পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
![img_img-1719402951](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678437663_IMG-20230310-WA0005.jpg)
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মংলা ও শরণখোলা উপজেলা সংবাদদাতা : পূর্ব সুন্দরবনে র্যাব-৮ ও কোস্টগার্ডের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে বনদস্যু নয়ন বাহিনীর প্রধানসহ চার দস্যু নিহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে শরণখোলা রেঞ্জের কচিখালী অভয়ারণ্য কেন্দ্রের আওতাধীন শুকপাড়া চান্দেশ্বর এলাকায় এঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে ১৮টি আগ্নেয়াস্ত্র, ৫৮২ রাউন্ড তাজা গুলি, ৭টি ধারালো অস্ত্র, দস্যুদে ব্যবহৃত বিভিন্ন মালামাল ও সরদ উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহত দস্যুরা হলেন, নয়ন বাহিনীর প্রধান মনির (৩৫) এবং তার বাহিনীর সদস্য এনামুল (৩২), গিয়াস (২৫) ও হাসান (২০)। বাহিনী প্রধানের বাড়ি বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলায় এবং বাকি তিনজনের বাড়ি চট্টগ্রাম। র্যাব, কোস্টগার্ড ও পুলিশ এতথ্য নিশ্চিত করেছে।
বরিশাল র্যাব-৮ এর অধিনায়ক (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফরিদুল আলম জানান, বনদস্যু নয়ন বাহিনী ১০-১২ দিন আগে ১৯ জেলেকে মুক্তিপণের দাবিতে অপহরণ করে। ওই ১৯ জনের মধ্য থেকে এক জেলে মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেয়ে অপহরণের বিষয়টি র্যাবকে জানান। ওই জেলের মাধ্যমে জিম্মি জেলে ও দস্যুদের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে গত ৮ মার্চ র্যাব ও কোস্টগার্ড যৌথ অভিযান শুরু করে। র্যাব-৮ এর উপ-অধিনায়ক মেজর আদনান কবির ও ভোলা কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের ক্যাপ্টেন আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে যৌথবাহিনীর সদস্যরা সকাল সাড়ে ৬টার দিকে কচিখালী অভয়ারণ্য কেন্দ্র ও চান্দেশ্বরের মাঝামাঝি শুকপাড়া এলাকা পৌঁছায়। দস্যুরা যৌথবাহিনীর সদস্যদের দেখতে পেয়ে বনের ভেতর থেকে আকস্মিকভাবে গুলিবর্ষণ করতে থাকে। এসময় যৌথবাহিনীও পাল্টা গুলি চালায়। সকাল সোয়া ৭টা পর্যন্ত প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা ধরে চলে এ বন্দুকযুদ্ধ। একপর্যায়ে যৌথবাহিনীর গুলির মুখে টিকতে না পেয়ে পিছুহটে দস্যুরা বনে পালিয়ে যায়। যুদ্ধবিরতির পর ঘটনাস্থল তল্লাশি চালিয়ে চার দস্যুর গুলিবিদ্ধ লাশ, ৪টি একনলা বন্দুক, ৪টি দোনলা বন্দুক, ৪টি কাটা রাইফেল, ২টি টুটুবোর, ৬টি ওয়ান শুটার, ৭টি ধারালো অস্ত্র, ১৩৫টি টুটুবোর রাইফেলের গুলি, ৪১টি বন্দুকের গুলি, ৪০৬টি এয়ার রাইফেলের গুলি ও ৩টি মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়।
র্যাব জানায়, দস্যুদের লাশ ও অস্ত্রশস্ত্র বাগেরহাটের শরণখোলা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। অপহৃত জেলেদের উদ্ধার ও দস্যু দমনে যৌথ বাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম মিয়া জানান, দস্যুদের লাশ ও অস্ত্রশস্ত্র থানায় হস্তান্তর করেছে। এঘটনায় র্যাবের পক্ষ থেকে ডিএডি আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে দুটি মামলা দায়ের করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।