পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : এবার বকেয়া ডিস বিল চাওয়ায় ক্যাবল অপারেটর আল-আমিন (২৪)কে গুলি করেছে পুলিশের সহকারী এক উপ-পরিদর্শক (এএসআই)। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল দুপুরে রাজধানীর খিলগাঁও থানাধীন নন্দীপাড়া ৫ নং রোডের এএসআই শামীম রেজার ভাড়া বাসায়। পুলিশের এ কর্মকর্তা বংশাল থানায় কর্মরত। ঘটনার পর শামীম রেজাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগে তাকে সাসপেন্ড করা হয়। এদিকে পিঠে গুলিবিদ্ধ আল-আমিনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গুলিবিদ্ধ আল-আমিনের সহকর্মী জাকির হোসেন বলেন, আল-আমিন কুমিল্লা জেলার হোমনা উপজেলার চন্দিপুর গ্রামের ফুল মিয়ার ছেলে। তিনি খিলগাঁওয়ের নন্দীপাড়া (রোড নম্বর ৬) এলাকায় ভাড়া থাকেন। ৭১ নং দক্ষিণ মাদারটেক ডিস ব্যবসার প্রতিষ্ঠান ঢাকা ইস্ট ক্যাবল ভিশনের অপারেটর হিসেবে কাজ করেন। গতকাল বেলা ১১টার দিকে নন্দীপাড়ার ৫ নম্বর সড়কের ৯ নম্বর অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের চতুর্থ তলার ডিস বিল আনতে যায় আল-আমিন। ওই ফ্ল্যাটে সপরিবারে বসবাস করেন বংশাল থানার এএসআই শামীম রেজা। তার কাছে বকেয়া ৪ মাসের ডিস বিল চাইলে শামীম ক্ষিপ্ত হন। বিল পরিশোধ করতে অনীহা প্রকাশ করায় দু’জনের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক হয়। এ সময় ডিস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে চাইলে শামীম প্রথমে আল-আমিনকে চড় দেয়। আল-আমিনও তাকে ধাক্কা দেয়। এক পর্যায়ে শামীম তার কোমর থেকে পিস্তল বের করে আল-আমিনকে গুলি করে। গুলিটি আল আমিনের পিঠে বিদ্ধ হয়। গুলির শব্দ শুনে ভবনের তৃতীয় তলার বাসিন্দা গোয়েন্দা পুলিশের কনস্টেবল আনোয়ার হোসেন ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। তিনি আল আমিনকে উদ্ধার করে প্রথমে রাজারবাগ পুলিশ লাইন হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মো. নাসির বলেন, আল-আমিনের জখম ততোটা গুরুতর নয়। গুলিটি পিঠের বাঁ পাশে ঢুকে মাংস ভেদ করে বেরিয়ে গেছে।
এদিকে এ ঘটনার পর এএসআই শামীম নিজের কর্মস্থল বংশাল থানায় চলে যান। বংশাল থানার ওসি নূরে আলম সিদ্দিক বলেন, ঘটনার পর শামীম থানায় এলে তাকে আটক করা হয়। শামীমের কাছ থেকে পিস্তলটিও জব্দ করা হয়েছে। পরে শামীমকে খিলগাঁও থানায় সোপর্দ করা হয়। গতকাল সন্ধ্যায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম শাখার উপ-কমিশনার মারুফ হোসেন সরদার বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আল-আমিন বাদী হয়ে খিলগাঁও থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এর পরই অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থাও নেয়া হয়েছে। এদিকে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, পুলিশের এ কর্মকর্তা সরকারি অস্ত্র হলেও তা বাসায় নিয়ে আসতেন। এমনকি বাজারে গেলেও তা সাথে রাখতেন। এএসআই শামীমের গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহ বলে জানা গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।