Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জনগণকে ঋণগ্রস্ত না রেখে তাদের সঞ্চয় বাড়ানো হবে:-এলজিআরডি মন্ত্রী

| প্রকাশের সময় : ১১ আগস্ট, ২০১৭, ১২:৩৪ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, বর্তমান সরকারের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে দেশকে দারিদ্র্যের অভিশাপ হতে মুক্ত করা। এ লক্ষ্যে জনগণের সঞ্চয় বাড়ানোর বিষয়ে সরকার বদ্ধপরিকর। জনগণকে ঋণগ্রস্ত না রেখে তারা যাতে সঞ্চয় বাড়াতে পারে সে লক্ষ্যে ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউট (এনআইএলজি)-র পরিচালনা বোর্ডের ৪৭ তম সভায় সভাপতিত্বকালে এসব কথা বলেন। সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব ইকরামুল হক ও এনআইএলজি-এর মহাপরিচালক তপন কুমার কর্মকার সহ কমিটির সদস্যরা। মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্প ভেবে-চিন্তেই নিয়েছেন। এ প্রকল্প বাংলাদেশের দারিদ্র্য দূর না হওয়া পর্যন্ত চলবে। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্প থাকবে। এর মূলধন বর্তমানে ৮ হাজার কোটি টাকা হলেও ভবিষ্যতে এ মূলধনের পরিমান ২০ হাজার কোটি টাকা হবে। বর্তমানে ৪০ হাজার সমিতি, আগামী বছর এর সংখ্যা ১ লক্ষে পৌঁছাবে। তিনি এনআইএলজি, বার্ড, আরডিএ-কে এই প্রকল্প নিয়ে গবেষণা করতে বলেন। গবেষণার মাধ্যমে এ প্রকল্পকে আরও জনবান্ধব করার উপায় খুঁজে বের করতে বলেন।  মন্ত্রী এনআইএলজি-র কার্যক্রম আরও গতিশীল করারও নির্দেশনা দেন। তিনি বলেন, স্থানীয় সরকারের প্রায় ৬০ হাজার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি রয়েছে। যথাযথভাবে প্রশিক্ষিত করলে এ বিশাল সংখ্যক প্রতিনিধি প্রতিটি অঞ্চলে উন্নয়ন কার্যক্রমে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে পারবে। মন্ত্রী এসময় জুন ২০১৭ পর্যন্ত মোট ৩৪৩ টি প্রশিক্ষণ কোর্সের মাধ্যমে ১৩৯৫ জনকে প্রশিক্ষণের প্রশংসা করে ভবিষ্যতে এর সংখ্যা কয়েক গুণে উন্নীত করার নির্দেশনা দেন।
মন্ত্রী বলেন, এই প্রতিষ্ঠানটিকে আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। নবনির্বাচিত জেলা পরিষদ সদস্যদের গুণগত প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য দ্রæত ব্যবস্থা নিতেও নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহকে প্রধানমন্ত্রীর গৃহীত দারিদ্র্য দূরীকরণ প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়নে নেতৃত্ব দিতে হবে। আর এনআইএলজি-কে এ নেতৃত্ব তৈরি করতে নির্বাচিত প্রতিনিধি, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে ও প্রায়োগিক গবেষণা বাড়াতে হবে।

এলজিআরডি মন্ত্রীর সাথে জাইকা-র প্রতিনিধিদলের স্বাক্ষাৎ\
গতকাল সকালে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সাথে তাঁর সচিবালয়ে অফিস কক্ষে জাইকা-র বাংলাদেশ কার্যালয়ের প্রধান প্রতিনিধি তাকাতোসি নিশিকাতা সাক্ষাৎ করেন। তিনি তিন সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব ইকরামুল হক, স্থানীয় সরকার বিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম মাহবুবুল আলম, অতিরিক্ত সচিব সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্ত্তী ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রধান প্রকৌশলী শ্যামা প্রসাদ অধিকারী সহ মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী জাপানের সাথে বাংলাদেশের সু-সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বলেন, জাপান সরকার বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন সহযোগী। স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে জাইকা-র সহযোগীতা ভূমিকা রাখছে। মন্ত্রী গভর্ন্যান্সের পাশাপাশি বাংলাদেশের বিশাল জনগোষ্ঠীকে জনসম্পদে পরিণত করার ক্ষেত্রেও জাইকা-র সহযোগীতা আশা করেন। মন্ত্রী নিরাপদ খাবার পানি সরবরাহ, স্যানিটেশন প্রযুক্তি বিষয়েও একসাথে কাজ করার জন্য জাইকা-কে আহŸান জানান। সাক্ষাৎকালে জাইকা-র বাংলাদেশের প্রধান গভর্ন্যান্স প্রজেক্টের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বাস্তবায়নাধীন ১৪ হাজার কোটি টাকার ১১ টি চলমান প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে মন্ত্রীকে অবহিত করেন।
##




 

Show all comments
  • ১১ আগস্ট, ২০১৭, ৭:৪৫ পিএম says : 0
    আপনারা যদি বেকার যুবকদের জন্য চাকরি খবর পচার করতেন কোনো পৃষ্টায় তাহলে আমরা কত উপকৃতই না হতাম । এতে করে দেশে কিছু বেকার সমস্যা কমবে আপনাদের মাধ্যমে
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: এলজিআরডি মন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