পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টালিন সরকার : এরশাদের সাবেক স্ত্রী বিদিশা বলেছিলেন ‘কবি এরশাদের মন হলো লন্ডনের আকাশ/এই রোধ এই বৃষ্টি’। লন্ডনের আকাশের নাকি মতিগতি বোঝা যায় না। প্রখর রোদ দেখে ঘর থেকে বের হলেন কিন্তু হঠাৎ দেখছেন বৃষ্টি শুরু হয়ে গেছে। বিদিশার এই কথার যথার্থতা জানা না গেলেও জাতীয় পার্টি আর দশটা দল থেকে যে ব্যতিক্রমী রাজনৈতিক দল তা সহজেই বোঝা যায়। এরশাদের জাতীয় পার্টির রাজনীতি হলো ‘এই ঝড়/এই শান্ত’। মাঝে মাঝেই এরশাদের ব্যক্তিজীবন ও দলের অভ্যন্তরে ঝড় ওঠে। যেন ল-ভ- হয় যাবে এরশাদের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার। সাগরের মাঝখানে পড়ে যাবে জাতীয় পার্টি। কিন্তু ঝানু নাইয়ার মতো ঠিকই এরশাদ ঝড় সামলে এগিয়ে যান। ঝড় থেকে বেঁছে গিয়ে জাতীয় পার্টির আকাশে আলোর ঝিলিক দেখা দেয়। ভাইকে কো-চেয়ারম্যান করায় এরশাদের জাতীয় পার্টিতে যে ঝড় উঠেছিল; দেশি-বিদেশি মিডিয়ায় স্বামী-স্ত্রীর বিরোধ খবরের শিরোনাম হয়েছিল: সে ঝড় থেমে গেছে। দলের নেতাদের অনেকেই আশঙ্কা করেছিলেন জাতীয় পার্টি ভেঙে যাচ্ছে। ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ নেতাদের ব্যবহার করে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও জিয়াউদ্দিন বাবলু এরশাদকে বশীকরণ করবেন; না হলে রওশন এরশাদের নেতৃত্বে দলকে আবার দ্বিখ-িত করবেন। সে চেষ্টাও হয়েছে। কিন্তু শাসক দলের নীতি নির্ধারকরা এ মুহূর্তে জাতীয় পার্টির অভ্যন্তরণী বিষয়ে ‘নাক’ না গলানোর সিদ্ধান্ত নেয়। ফলে মহাসচিব পদ হারিয়ে চুপসে গেছেন আওয়ামী লীগ অনুগত বাবুলসহ জাপার নেতারা।
বিশ্ব রাজনীতিতে এরশাদ একমাত্র নেতা গণআন্দোলনের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে কারাবন্দী থেকেও দু’টি জাতীয় নির্বাচনে ৫টি করে আসনে বিজয়ী হয়েছেন। এমনকি তিনি সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হওয়ার রেকর্ড গড়েছেন। বিশ্বের আর কোনো স্বৈরশাসকের পক্ষে এমন নজির সৃষ্টি করা সম্ভব হয়নি। সেই এরশাদ বিভিন্ন সময় নানামুখী সিদ্ধান্ত নেয়ার কারণে আলোচিত-সমালোচিত ও বিতর্কিত হয়েছেন। দফায় দফায় বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন। কখনো মামলা আর ক্ষমতাসীনদের চোখ রাঙানিতে সিদ্ধান্ত বদল করে ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ দুর্নাম কুড়িয়েছেন। কিন্তু শাসক দলের চাপ না থাকলে তিনি ঠিকই ঝড় (সংকট) কাটিয়ে উঠেন। জাতীয় পার্টির কা-ারী খ্যাত মিজানুর রহমান চৌধুরীর সঙ্গে বিরোধ বেধেছিল। বিরোধ বাধে শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, কাজী জাফর আহমদ, ব্যারিস্টার মওদুদ, ডা. এম এ মতিনের সঙ্গে বেশ কয়েক দফায়। তিনি সবগুলো কাঠিয়ে উঠেছেন। ৬/৭ দফায় দল ভাঙনের মুখে পড়েছে; সিনিয়র নেতারা পৃথক দল গঠন করেছেন কিন্তু মূল স্রোত থেকেছে এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি। জাতীয় পার্টির বলতে এরশাদ আর এরশাদ বলতে জাতীয় পার্টিকেই মানুষ বোঝেন। টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া রূপসা থেকে পাথুরিয়া সর্বত্র গ্রাম-গঞ্জে এখনো তার ব্যাপক কর্মী সমর্থক অনুসারী