পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলার পর দেশে বিদেশি বিনিয়োগে স্থবিরতা এসেছিল। বিশেষ করে জাপানি ব্যবসায়ীরা ছিলেন বেশি আতঙ্কে। তবে সেই আতঙ্ক কেটে গেছে। তাই আবারো বাংলাদেশমুখী হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
মঙ্গলবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী মো. আমিনুল ইসলাম। সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের সফরে কী অর্জন হয়েছে সে বিষয়ে জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বিডা। বিডার প্রতিনিধি দল গত ১ আগস্ট থেকে ৪ আগস্ট সিঙ্গাপুর সফর করে। সে সময় বাংলাদেশ-জাপান (বিটুবি) কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়।
কাজী মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, সিঙ্গাপুরের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছে। সেখানের ব্যবসায়ী এজেন্সি আমাদের কী দিতে পারে, আমরা কী দিতে পারি সে ব্যাপারে জাপানের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। হলি আর্টিজান হামলায় জাপানিরা বেশি আতঙ্কিত হয়েছে। তাদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেয়া হয়েছে। তাদের বাংলাদেশ সম্পর্কে ভীতি কেটে গেছে। তিনি বলেন, প্রায় এক মাস আগে বাংলাদেশে বিনিয়োগের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে সিঙ্গাপুরের শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠন বিজনেস ফেডারেশনের (এসবিএফ) একটি প্রতিনিধি দল ঢাকা সফরে আসে। সে সময় বাংলাদেশে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে তারা। সে বিষয়ে আমাদের আলোচনা হয়। তারা বাংলাদেশে বড় ধরনের বিনিয়োগ করবে বলে জানিয়েছে।
বিডা চেয়ারম্যান বলেন, সিঙ্গাপুর অর্থনৈতিক দিক দিয়ে বিশ্বের তৃতীয়। বিশ্বব্যাংকের ‘ডুইং বিজনেস’ বা ব্যবসা সহজীকরণ সূচকে তারা এক দুই এর মধ্যে থাকে। ১৯০ টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ১৭৬তম। আমরা পাঁচ বছরের মধ্যে এ সূচকে ১০০ দেশের মধ্যে উন্নীত হতে চাই।
সাংবদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের ইচ্ছে আছে, লক্ষ্য আছে বাংলাদেশের বিনিয়োগ পরিবেশ বিশ্বমানে নিয়ে যাওয়া। আমরা ব্যবসায়ীদের সেবা দেওয়ার জন্য কাজ করছি। ব্যবসায়ীরা আমাদের কাজে সন্তোষ প্রকাশ করছেন। আমরা ক্রমেই অগ্রগতি করছি।
কাজী এম আমিনুল ইসলাম বলেন, সব বিদেশি কোম্পানির স্টেশন হলো সিঙ্গাপুর। তাদের কোয়ালিটি শিক্ষাব্যবস্থা, তাদের অভিজ্ঞতা কীভাবে আমরা কাজে লাগাতে পারি সেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা তাদের শেয়ার মার্কেটও ভিজিট করেছি।
এসডিজি’র মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কামাল আজাদ বলেন, জাপানের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে গত নভেম্বরে আমাদের একটি আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হলি আর্টিজানের ঘটনাসহ বিভিন্ন কারণে সেটা হয়ে ওঠেনি। এবারের সিঙ্গাপুর সফরে সেটা হয়েছে। জাপানি ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেয়া হয়েছে। হলি আর্টিজান ভীতি কেটে গেছে তাদের।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্যসচিব শুভাশীষ বসু বলেন, সিঙ্গাপুরে জাপানি ব্যবসায়ীদের নিয়ে আমাদের আলোচনা হয়েছে। একটা ইফেক্টিভ আলোচনা হয়েছে। তারা বাংলাদেশে আসছে। তিনি বলেন, ব্রিটিশ আমলে করা কোম্পানি আইন আধুনিক করতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি আবুল কাশেম খান বলেন, পলিসি তৈরির সময় আমাদের যেন সঙ্গে রাখা হয়। অনেক সময় দেখা যায় পলিসি তৈরি করা হয় আমরা আবার সেটা নিয়ে ফাইট করছি। পলিসি তৈরিতে আমাদের মতামত নেওয়া হলে আমাদের আর ফাইট করতে হবে না। সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে সিঙ্গাপুর সফরের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।