পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ন্যয়বিচার না পাওয়ার আশঙ্কার কথা জানিয়ে জিয়া অরফানেস ট্রাস্ট মামলায় চতুর্থবারের মত বিচারক বদলের আবেদন করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তার আইনজীবী জাকির হোসেন ভূইয়া গতকাল রোববার সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই আবেদন জমা দেন। পরে খালেদা জিয়ার আইনজীবী ওই আবেদন বিচারপতি মো. শওকত হোসেন ও বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের বেঞ্চে উপস্থাপন করেন। হাইকোর্ট আজ এ বিষয়ে শুনানির দিন রেখেছে বলে জানান খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন। তিনি বলেন, ন্যায়বিচার না পাওয়ার আশঙ্কা থেকে আদালত পরিবর্তনের আবেদন করা হয়েছে এই আবেদনে।
বর্তমানে ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আখতারুজ্জামানের আদালতে বিচারাধীন। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার মত এ মামলারও শুনানি চলছে বকশীবাজারে স্থাপিত বিশেষ এজলাসে। খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা গত ২৭ জুলাই অরফানেস দুর্নীতি মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের ১১ সাক্ষীকে পুনরায় জেরা করার আবেদন করলে বিচারক তা নাকচ করে ৩ অগাস্ট পরবর্তী শুনানির দিন রাখেন। কিন্তু ওইদিন তার আইনজীবীরা আদালতকে জানান, চিকিৎসার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন লন্ডনে গেছেন।
এ মামলায় আসামির আত্মপক্ষ শুনানি পর্যায়ে খালেদার অনাস্থার আবেদনে ৮ মার্চ হাইকোর্ট ঢাকার সিনিয়র বিশেষ জজ কামরুল হোসেন মোল্লাকে মামলাটির বিচারের দায়িত্ব দিয়ে ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন। কিন্তু ওই বিচারক ২০১০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত দুদকের আইন শাখার পরিচালক ছিলেন এবং সে সময় তিনি এ মামলার বিষয়ে দুদককে মতামত দিয়েছিলেন- এই কারণ দেখিয়ে এপ্রিলে আবারও আদালত পরিবর্তনের জন্য হাইকোর্টে যান খালেদার আইনজীবীরা। ওই আবেদনের ওপর শুনানি করে হাইকোর্ট ১৪ মে আদালত বদলে দেয়ার নির্দেশ দিলে মামলাটি ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ মো. আখতারুজ্জামানের আদালতে আসে। জিয়া অরফানেস ট্রাস্ট দমামলায় অর্থের উৎস সম্পর্কিত অংশ পুনঃতদন্তের জন্যও উচ্চ আদালতে গিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। কিন্তু ২ জুলাই আপিল বিভাগ তা খারিজ করে দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।