পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : জাতীয় শোক দিবসে হত্যা ষড়যন্ত্র ও অশুভ রাজনীতি থেকে বের হয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব উল আলম হানিফ।
গতকাল মঙ্গলবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনে দুস্থদের মাঝে ১৫ আগস্টের কাঙালি ভোজের খাবার বিতরণের আগে তিনি এ আহ্বান জানান।
হানিফ বলেন, আজকের এই শোক দিবসে গোটা জাতির কাছে আমাদের আহ্বান, আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধ হই। আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে এই বাংলাদেশে যারা ষড়যন্ত্র করে, হত্যার রাজনীতি করে, তাদের বের করে দেয়ার জন্য শেখ হাসিনার ডাকে ঐক্যবদ্ধ হই। বিএনপি জামায়াত দেশে হত্যা ও ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত দাবি করে হানিফ বলেন, বিএনপি জামায়াত অশুভ রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এই অশুভ রাজনীতি, হত্যা ষড়যন্ত্রের রাজনীতি চিরতরে নির্মূল করে দিতে পারি এই হোক আজকে আমাদের অঙ্গিকার।
বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচারের দাবি জানিয়ে হানিফ বলেন, জাতির পিতার হত্যার পেছনের মূল চক্রান্তকারীদের মুখোশ উন্মোচন হওয়া প্রয়োজন। এটা আজকে জনগণের দাবি। আমরা আজকে শোক দিবসে এটা দাবি করছি। বঙ্গবন্ধু হত্যার পেছনে মূল চক্রান্তকারী খুনি জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার দাবি করছি। তার বিচারের মাধ্যমে জনগণের সামনে চক্রান্তকারীদের মুখোশ উন্মোচিত হবে।
তিনি বলেন, অবিলম্বে এই খুনি জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার করা হোক। এই বিচারের জন্য তদন্ত কমিশন গঠনের দাবি জানাচ্ছি।
বঙ্গবন্ধু হত্যার মাধ্যমে এদেশে হত্যার রাজনীতি শুরু হয়েছে দাবি করে হানিফ আরও বলেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যার মধ্য দিয়ে এদেশে হত্যার রাজনীতি শুরু হয়েছে। আপনারা লক্ষ্য করেছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর থেকে বারবার তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। এই পর্যন্ত ১৯ বার তাকে হত্যার চেষ্টা হয়েছে। শেখ হাসিনা আবার ক্ষমতায় আসার পর থেকে জঙ্গি দিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। এরা এখনো তৎপর। আজকেও জাতির পিতাকে শ্রদ্ধা জানাতে আসা মনুষকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। আল্লাহর অশেষ রহমতে সেই আত্মঘাতী বোমায় হামলাকারী নিজেই নিহত হয়েছে।
বিএনপি জামায়াত জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িত দাবি করে হানিফ বলেন, আপনারা জানেন, এই দেশে যত জায়গায় জঙ্গি হামলা হয়েছে, এর সঙ্গে যারা জড়িত রয়েছে তারা সবাই বিএনপি জামায়াতের সঙ্গে সম্পৃক্ত। আজকেও সাইফুল ইসলাম নামের যে ঘাতক ছেলেটি নিহত হয়েছে সে শিবিরের সঙ্গে জড়িত ছিল। সে বিএল কলেজের ছাত্র শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয়, এই দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করতে তৎপর রয়েছে জামায়াত-বিএনপি গোষ্ঠী।
জাতীয় শোক দিবসের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচির আওতায় রাজধানীর বিভিন্ন ওয়ার্ড পর্যায়ে কাঙালীভোজের আয়োজন করে দলটি। এর অংশ হিসেবে খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।