পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বিশ্ব তাবলীগ জামাতের কেন্দ্রীয় মুরব্বীদের মধ্যে দীর্ঘ দিন যাবৎ যে দ্ব›দ্ব ও বিরোধ চলছে, মুসলিম জাতির সমস্যা ও সম্ভাবনা সম্পর্কে কিছুটা খোঁজখবর রাখেন এমন কেউই এ বিষয়ে অনবগত নন। দারুল উলূম দেওবন্দের ছোট বড় সবাই তাবলীগের মধ্যকার এ বিরোধ তাবলীগের মুরব্বীরা নিজেরাই মিটিয়ে ফেলুন এ আশা শুরু থেকেই করে এসেছেন। যা কেবল তাবলীগ জামাতের জন্যই নয় বরং গোটা মুসলিম জাতির জন্যই হতো কল্যাণকর। যেহেতু প্রচলিত তাবলীগ জামাতের সাথে দেওবন্দের সরাসরি কোন নীতি নির্ধারণী সম্পর্ক নেই, আর তাবলীগের সমস্যাটি নিতান্তই তাদের অভ্যন্তরীণ নিয়ম ও ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত। এর সাথে শরীয়তের বিধান বা ইসলামী নীতি আদর্শের প্রত্যক্ষ কোন সম্পর্কও নেই। অতএব এ বিষয়ে দেওবন্দের বলার কিছু নেই। তাবলীগের মুরব্বীরাই এ সংকট থেকে বেরিয়ে আসার পথ বের করবেন। দেওবন্দ এর সাথে নিজেকে আর জড়াবে না। গত ৯ আগস্ট দেওবন্দ মাদরাসার প্যাডে নিজ স্বাক্ষর ও সীলমোহযুক্ত এক বিবৃতিতে দেওবন্দের মুহতামিম আল্লামা আবুল কাসেম নোমানী এসব কথা বলেন।
ওয়েবসাইটে প্রচারিত বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, তাবলীগ জামাতের দুটি পক্ষের ব্যাপারে সমানভাবে চিন্তা ভাবনা ও দ্ব›দ্ব নিরসনের চেষ্টা করা সত্তে¡ও কেউ কেউ দেওবন্দকে একটি গ্রুপের সমর্থক বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এ ধরনের প্রচার শুধু ভারত নয় বরং বিশ্বব্যাপী দেওবন্দ ভক্তদের বিভ্রান্ত করছে। অনেকে সরাসরি দেওবন্দে যোগাযোগ করে আমাদের অবস্থান জানতে চাইছেন। যা খুবই বিব্রতকর। অতএব দারুল উলূম দেওবন্দ আগের মতোই আবারো দ্ব্যর্থহীন ভাষায় ঘোষণা করতে চায় যে, তাবলীগ জামাতের চলমান অভ্যন্তরীণ দ্ব›েদ্বর সাথে দেওবন্দের কোন সম্পর্ক নেই। এ সাংঘর্ষিক বিষয়ে বিবদমান দুটি গ্রুপের সাথেই দেওবন্দের সমান দূরত্ব বিদ্যমান। উপরন্তু তাবলীগের এই দ্ব›দ্ব ও সংঘাত যতদিন না শেষ হয় ততদিন দেওবন্দ তাদের উভয় পক্ষের সকল দাওয়াত ও তাবলীগ বিষয়ক কার্যক্রম থেকে নিজেকে দূরে রাখবে। অবশ্য দীনের দাওয়াত ও তাবলীগ যা দেওবন্দ তার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে নিজস্ব পন্থায় করে এসেছে তা যথারীতি করে যাবে। বিশেষত মুসলিম জাতিকে কোরআন সুন্নাহর ইলম, দীনি শিক্ষাদীক্ষা ও আত্মশুদ্ধিমূলক দিক নির্দেশনা অব্যাহত রাখবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।