পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইমিগ্রেশনে নেই ভোগান্তি : নেই পর্যটকের লম্বা লাইন
একলাছ হক আগরতলা (ত্রিপুরা) থেকে ফিরে : ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলার সঙ্গে ভারতের মূল ভূখন্ডের যোগাযোগ অনেকটা বিচ্ছিন্ন। নেই তেমন কোনো যোগাযোগের সুব্যবস্থা। আসাম, ত্রিপুরা, মেঘালয়, মিজোরাম, মনিপুর, নাগাল্যান্ড ও অরুণাচল এই সাত রাজ্যকে বলা হয় ‘সেভেন সিস্টার্স’। তাছাড়া সেভেন সিস্টার্সের অন্যান্য রাজ্যের সঙ্গেও ভারতের মূল ভূখন্ডের যোগাযোগ ব্যবস্থা তেমন একটা ভালো নয়। তাই আগরতলা অনেকটা বাংলাদেশমুখী। আগরতলায় রয়েছে বাংলাদেশি পণ্যের ব্যাপক চাহিদা। নিত্যপণ্যের চাহিদা যোগানের ক্ষেত্রে ত্রিপুরারাজ্য অনেকটাই বাংলাদেশের ওপর নির্ভরশীল। জানা যায়, ১৯৯৪ সালে ভারতের সঙ্গে এই স্থলবন্দর দিয়ে প্রথম বাণিজ্য কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর প্রতিদিন মাছ, পাথর, সিমেন্ট, ইট, শুঁটকি, প্লাস্টিক সামগ্রী, তুলাসহ বেশ কিছু বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে তাদের আমদানি করা পণ্যের মধ্যে রয়েছে সিমেন্ট, পাটজাত ও প্লাসটিক পণ্য, কোমল পানীয়, ঢেউটিন, চিটাগুড়, মাছ, শুটকি ইত্যাদি। তবে ‘প্রাণ’-এর পণ্যের চাহিদা এ রাজ্যে বেশি। প্রাণের বিস্কুট, চিপস, কোল্ড ড্রিঙ্কস, প্লাসটিক পণ্য তাদের রাজ্যের বাজার ব্যাপকভাবে দখল করে রেখেছে। মোড়ের ছোট দোকান থেকে শুরু করে বড় বড় বিপনি বিতানগুলোতে রয়েছে প্রাণ পণ্যের সমাহার। সড়কের মোড়ে মোড়ে রয়েছে প্রাণ আরএফএলএর বিজ্ঞাপণ। আগরতলা বিমানবন্দর সড়কের দু’পাশে প্রাণ আরএফএলএর বিজ্ঞাপণ দেখে সহজেই বুঝা যায় সেখানকার মানুষের কাছে প্রাণের পণ্য কতটা প্রিয়। প্রাণ ছাড়াও আবুল খায়ের গ্রুপ, আকিজসহ বেশ কিছু বাংলাদেশি কোম্পানি তাদের পণ্য রফতানি করে থাকে। তবে এখন সিমেন্ট বেশি আমদানি হয় বাংলাদেশ থেকে। ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলার মূল শহর থেকে আখাউড়া সীমান্ত মাত্র তিন কিলোমিটার। সেজন্য বাংলাদেশ থেকে ত্রিপুরায় পণ্য রফতানিও অনেকটা সহজ। এছাড়াও বাংলাদেশের খাদ্যদ্রব্য, পোশাক, ওষুধ সামগ্রীসহ বিভিন্ন পণ্যের প্রতি এই অঞ্চলের মানুষ দিনদিন আকৃষ্ট হচ্ছে। বাংলাদেশি শাক সব্জি আলু, কাঁচা মরিচ, টমেটো, বেগুন, পটল, পোল্ট্রি ফিড, প্লাস্টিক সামগ্রী, সিমেন্ট, পানীয়, জুস, শাড়ি প্রভৃতি পণ্যের প্রতি সেখানকার মানুষের আগ্রহ প্রচুর। সিমেন্ট , প্লাস্টিক এবং জামদানির চাহিদা রয়েছে বেশ। এদিকে এই স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশনে ভোগান্তি নেই বললেই চলে। নেই কোনো পর্যটকের লম্বা লাইন। তবে ভারতের অংশে স্থলবন্দরের অবকাঠামো অনেকটা উন্নত থাকলেও বাংলাদেশ অংশে স্থলবন্দরের কোন উন্নয়ন হয়নি। পুরাতন একতলা ভবনে চলছে কার্যক্রম। এ ছাড়া স্থলবন্দরে কোনো সরকারি বা বেসরকারি ব্যাংক নেই। আসা-যাওয়ার পথে কোনো যাত্রীছাউনি নেই। এ ছাড়া নেই আবাসিক হোটেল। খাওয়ার জন্য ভালো কোনো রেস্টুরেন্টও নেই। আগরতলার কয়েকজন ব্যবসায়ি জানান, বাংলাদেশের সাথে এখানকার মানুষের ভাষা, খাবারদাবারের অনেক মিল রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে এ রাজ্যটিতে পণ্য আসতে সময় কম লাগে। বাংলাদেশে থেকে আসা পণ্যগুলোও ভালো। এখানকার মানুষও এসব পণ্য বেশি ব্যবহার অনেক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।