পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : জিয়া অরফানেস ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাবেক প্রধান মন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে স্থায়ী জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল বুধবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের বেঞ্চ ২০০৮ সালের একটি রুল যথাযথ ঘোষণা করে এই রায় দেন। ২০০১-২০০৬ মেয়াদে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা খালেদা জিয়া এ মামলায় নি¤œ আদালত থেকে জামিনেই রয়েছেন। আদালতে শুনানিতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন এ জে মো. আলী ও জাকির হোসেন ভূইয়া। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন খুরশীদ আলম খান। রায়ের পর খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, ২০০৮ সালে যে রুল হয়েছিল, তার শুনানি শেষে আদালত তা অ্যাবসলিউট করেছে। দুদক আগে পক্ষভুক্ত ছিল না, এবার পক্ষভুক্ত হয়ে শুনানিতে অংশ নিয়েছে। দুদকের এই আইনজীবী বলেন, খালেদা জিয়াকে স্থায়ী জামিন দেয়া হলেও তিনি যদি এর অপব্যবহার করেন, তাহলে বিচারিক আদালত জামিন বাতিল করতে পারবে। ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় এ মামলা দায়ের করে দুদক। সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত¡াবধায়ক সরকারের ওই সময়ে এ মামলায় খালেদা জিয়াকে গ্রেফতারও দেখানো হয়। হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ ২০০৮ সালের ২৬ অগাস্ট বিএনপি চেয়ারপারসনকে অন্তর্বতীকারীন জামিন দিয়ে রুল জারি করে। তাকে কেন স্থায়ী জামিন দেয়া হবে না তার কারণ জানাতে চাওয়া হয় সেই রুলে। সরকার ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে গেলেও হাইকোর্টের দেয়া জামিন সে সময় বহাল থাকে। ২০০৮ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়া মুক্তি পান এবং পরে নি¤œ আদালত থেকেও এ মামলায় তাকে জামিন দেয়া হয়।
তদন্ত শেষে দুদক ২০০৯ সালের ৫ অগাস্ট আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। তার পাঁচ বছর পর ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ বাসুদেব রায় অভিযোগ গঠন করে খালেদাসহ ছয় আসামির বিচার শুরুর নির্দেশ দেন। বর্তমানে মামলাটি ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে আসামির আত্মপক্ষ সমর্থনের পর্যায়ে রয়েছে। বিচার কার্যক্রম চলার সময়ে লন্ডনে অবস্থান করায় এ মামলায় খালেদার জামিন বাতিলের আবেদন করেছে দুদক, যা ওই আদালতে আদেশের অপেক্ষায় রয়েছে।
আদালত পরিবর্তনে খালেদা জিয়ার আবেদনের শুনানি আজ: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় আদালত পরিবর্তন চেয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া করা আবেদনের শুনানি বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মুলতবি করেছেন হাইকোর্ট। গতকাল বুধবার বিচারপতি মো. শওকত হোসেন ও বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চে তৃতীয় দিনের শুনানি শেষে পরবর্তী শুনানির জন্য এ দিন ঠিক করেন। এর আগে গত ৭ ও ৮ জুলাই খালেদার আবেদনের ওপর শুনানি হয়। গত ৬ আগস্ট জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় আদালত পরিবর্তন চেয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আবেদন করেন। এর আগে ন্যয়বিচার না পাওয়ার আশঙ্কার কথা জানিয়ে খালেদা জিয়া এ মামলায় চতুর্থবারের মত বিচারক বদলের আবেদন করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।