রয়েছে। রাজনৈতিক বিরোধে তিনি যেমন উতরে উঠেন; তেমনি পারিবারিক ঝড় তিনি থামিয়ে দেন জাদুমন্ত্রে। কেন্দ্র থেকে শুরু করে শেকড় পর্যায়ের হাজার হাজার নেতাকর্মী তাকে অন্ধভাবে ভালবাসেন। তার জন্য আগুনে ঝাপ দেয়ার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন। কিন্তু কবি মনের এরশাদ বেতনভুক্ত কয়েকজন কর্মচারী কাম নেতার তোষামোদীতে পরীক্ষিত নেতাদের মূল্যায়ন করা থেকে বিরত থাকেন। ওই তোষামোদকারীদের চাটুকারিতা আর কানমন্ত্রে যখন তখন নেতাদের বহিষ্কার, পদ-পদবী বিতরণ করেন। জুনিয়র নেতাকে সিনিয়র আর সিনিয়র নেতাকে জুনিয়র করে দেন।
২০০২ সালের ১১ মার্চ পুত্র শাহাতা জারাব এরিকের প্রথম জন্মবার্ষিকী পালন ও বিদিশাকে স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করার পর তার জীবনে ঝড় ওঠে। ঝড়ের মধ্যেই ছিলেন কয়েক বছর। ২০০৫ সালের জুন মাসে বিদিশাকে তালাক দেয়ার সময়ও ঝড়ের মুখে পড়েন এরশাদ। অতপর ফখরুদ্দিন-মঈনুদ্দিনের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতা গ্রহণের কিছুদিন আগে পড়েন সুনামিতে। তার ওপর নেমে আসে কালো মেঘ। প্রফেসর ড. ইয়াজউদ্দিন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়ার পর জাতীয় পার্টিকে দুই টুকরো করার প্রক্রিয়া শুরু হয়। রওশান এরশাদ ‘হাওয়া ভবনের’ প্ররোচণায় ২২ জানুয়ারির নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে এরশাদ বেঁকে বসেন। তিনি যান আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটে। এ সময় কৌশলগত কারণে তিনি ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করার ঘোষণা দেন। বারিধারার দূতাবাস রোডের ১০নং প্রেসিডেন্ট পার্কে এরশাদের এ ঘোষণার এক ঘন্টা পর গুলশানের বাসায় রওশন এরশাদ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নিজেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ঘোষণা করেন।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন ইস্যুতে অবার এরশাদকে ঝড়ের মুখে পড়তে হয়েছে। মোকাবিলা করতে হয় বিপর্যয়কর অবস্থা। সুনামি, সিডর, আইলা সবগুলোই যেন নেমে আসে তার রাজনৈতিক আকাশে। দেশের মানুষের মতের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে নির্বাচন থেকে সরে আসার ঘোষণা দেন। তিনি এবং তার দলের নেতারা নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়া ‘প্রার্থিতা’ প্রত্যাহার করে নেন। এ অপরাধে (!) ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর গভীর রাতে (এ রাতে কাদের মোল্লার ফাঁসি হয়) হঠাৎ সুস্থ এরশাদের চিকিৎসার জন্য আইনশৃংখলা বাহিনী তুলে নিয়ে গিয়ে সিএমএইচ-এ ভর্তি করিয়ে দেন। আজব দেশ; সুস্থ মানুষের চিকিৎসা! তার স্ত্রী বেগম রওশন এরশাদ নির্বাচনের পক্ষে অবস্থান নেন। চরম বিপর্যয়কর অবস্থায় পড়ে যান তিনি। দলের নেতৃত্ব তার হাতছাড়া হয় হয় অবস্থার সৃষ্টি হয়। অধিকাংশ নেতা তার নির্দেশ মেনে নির্বাচন থেকে সরে গেলেও সুবিবাবাদী কিছু নেতা বিনা ভোটে এমপি হওয়ার স্বপ্নে বিভোর হন। তারা রাতারাতি এরশাদের রিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে রওশন এরশাদকে মহান নেত্রী হিসেবে জাহির করেন। অবস্থা এমন দাঁড়ায় যে