পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : অস্ত্রপাচারের মাধ্যমে পৃথক হওয়া দুই শিশু তোফা ও তহুরা ভালো আছে। তাদের অল্প করে স্বাভাবিক খাবার দেওয়া হচ্ছে। এখন মায়ের দুধ খেতে পারছে তারা। পাশাপাশি স্যালাইনও চলছে। তাদের সাড়া প্রত্যাশার চেয়েও ভালো বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে তাদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে। গতকাল (বুধবার) এ তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগের প্রধান প্রফেসর আশরাফ উল হক। শিশু সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শাহনুর ইসলাম বলেন, বাচ্চা দুটো ভালো আছে। তবে আশঙ্কামুক্ত বলার সময় এখনও আসেনি। এত বড় একটা অপারেশন যতদিন লাগবে আমরা পোস্ট আপারেটিভে রাখব। এই চিকিৎসক জানান, বুধবার মায়ের দুধ খেয়েছে তোফা আর তহুরা। দশ মাস বয়সী বাচ্চাদের যে রকম মাঝেমধ্যে কান্নাকাটি বা মল-মুত্র ত্যাগ করার কথা, দুজনেই তা করছে। যে ধরনের রেসপন্স দেখলে চিকিৎসকরা ভালো বোধ করেন, তা আমরা পাচ্ছি। আমাদের প্রত্যাশার চেয়েও ভাল আছে ওরা। বাকিটা আপনারা দোয়া করবেন। গত মঙ্গলবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সকাল ৯টা ৪০ মিনিটের দিকে তোফা-তহুরার অস্ত্রোপচার শুরু হয়। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে তাদের জ্ঞান ফেরে। জন্মের পর থেকে ১০ মাস তোফা ও তহুরা একসঙ্গে বড় হয়েছে। পিঠের কাছ থেকে কোমরের নিচ পর্যন্ত তারা পরস্পরের সঙ্গে সংযুক্ত ছিল। দুজনের পায়খানার রাস্তা ছিল একটি। তবে মাথা-হাত-পা ছিল আলাদা।
তোফা-তহুরা যেভাবে জোড়া লাগানো ছিল, চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় একে বলা হয় ‘পাইগোপেগাস’। শিশু দুটোর অস্ত্রোপচারে বিভিন্ন বিভাগের ১৬ জন সার্জন যুক্ত ছিলেন। শিশু সার্জারি বিভাগের চিকিৎসকেরা জানান, বাংলাদেশের ইতিহাসে ‘পাইগোপেগাস’ শিশু আলাদা করার ঘটনা এটি প্রথম। এর আগে অন্যান্য হাসপাতালে তিন জোড়া শিশুকে অস্ত্রোপচার করে আলাদা করা হয়েছে, তাদের ধরণ ছিল আলাদা। তোফা-তহুরার মায়ের নাম শাহিদা ও বাবার নাম রাজু মিয়া। তাঁদের বাড়ি গাইবান্ধায়। গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর জোড়া লাগানো শরীর নিয়ে জন্ম হয় গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দহবন ইউনিয়নের কৃষক রাজু মিয়া ও তার স্ত্রী শাহিদা বেগমের এই যমজ সন্তানের।
অস্ত্রোপাচারের প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর জ্ঞান ফেরে দুই বোনের; হাত-পা নেড়ে কেঁদে উঠে বাবা-মাকে তারা আনন্দে ভাসায়। তোফা-তহুরার মা সাহিদা বেগম জানান, বুধবার সকাল ১০টার দিকে চিকিৎসকের অনুমতি নিয়ে তিনি বাচ্চাদের দুধ খাইয়েছেন। অনেকেই আসছেন, শুভকামনা জানাচ্ছেন তার সন্তানদের জন্য। ####
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।