পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : মুখের কথা ছাড়া বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারের কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেই বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, জনগণকে উপেক্ষা করে ক্ষমতায় থাকাটাই বর্তমান সরকারের যেহেতু একমাত্র উদ্দেশ্য, তাই জনদুর্ভোগকে তারা কখনোই আমলে নেয় না। দেশের উত্তরাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতির মধ্যে গতকাল (রোববার) এক বিবৃতিতে যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত বিএনপি চেয়ারপারসন এ অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, বন্যাকবলিত এলাকায় কোনো জরুরি ত্রাণ তৎপরতা নেই। বন্যা দুর্গত মানুষকে নিরাপদে উঁচু জায়গায় সরিয়ে নেওয়ার কথা বলা হলেও কার্যকর কোনো ব্যবস্থা এখনও দেখা যাচ্ছে না। সরকারের লিপ সার্ভিস (মুখের কথা) ছাড়া এই ভয়াবহ বন্যা মোকাবেলায় বাস্তব কোন সার্ভিস নেই। দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত ওই বিবৃতিতে বেগম জিয়া বলেন, গত কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে তিস্তা, ধরলা, পূণর্ভবা, ব্রহ্মপুত্রসহ দেশের বেশ কয়েকটি নদী ফুলে ফেঁপে উঠে ভয়াবহ বন্যায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে ওঠেছে। এর উপর তিস্তার উজানে ভারতের গজলডোবা ব্যারেজের গেটগুলো খুলে দেয়ার ফলে তিস্তা নদীর পানি এখন বিপদসীমার সর্বকালের রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। বাংলাদেশের সীমানার ভেতরে তিস্তাসহ উত্তরাঞ্চলের বেশ কয়েকটি নদীর দুই তীরের বিস্তীর্ণ এলাকার ফসল, বসতবাটি, যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং মানুষের জীবন-জীবিকা সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এছাড়া অন্যান্য নদীগুলোর উজানের দিক থেকে ধেয়ে আসা প্রবল পানির স্রোতে বাংলাদেশের ব্যাপক এলাকা এখন পানির নীচে। তিনি বলেন, হু হু করে বয়ে আসা বন্যার পানিতে পঞ্চগড়, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, রংপুর, লালমনিরহাটের নদী সংলগ্ন এলাকাগুলোই শুধু নয়, জেলা শহরগুলোও তলিয়ে যাচ্ছে। শহরের পাকা রাস্তাতেও কোমর পানি ডিঙ্গিয়ে মানুষকে চলাচল করতে হচ্ছে। বন্যা উপদ্রুত মানুষ ঘর-বাড়ী-জোত-জমি হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। অথচ বন্যার ভয়াবহ পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকারের কার্যকর কোন উদ্যোগ নেই। নেই কোন জরুরী ত্রাণ তৎপরতা। বন্যা দুর্গত মানুষকে নিরাপদে উঁচু জায়গায় সরিয়ে নেয়ার কথা বলা হলেও কার্যকর কোন ব্যবস্থা এখনও পর্যন্ত পরিলক্ষিত হয়নি। রংপুর বিভাগের অনেক এলাকার অসহায় মানুষ বন্যার তান্ডবে সর্বস্ব খুইয়ে হাহাকার করছে। বিএনপি চেয়ারপারসন অভিযোগ করে বলেন, অতিসম্প্রতি হাওড়ে বন্যা ও পাহাড় ধ্বসে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে অসংখ্য মানুষের প্রাণহানি হওয়ার পরও পরবর্তী দুর্যোগ মোকাবেলায় আশ্রয়হীন, ক্ষুধার্ত মানুষকে সহায়তা দিতে সরকার তাৎক্ষণিক প্রস্তুতি গ্রহণে কোন ধরণের মনোযোগ দেয়নি। যার কারণে বর্তমান বন্যার তান্ডবে উপদ্রুত মানুষ এক চরম সংকটের মধ্যে নিপতিত হয়েছে। বিরোধী দলের প্রতি প্রতিশোধস্পৃহাই যদি সরকারের মূল চালিকাশক্তি হয়, তাহলে সেই সরকার কখনোই প্রাকৃতিক দুর্যোগ সামাল দিয়ে অসহায় জনগণের দুর্ভোগ লাঘব করতে পারেনা।
তিনি বিএনপি’র সকল পর্যায়ের নেতাকর্মী ও স্বচ্ছল মানুষকে অতিদ্রুত বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আহবান জানান।
অপর এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ভারী বর্ষণে দেশের উত্তরাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকায় ভয়াবহ বন্যায় বিস্তীর্ণ এলাকার বাড়ীঘর বিধ্বস্ত, ফসলী জমি ও ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিতে উপদ্রুত মানুষ আহাজারী করছে। উজানের প্রবল পানির তোড়ে তিস্তা নদীর বাংলাদেশ অংশ এখন বিপজ্জনক রূপ ধারণ করেছে। বৃহত্তর রংপুর ও দিনাজপুর জেলা বন্যার পানিতে তলিয়ে যেতে শুরু করেছে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় এই যে, বন্যাকবলিত এলাকায় দুর্গত মানুষের সাহায্যার্থে এখনও পর্যন্ত ত্রাণ তৎপরতায় সরকার নিস্ক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। সরকারের উন্নয়ন শূণ্যগর্ভ মেকি বলেই কোথাও অবকাঠামোর ইতিবাচক কোন পরিবর্তন নেই। আর সেই কারণেই যে কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগে জনগণের ক্ষয়ক্ষতি হয় অপরিসীম। দেশজুড়ে চলছে ভয়াবহ খাদ্য সংকট, এর ওপর সরকারি দলের খাদ্যপণ্য কেলেঙ্কারী তো রয়েছেই। সুতরাং যাদের রাজনীতির লক্ষ্য জনগণের কল্যাণ নয়-তাদের দ্বারা দুর্গত মানুষ উপেক্ষিতই হবে। তিনি বন্যা কবলিত মানুষদের ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার জন্য বিএনপি’র সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীসহ দেশের বিত্তবানদের দ্রুততার সাথে এগিয়ে আসার আহবান জানান। চোখ ও পায়ের চিকিৎসার জন্য ১৫ জুলাই যুক্তরাজ্যে যান খালেদা জিয়া। এর মধ্যে লন্ডনের একটি হাসপাতালে তার চোখের অস্ত্রোপচারও হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।