তাদের জন্মই যেন হয়েছে রওশন এরশাদের নেতৃত্বে রাজনীতি করার জন্য। পুলিশি প্রহরায় তথাকথিত চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে থাকার পরও প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেয়া এরশাদ অলৌকিকভাবে রংপুর-৩ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন। শাসক দলের ছত্রছায়ায় তাকে ডিঙ্গিয়ে স্ত্রী রওশন এরশাদ বিরোধীদলীয় নেতা হন। যাকে দেশের মানুষের কেউ ‘গৃহপালিত’ বিরোধী দল আবার কেউ ‘ক্ষমতাসীন’ বিরোধী দল, কেউ ‘পাপেট’ বিরোধী দল বলে ঠাট্টা-তামাশা করেন। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সংসদের মহিলা এমপি মনোনয়ন নিয়ে বিরোধ, মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ বিরোধসহ নানান বিরোধ হয়। এমনকি কিছুদিন আগে পৌরসভা নির্বাচনে নিরপেক্ষ ভোট নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মতভেদ হয়। এরশাদ নির্বাচন কমিশনকে মেরুদ-হীন এবং নির্বাচনে ভোট ডাকাতি হয়েছে মন্তব্য করেন। আর রওশন এরশাদ পাল্টা জাতীয় সংসদের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে ঘোষণা দেন এরশাদ যা বলেছেন তা ভুল। কাজী রকিবউদ্দিনের নেতৃত্বাধীন ইসির মেরুদ- লোহার মতো শক্ত এবং পৌর নির্বাচন নিরপেক্ষ হয়েছে। বাদ-বিবাদের মধ্যেই জীবন যাচ্ছিল। কিন্তু দেশের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে প্রভাবশালী দেশ দাতা সংস্থাগুলো জাতীয় পার্টিকে বিরোধী দল হিসেবে মেনে নেয়নি। যার কারণে বিদেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা ঢাকা সফরে এলে বিএনপি ও বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠক করেন। ঢাকায় কর্মরত বিদেশি কূটনীতিকরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বেগম জিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন। বেগম রওশন এরশাদকে পাত্তাই দেন না। এ অবস্থায় সরকারের কাছে বেগম রওশন এরশাদ চিঠি লিখে বিদেশি মেহমানরা যাতে তার সঙ্গে বৈঠক করেন সে ব্যবস্থার অনুরোধ জানান। অনুগত বিরোধী দলের নেত্রীর এ অনুরোধ মোতাবেক কিছু বিদেশি মেহমানের তার সঙ্গে বৈঠকের ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু মিডিয়া সে খবর গুরুত্বহীন মনে করে ছাপানো থেকে বিরত থাকে। বিদেশিরাই শুধু নয় দেশের সুশীল সমাজ, বুদ্ধিজীবী এবং জাতীয় পার্টির পরীক্ষিত নেতাকর্মীরা দলকে জনগণের কাতারে নিয়ে যাওয়ার দাবি করেন। এরশাদ নিজেও স্বীকার করেন তার জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। কিন্তু মন্ত্রী ও সুবিধাভোগী কয়েকজন এমপি সরকারের হালুয়া-রুটির ভাগ বন্ধ হওয়ার আশঙ্কায় আওয়ামী লীগের সঙ্গে থাকার পক্ষে অবস্থান নেন। বেগম রওশন এরশাদ, আসিনুল ইসলাম মাহমুদ ও সাবেক মহাসচিব জিয়াউদ্দিন বাবলু আওয়ামী লীগের অনুকম্পায় দলকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করেন। শুধু তাই নয় মন্ত্রিসভা থেকে এরশাদ একবার জাতীয় পার্টির মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের পদত্যাগের ঘোষণা দেয়ার পর আওয়ামী লীগপন্থী নেতারা ঘোষণা দেন এরশাদ নয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই আমাদের অভিভাবক। গণভবনের কথায় জাতীয় পার্টি চলবে।
