পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, জাপান বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে আরো বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশের পর জাপানি উদ্যোক্তাদের জন্য একটি বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল (এসইজেড) গড়ে তুলছে সরকার।
গতকাল শিল্পমন্ত্রীর সঙ্গে তার কার্যালয়ে জাপানের রাষ্ট্রদূত মাসাতো ওয়াতানাবে বিদায়ী সাক্ষাতে এলে আমির হোসেন আমু এ কথা বলেন। সাক্ষাতকালে দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় ছাড়াও বাংলাদেশের শিল্পখাতে জাপানি বিনিয়োগ, প্রযুক্তি স্থানান্তর, জাপানি কারখানা বাংলাদেশে স্থানান্তরসহ অন্যান্য বিষয়ে আলোচনা হয়। এ সময় শিল্পসচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ্, অতিরিক্ত সচিব বেগম পরাগ ও দাবিরুল ইসলাম, বিসিআইসির চেয়ারম্যান শাহ মো. আমিনুল হক, বিএসএফআইসির চেয়ারম্যান এ.কে.এম দেলোয়ার হোসেনসহ শিল্প মন্ত্রণালয় ও জাপান দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জাপান বাংলাদেশে আরো বেশি পরিমাণে মানসম্মত পণ্য রপ্তানি করতে পারে উল্লেখ করে শিল্পমন্ত্রী আরও বলেন, ১৯৭৩ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জাপান সফরের মাধ্যমে দু’দেশের মধ্যে অর্থবহ দ্বিপাক্ষিক উন্নয়ন সম্পর্কের সূচনা হয়। এর ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধু বহুমুখী সেতু নির্মাণ, পদ্মা সেতুর প্রাক-সমীক্ষা, মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎ উৎপাদনসহ বিভিন্ন প্রকল্পে জাপান অর্থায়ন করে আসছে। তিনি বাংলাদেশে মোটরগাড়ি উৎপাদন শিল্পে বিনিয়োগে এগিয়ে আসতে বিদায়ী রাষ্ট্রদূতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ সব সময় জাপানি বিনিয়োগকে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে। জাপানি নাগরিকদের নিরাপত্তা দিতে সরকার সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিয়েছে। তিনি মালয়েশিয়ায় জাপানি বিনিয়োগে স্থাপিত ও বর্তমানে বন্ধ থাকা সনি কারখানা বাংলাদেশে স্থানান্তরের জন্য রাষ্ট্রদূতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। বাংলাদেশের প্রশিক্ষিত কারিগরি জনবল দক্ষতার সাথে এ কারখানা পরিচালনায় সক্ষম বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বিদায়ী রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে তার দায়িত্ব পালনে সহায়তার জন্য শিল্পমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের কর্মতৎপরতা, সৃজনশীলতা ও বন্ধুসুলভ মনোভাবের প্রশংসা করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার সূচিত অর্থনৈতিক উন্নয়নের ফলে বাংলাদেশ বিদেশি বিনিয়োগের আকর্ষণীয় স্থানে পরিণত হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। তিনি বাংলাদেশ থেকে অধিক পরিমাণে পণ্য আমদানি এবং বাংলাদেশের মোটর যান উৎপাদন শিল্পে বিনিয়োগে এগিয়ে আসতে জাপানি উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।