পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
![img_img-1720369934](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678437663_IMG-20230310-WA0005.jpg)
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮০০ কোটি টাকা খোয়া যাওয়ার ঘটনা তদন্তে সহযোগিতা করছে যুক্তরাষ্ট্রের সাইবার নিরাপত্তা-বিষয়ক প্রতিষ্ঠান ফায়ারআই ম্যান্ডিয়েন্টের ফরেনসিক বিভাগ। এ কাজের সঙ্গে যুক্ত কয়েকজনের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স গতকাল বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছে।
জানা গেছে, ক্যালিফোর্নিয়ার সিলিকন ভ্যালিভিত্তিক ফায়ারআই বড় ধরনের বেশ কয়েকটি সাইবার চুরির ঘটনা তদন্ত করেছে। এ কাজে তাদের বিশেষ দক্ষতা আছে। এ কারণে বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থ চুরির ঘটনা তদন্তে পরামর্শক হিসেবে কাজ করা ওয়ার্ল্ড ইনফরমেটিক্স তদন্তের সঙ্গে ফায়ারআইকে যুক্ত করেছে।
ওয়ার্ল্ড ইনফরমেটিক্সের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী রাকেশ আসথানা এর প্রতিষ্ঠাতা। তিনি বিশ্বব্যাংকের তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক সাবেক উপপ্রধান কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা জানান, নিউইয়র্কের রিজার্ভ ব্যাংক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থ হ্যাকাররা কীভাবে চুরি করেছেএ বিষয়ে তদন্তকাজে সহযোগিতার প্রস্তাব দিয়েছে মার্কিন সরকার। ওই কর্মকর্তা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ের বড় ধরনের এই চুরির ঘটনা তদন্তের ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (এফবিআই) ও মার্কিন বিচার বিভাগের অনানুষ্ঠানিক কথাবার্তা হয়েছে। এ ব্যাপারে নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকও তেমন কোনো তথ্য দেয়নি। তারা শুধু বলেছে, এ অর্থ চুরির ক্ষেত্রে তাদের ব্যবস্থাগত কোনো ত্রুটি ছিল না এবং তারা তদন্তের ব্যাপারে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দুই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানায়, হ্যাকাররা বাংলাদেশ ব্যাংকের সিস্টেমে ঢুকে পেমেন্ট ট্রান্সফারের ক্রেডেনশিয়াল চুরি করে। এরপর ভুয়া সুইফট মেসেজের মাধ্যমে নিউইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভকে অর্থ স্থানান্তরের অনুরোধ পাঠানো হয়। ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে এক সপ্তাহের মধ্যে এ রকম প্রায় তিন ডজন অনুরোধ যায় নিউইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভে। বিভিন্ন হিসাবে সব মিলিয়ে প্রায় এক বিলিয়ন ডলার স্থানান্তর করতে বলা হয়। এর মধ্যে চারটি অনুরোধের বিপরীতে ফিলিপাইনের এক ব্যাংকের পাঁচটি হিসাবে মোট আট কোটি ১০ লাখ ডলার পাঠায় নিউইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভ। ভুল বানানে শ্রীলঙ্কার একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠানের হিসাবে দুই কোটি ডলার পাঠানোর পঞ্চম অনুরোধে সন্দেহ জাগলে অর্থ আর পাঠানো হয়নি।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, তারা চুরি যাওয়া অর্থের কিছুটা উদ্ধার করতে পেরেছে। বাকি অর্থ উদ্ধার করতে ফিলিপাইনের অর্থ পাচারবিরোধী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কাজ করছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।