পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বিশিষ্ট রাজনীতিক, সাংবাদিক, এনডিপির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী জননেতা আনোয়ার জাহিদের ৯ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ।
বরেণ্য এই নেতা ছাত্রজীবনে নিখিল পূর্বপাকিস্তান ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। তিনি ছাত্রলীগের ঝিনাইদহ মহকুমার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ৫২ ভাষা আন্দোলনে ঝিনাইদহে ছাত্রআন্দোলন গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ৫৪ সালে পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নে যোগদান করেন। ৫৬ সালে রাজশাহী সরকারী কলেজের ভিপি নির্বাচিত হন। ৫৭ সালে পূর্বপাকিস্তান যুবলীগের সেক্রেটারী নির্বাচিত হন। ৬১ সালে রাজবন্দী হিসেবে গ্রেফতার হন।
৬২ সালে ছাত্ররাজনীতি থেকে বিদায় নিয়ে সাংবাদিকতা জীবনে প্রবেশ করেন। প্রখ্যাত আইনজীবী কামরুন নাহার লাইলীর সাথে রাজবন্দী অবস্থায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রধান ফটকে এই নেতার বিবাহ সম্পাদন করা হয়। কারণ বিবাহের দিন তারিখ ঠিক হলেও তাকে জামিন দেয়া হয়নি। ৬৫ সালে জাতীয় রাজনীতিতে যোগ দিয়ে মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বাধীন ন্যাপের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও ৬৮ সালে যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত হন। ৬৯ এর গণআন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ৭৮ সালে জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট গঠন ও জাতীয়তাবাদী রাজনীতি প্রতিষ্ঠায় অনন্য অবদান রাখেন। ১৯৮৬ সালে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সরকারের তথ্যমন্ত্রী, শ্রম ও কর্মসংস্থান, ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এনডিপির চেয়ারম্যান ও বিএনপি চেয়াপারসনের তথ্য উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেন। ৭ দলীয় এবং ৪ দলীয় জোট গঠনে অন্যতম রূপকারের ভূমিকা পালন করেন।
সাংবাদিক হিসাবেও আনোয়ার জাহিদ অত্যন্ত জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। ১৯ বছর বয়সে দৈনিক ইত্তেহাদের সহকারী সম্পাদক, অর্ধ সাপ্তাহিক ধূমকেতুর সহকারী সম্পাদক, দৈনিক সংবাদের সহকারী সম্পাদক, দৈনিক ইত্তেফাকের সহকারী সম্পাদক, ইংরেজী সাপ্তাহিক হলিডের উপ-সম্পাদক, সাপ্তাহিক গণবাংলার নির্বাহী সম্পাদক, ইংরেজী ডেইলি পিপলসের বার্তা সম্পাদক ও বাংলাদেশ টাইমস’র গুরুত্বপূর্ণপদে দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ তিনি ইনকিলাব টেলিভিশন (আইটিভি)-প্রধান নির্বাহী ও দৈনিক ইনকিলাবের উপদেষ্টা সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। সাংবাদিক জীবনে আনোয়ার জাহিদ শুধু সাংবাদিকতাই করেননি সাংবাদিকদের নেতৃত্বও দিয়েছেন। ৬২, ৬৩, ৬৪ সালে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)-এর সাধারন সম্পাদক, ৬৫, ৬৬ সালে সহ-সভাপতি ও ৭৮, ৮৩ সালে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
আনোয়ার জাহিদের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ মীরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তার কবরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পন ও ফাতেহা পাঠ করবে। মরহুমের কর্মময়জীবন নিয়ে ১৮ আগস্ট শুক্রবার সকাল ১০টায় ডিআরইউ সাগর-রুনি মিলনায়তনে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এনডিপির উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। অন্যদিকে গতকাল বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপের উদ্যোগে স্মরণসভা ও দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।