পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নাটোর জেলা সংবাদদাতা : নাটোরের সিংড়ায় নিজ স্কুলের নবম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে সাময়িক বরখাস্তকারী সহকারী প্রধান শিক্ষক নাসিম আলী আখন্দকে পুনর্বহালের জন্য ডিও লেটার দিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির কিছু সদস্যও জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। শিক্ষার্র্থীরা বলছে, শ্লীলতাহানির অভিযোগে অভিযুক্ত শিক্ষককে পুনর্বহাল করা হলে ওই শিক্ষকের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে অন্য শিক্ষার্থীরা। এদিকে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া শিক্ষক নাসিম আলী শ্লীলতাহানির শিকার শিক্ষার্থী ও তার পরিবারকে নানাভাবে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এতে নিরাপত্তাহীনতায় এখনো ঠিকমতো স্কুলে যেতে পারছে না ওই শিক্ষার্থী। স্থানীয়রা জানান, উপজেলার জয়নগর-তাজপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক নাসিম আলী আখন্দ ওই বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। কিন্তু মেয়েটি প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গত বছরের ১৪ অক্টোবর বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে ডেকে নেয় ও শিক্ষার্থীর শ্লীলতাহানি করে। এ সময় বিষয়টি কাউকে জানালে হত্যা করা হবে বলেও শিক্ষার্থীকে হুমকি দেয়। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে বিদ্যালয় ব্যবস্থপনা কমিটির কাছে অভিযোগ করেন মেয়ের বাবা। সে অভিযোগ প্রমাণিত হলে ওই শিক্ষককে চড়-থাপ্পড় মারার পর বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি ২২ অক্টোবর শিক্ষক নাসিম আলী আখন্দকে সাময়িক বরখাস্ত করে। এদিকে শিক্ষক নাসিম আলীকে সাময়িক বরখাস্তের পর পুনর্বহালের জন্য উঠে-পড়ে লেগেছে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির কয়েকজন সদস্য। অভিযোগ রয়েছে, ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য কলিম উদ্দিন, সোহরাব হোসেন, আশু এবং মোফাজ্জল হোসেন শিক্ষকের পক্ষ নিয়ে অর্থের বিনিময়ে পুনর্বহালের জন্য ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষককে বিভিন্ন ভাবে চাপ সৃষ্টি করছে। এ বিষয়ে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি খবির উদ্দিন সরদার বলেছেন, কমিটির কিছু সদস্যর কারণে শিক্ষক নাসিমকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করার সম্ভব হচ্ছে না। অপরদিকে, মেয়েটির পরিবারের অভিযোগ, শিক্ষক নাসিম আলী সাময়িক বরখাস্তের পর ক্ষিপ্ত হয়ে শ্লীলতাহানীর শিকার শিক্ষার্থী ও তার পরিবারকে নানা ভাবে হুমকি দিচ্ছে। এ অবস্থায় ভয়ে স্কুলে যেতে পারছে না ওই শিক্ষার্থী। নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটছে তাদের। শ্লীলতাহানির শিকার শিক্ষার্থীর মা অবিলম্বে অভিযুক্ত শিক্ষককে শাস্তির পাশাপাশি স্থায়ী ভাবে বহিষ্কার করার জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন। স্কুলের প্রধান শিক্ষক মসহিন আলী বলেছেন, শ্লীলতাহানির অভিযোগে অভিযুক্ত শিক্ষক নাসিম আলীকে পুনর্বহালের জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী ডিও লেটার দেয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।