্যা চলছে। ফলে পেঁয়াজসহ অন্যান্য ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় দামে প্রভাব পড়ছে। ব্যবসায়ীদের হাতেও বাজার একেবারে ছেড়ে দেয়া যাবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, তদারকি অবশ্য করা দরকার। কারণ আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, সেপ্টেম্বরে আরো বৃষ্টিপাত হতে পারে। তখন যেন নিত্যপণ্যের দাম হাতের নাগালে থাকে সেজন্য এখনই প্রস্তুত থাকা দরকার।
সামগ্রিক বিষয়ে সাবেক তত্ত¡াবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এম এম শওকত আলী বলেন, সরকার সঙ্কট মোকাবিলার সিদ্ধান্ত নিতে যদি সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগে, তাহলে তার খেসারত তো দিতেই হবে। এ বছর যেভাবে একের পর এক প্রাকৃতিক দুর্যোগ হচ্ছে, তাতে সামনে খাদ্য নিয়ে আরও বড় সঙ্কট দেখা দিতে পারে। এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হলে খাদ্য মন্ত্রণালয়কে জবাবদিহির মধ্যে আনতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।