পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : জাতীয় শিক্ষানীতিতে ইসলামী বৈশিষ্ট্যের অভাব ও পাঠ্যসূচিতে ইসলামবিরোধী অন্তর্ভূক্তি নিয়ে আওয়ামী ওলামা লীগ প্রথম বিবৃতি দেয়, মানববন্ধন করে। খেলাফত মজলিস, খেলাফত আন্দোলন, ইসলামী আন্দোলনসহ অনেক সংগঠন কর্মসূচি দেয়।
হেফাজত মাঝামাঝি সময়ে এসে আন্দোলনে যোগ দেয়। যার রেকর্ড গণমাধ্যমে পাওয়া যাবে। শেষ পর্যন্ত মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ন্যায়নীতিমূলক সিদ্ধান্তে বহু সমস্যা দূরীভূত হয়। পাঠ্যসূচি বহুলাংশে সংশোধিত হয়ে পূর্বরূপে ফিরে আসে। বর্তমানে আবার চিহ্নিত একশ্রেণীর লোকের দাবি অনুযায়ী পাঠ্যসূচি আগের পর্যায়ে ফিরিয়ে নেয়ার অপচেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে ওলামা লীগ সোচ্চার হলেও হেফাজতে ইসলাম রহস্যজনক নীরবতা পালন করছে। অপরাপর সংগঠন প্রতিবাদ করলেও হেফাজত নেতারা একেবারে বোবা হয়ে গেলেন কেন? তাদের আপোষকামিতা ও বেচাকেনার ব্যাপারে মানুষের মুখে যা শোনা যায় তা কি তাহলে সত্য? গতকাল এক বিবৃতিতে স্বাধীন বাংলা ওলামা পরিষদ ঢাকা জেলা সভাপতি মাওলানা ওমর ফারুক এসব কথা বলেন।
মাওলানা ওমর ফারুক প্রধানমন্ত্রী সমীপে আবেদন করে বলেন, দয়া করে ৯৫ ভাগ মুসলমানের হৃদয়ে আঘাত লাগে এমন কোন সিদ্ধান্ত পুনরায় নেবেন না। নাস্তিকতা ও সাম্প্রদায়িকতাপূর্ণ পাঠসূচি যেন আবার বহাল হতে না পারে সেদিকে সদয় দৃষ্টি রাখবেন। বঙ্গবন্ধুকন্যার নিকট ৯৫ ভাগ মানুষের এই প্রত্যাশা। তিনি এ বিষয়ে সতর্ক ও সোচ্চার থাকার জন্য হেফাজতের লাখো নেতাকর্মীসহ সারাদেশের ধর্মপ্রাণ মানুষকে বিনীত অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ঈমানী আন্দোলন নিয়ে একটি দুষ্টচক্রের ব্যবসা ও রাজনীতি করার বিরুদ্ধে আপনারা এখনই রুখে দাঁড়ান। তাদের হাতে জিম্মি হয়ে না থেকে অরাজনৈতিক ঈমানী আন্দোলন চালিয়ে যান।
মাওলানা ওমর ফারুক তার বিবৃতিতে আরো বলেন, স্বাধীন বাংলা ওলামা পরিষদের দীর্ঘ বিবৃতির সকল বিষয় এড়িয়ে গিয়ে হেফাজতের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী একটি খন্ডিত প্রতিবাদ অনলাইনে ছেড়েছেন। তিনি আলোচ্য বিষয় বাদ দিয়ে স্বাধীন বাংলা ওলামা পরিষদ ও আমাকে ব্যক্তিগত আক্রমন করার প্রয়াস পান, যা একটি দায়িত্বশীল পদবীধারী প্রতিবাদকারীর নীতি হওয়া উচিত নয়। তার পরিচয় দিয়ে একদল তরুণ রাজধানীতে আমার ব্যক্তিগত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও সংলগ্ন কর্মস্থল মসজিদ-মাদরাসায় এসে হুমকি দিচ্ছে। নিরাপত্তার জন্য আমাকে আইনের আশ্রয়েও যেতে হচ্ছে।
আমাদের সংগঠনকে ‘ভূইফোঁড়’ ও আমাকে ‘অখ্যাত’ বলে গালি দিলেও তিনি আমাদের প্রশ্নের কোন জবাব দিতে পারেননি। যা তার পক্ষে দেয়া সম্ভবও নয়। হেফাজতের সাংগঠনিক ও আন্তর্জাতিক সম্পাদক পরিচয়ে তার বহুমুখি গোপন যোগাযোগ, জঙ্গিগোষ্ঠী- জামাত-শিবির কানেকশন, আল্লামা শফীকে অন্ধকারে রেখে কূটনৈতিক মহলে হেফাজতের প্রতিনিধি পরিচয়ে সংযোগ, হেফাজত নেতৃত্বের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি ও ৫ মে ২০১৩ পরবর্তী ব্যবসা-বাণিজ্যে ভাগ বসানো নিয়ে দেশব্যাপী তার সম্পর্কে হেফাজত নেতাকর্মীদের যতকথা সবই সময়মত তওহীদি জনতা জানতে পারবে। আমরা তাকে সত্য উপলব্ধি করে ন্যায়ের পথে ফিরে আসার আহŸান জানাই। এসব বক্তব্য কোন ব্যক্তিগত শত্রæতা থেকে নয় ঈমানী আন্দোলনের প্রয়োজনেই সামনে আসছে। কেননা হেফাজতের জন্য আমাদের মত ‘অখ্যাত’ লোকেরাও কম কষ্ট করিনি। কিছু স্বার্থপর ও অন্ধপুজারী ছাড়া এসবই দেশের আলেম সমাজ ও তওহীদি জনতার মনের কথা। আশা করি সংশ্লিষ্টরাও খোলা মন নিয়ে ভেবে দেখবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।