এ অবস্থায় ঝানু পলিটিশিয়ানের মতোই দলকে জনগণে কাতারে নিয়ে যাওয়া এবং সংগঠন হিসেবে শক্তিশালী করতে ভাই জিএম কাদেরকে কো-চেয়ারম্যান করার ঘোষণা দেন। রংপুরে এ ঘোষণা দেয়ার পরপর জিয়াউদ্দিন বাবলু ও আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ছুটে যান বেগম রওশন এরশাদের বাসায়। তারা কয়েকজন এমপিকে নিয়ে বৈঠকের পর ঘোষণা দেন রওশন এরশাদকে জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। অর্থাৎ এরশাদ বাদ! এ ঘোষণায় মাথায় বাজ পড়ে যায় এরশাদের। তিনি রংপুর থেকে ফিরেই সংবাদ সম্মেলন করে জিয়াউদ্দিন বাবলুকে মহাসচিব পদ থেকে সরিয়ে এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারকে মহাসচিব নিয়োগ করেন। অতঃপর সংসদীয় দলের সভায় এরশাদের এ সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করা হয়। পাশাপাশি সরকারের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের বাসায় অফিসে ধর্না দেয়া হয় এরশাদকে মামলার ভয়ভীতি দেখিয়ে কো-চেয়ারম্যান পদ থেকে জিএম কাদেরকে সারিয়ে দেয়ার জন্য। কিন্তু সরকার এ মুহূর্তে এরশাদকে ঘাটাতে রাজি হচ্ছে না। আর কঠোর এরশাদ নিজের অবস্থানে থেকে আওয়ামী লীগ পন্থী সুবিধাবাদী নেতাদের চরম বার্তা দেন। এরশাদের এ বার্তায় চুপসে যান আওয়ামী লীগপন্থী নেতারা। থেমে যায় জাতীয় পার্টির ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঝড়। জাতীয় পার্টির বেশ কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে তারা দারুণ খুশি। সারাদেশের নেতারা ফোন করে এরশাদকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন। জিএম কাদের জেলা উপজেলা পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের সক্রিয় হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। রুহুল আমিন হাওলাদারও সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। জাতীয় পার্টির নেতাদের ভাষায় ঝড়ের পর এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির আকাশে সকালের সূর্য উঠেছে।
মুখ খুললেন রওশন
জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ঘোষণার পর মুখ খুলেছেন বেগম রওশন এরশাদ। গতকাল তিনি এক বিবৃতিতে বলেছেন, দলগত আলোচনা ছাড়া হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ জাতীয় পার্টির ব্যাপারে যে দুটি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা পার্লামেন্টারি কমিটি ও প্রেসিডিয়ামের কাছে অগণতান্ত্রিক। অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে। পার্টির সংসদীয় দলের নেতা রওশন এরশাদ বলেন, দলগত আলোচনা ছাড়া প্রেসিডিয়াম সদস্য জিএম কাদেরকে পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও ভবিষ্যত চেয়ারম্যান ঘোষণা করেছেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। কোনো রকম আলোচনা ছাড়া পার্টির মহাসচিব পরিবর্তন করেছেন, যা অগণতান্ত্রিক। এ দুটি সিদ্ধান্ত অনতিবিলম্বে প্রতাহার করে দলের বৃহত্তর ঐক্যের স্বার্থে যৌথসভা ডেকে তাতে আলোচনার মাধ্যম সিদ্ধান্ত নেওয়ার দাবি জানান রওশন এরশাদ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।