পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মিজানুর রহমান তোতা : চলতি মৌসুমে সারাদেশে সোনালী আঁশ পাট আবাদ ও উৎপাদন খুবই ভালো হয়েছে। পাট পচানোর নূন্যতম দুশ্চিন্তা নেই। খাল-বিল, নদী-নালায় ভরপুর পানি থাকায় পাটের আঁশ ও রং হচ্ছে সুন্দর। বাজারে উঠছে নতুন পাট। আর সপ্তাহখানেকের মধ্যে পাটের বাজার হবে জমজমাট। পাট চাষিদের এখন সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তা উপযুক্ত মূল্য নিয়ে। বর্তমান বাজার দর গড়ে প্রতিমণ ১হাজার ২শ’ টাকা। এই দর অব্যাহত থাকলে পাট চাষিদের লোকসান গুণতে হবে। দেশের বিভিন্ন এলাকার কৃষি ও পাট অধিদপ্তরের কর্মকর্তা এবং চাষিদের সঙ্গে কথা বলে এই তথ্য পাওয়া গেছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ মোঃ গোলাম মারুফ গতকাল দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, চলতি মৌসুমে ৭ লাখ ৯৯ হাজার হেক্টর জমিতে পাট আবাদ হয়। এবার পাটের অবস্থা আশানুরুপ। প্রত্যাশা করা হচ্ছে মোট প্রায় ৮০ লাখ বেল উৎপাদন হবে। পাটের আবাদ ও উৎপাদনে সোনালী আঁশের স্বর্ণযুগ ফেরার লক্ষণ। কিন্তু চাষিদের কথায় স্বর্ণযুগের স্বপ্নভঙ্গের আশংকা রয়েছে। মহাপরিচালকের বক্তব্য মূল্যের বিষয়টি আমরা দেখি না। পাট অধিদপ্তরকে বলেছি চাষিরা যাতে উপযুক্ত মূল্য পান সেদিকে খেয়াল রাখতে। কিন্তু চাষিদের দুর্ভাগ্য হলো নতুন পাট বাজারে উঠার সময় তারা উপযুক্ত মূল্য পান না।
কৃষি সম্প্রসারণ সুত্র জানায়, এবার সারাদেশে পাটের ফলনে স্মরণকালের সর্বোচ্চ রেকর্ড হয়েছে। উপযোগী রোদ ও বৃষ্টিসহ সার্বিক আবহাওয়া ছিল পাট আবাদ ও উৎপাদনের অনুকুলে। পাট পচানোর জন্যও পর্যাপ্ত পানি পেয়েছেন চাষিরা। পাটের বাজার নিয়ে আছেন তারা দুশ্চিন্তায়। পাটচাষি যশোরের শার্শা উপজেলার মোঃ আলম বললেন, একবিঘা জমিতে চাষ, বীজ, পরিচর্যা, কাটা, পচানো, আঁশ ছড়ানো, শুকানো ও বিক্রির জন্য পরিবহনসহ সর্বসাকুল্যে খরচ হয় প্রায় ১১হাজার টাকা। একবিঘায় পাট হয় সাধারণত ১২মণ। মূল্য কমপক্ষে প্রতিমণ ১হাজার ৬শ’টাকা হলে চাষিরা কিছুটা লাভের মুখ দেখতে পাবেন। তা না হলে লোকসান গুণতেস হবে। পাট ব্যবসায়ী মফিজুর রহমান বললেন, পাট উঠার সময় দাম পড়ে যায়। এবারও তেমন পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বাজার বর্তমানে ১হাজার ৪শ’টাকা মণ হলেও নতুন পাটের দাম বড়জোর ১হাজার ২শ’টাকা হতে পারে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নানা কারণে পাটের বাজারে বিশৃঙ্খলা বাড়ে নতুন পাট উঠার সময়। এবারও বাজারে মুনাফালোভী ফড়িয়া, দালাল ও আড়তদারদের দাপট অপ্রতিরোধ্য গতিতে বেড়ে যেতে পাারে আশংকা করছেন চাষিরা। তাই জরুরিভাবে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। তাহলে পাটচাষিরা উপকৃত হবেন। পাটবাজারে ফিরে আসবে শৃঙ্খলা।
কৃষি বিশেষজ্ঞ, অর্থনীতিবিদগণ ও চাষিসহ সংশ্লিষ্টদের মন্তব্য, বিরাট সম্ভাবনাময় ও বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের অন্যতম মাধ্যম কৃষির এই খাতটির দিকে সামগ্রিকভাবে নজর দেয়া জরুরি। বিশেষ করে উপযুক্ত মূল্যপ্রাপ্তি নিশ্চিত করার ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের মাঠ কর্মকর্তাদের অমনোযোগী ও দায়িত্বহীনতায় বরাবরের মতো নানা অজুহাতে সহজ সরল নিরীহ চাষিকে রীতিমতো প্রতারিত করার সুযোগ পায় পাট সিন্ডিকেটরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।