পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শামসুল হক শারেক, কক্সবাজার থেকে : আগামী কুরবানীর ঈদে দেশের বাজারে পশু সঙ্কটের কোন আশঙ্কা নেই। দেশে উৎপাদিত গরু-মহিষের সাথে চাহিদা মেটাতে যুক্ত হচ্ছে মিয়ানমারের পশু। কুরবানীর ঈদকে সামনে রেখে মিয়ানমার থেকে আসছে প্রচুর পরিমানে পশু। টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ করিডোর দিয়ে প্রতিদিন দেশে আসছে শত শত গরু, ছাগল ও মহিষ।
ব্যবসায়ীরা মনে করছেন দেশীয় কুরবানীর পশুর পাশাপাশি মিয়ানমার থেকে আসা এসব পশু ঈদের বাজারে পশুর চাহিদা মেটাতে সক্ষম হবে। ঈদ পর্যন্ত আমদানি অব্যাহত থাকলে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বাজারে এবারের কুরবানীর পশুর সঙ্কট হবে না এবং দামও স্থিতিশীল
থাকবে বলে মনে করছেন তারা। টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ করিডোরে সরিজমিনে পরিদর্শন করে এবং বাবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানাগেছে, মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ কুরবানীর পশু আমদানীর জন্য সীমান্ত খোলা রেখেছে। এসুযোগে প্রতিদিন শত শত ট্রলার করে গরু-মহিষ আসছে করিডোরে।
ব্যবসায়ীদের মতে আবহাওয়া ও সীমান্ত পরিস্থিতি ভাল থাকলে আসন্ন ঈদুল আজহায় লক্ষাধিক কুরবানীর পশু আসতে পারে মিয়ানমার থেকে। দেখা গেছে, মিয়ানমারের এসব মোটা তাজা গরু-মহিষ দামেও নাগালের ভেতরে। শাহপরীর দ্বীপ করিডোরে এখন পর্যাপ্ত গবাদি পশু মজুদ রয়েছে। সেখান থেকে ট্রাকে ট্রাকে চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ দেশের বড় বড় পশুর হাট গুলোতে যাচ্ছে মিয়ানমারের গরু-মহিষ। ব্যবসায়ী মুহাম্মদ হাশেম ও মওলবী বুরহান জানান, কুরবানীর পশু আমদানীতে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ কোন ধরণের বাধা দিচ্ছে না। প্রতিদিন ট্রলারে ট্রলারে গরু-মহিষ আসছে। শত শত গরু-মহিষ করিডোরে মওজুদ করা হচ্ছে। ওপারেও মওজুদ রয়েছে হাজার হাজার পশু।
শুল্ক বিভাগের মতে মিয়ানমার থেকে চোরাইপথে গবাদিপশু আসা রোধে ২০০৩ সালে ২৫ মে শাহপরীর দ্বীপে এ করিডর চালু করা হয়। তখন থেকে প্রতিটি গরু-মহিষের জন্য ৫০০টাকা ও ছাগলের জন্য ২০০টাকা হারে রাজস্ব আদায় করা হয়ে থাকে। বিজিবির সহায়তায় সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে এ রাজস্ব আদায় হয়ে থাকে। তবে করিডর প্রতিষ্ঠার ১৪ বছর পার হলেও সরকারি ব্যবস্থাপনায় অবকাঠামোসহ কোন ধরনের স্থাপনা গড়ে উঠেনি। অথচ দেশের গবাদিপশুর চাহিদা পূরণে এটি গুরুত্বর্পূণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
শুল্ক বিভাগ সূত্রে জানায়, চলতি আগস্ট মাসের ১০ তারিখ পর্যন্ত ২ হাজার ৭৫৫টি গরু ও ৫০৭টি মহিষ এসেছে। জুলাই মাসে ৬ হাজার ৭৭০ গবাদিপশুর মধ্যে ৪ হাজার ৭৪০টি গরু ও ২ হাজার ২৯টি মহিষ আমদানি হয়েছে। যার বিপরীতে শুল্ক বিভাগ ৩৩ লাখ ৮৪ হাজার ৭০০ টাকা রাজস্ব আদায় করেছে।গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৫৪ হাজার ৪৯৬টি গরু, ১২ হাজার ৩৯৫টি মহিষ ও ৪৫টি ছাগল আমদানি করে তিন কোটি ৩৪ লাখ ৫৭ হাজার টাকা রাজস্ব আদায় করে শুল্ক বিভাগ।
টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল এসএম আরিফুল ইসলাম বলেন, পশুবাহী ট্রলার নিরাপদে যাতে করিডরে আসতে পারে সে জন্য বিজিবি সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। নাফনদীতে টহল জোরদার করা হয়েছে। কুরবানির ঈদকে সামনে রেখে মিয়ানমার থেকে প্রচুর পরিমাণের পশু আসছে। দেশে কুরবানীর পশু সঙ্কটের কোন আশঙ্কা নেই বলেও তিনি জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।