Inqilab Logo

রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ৩০ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

এফবিআই’র সহযোগিতা চেয়ে চিঠি

প্রকাশের সময় : ১১ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

হাসান সোহেল : বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে চুরি যাওয়া ৮০০ কোটি টাকা ফেরত পাওয়ার সব ধরনের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। অর্থ উদ্ধারে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-এফবিআই-এর সহযোগিতাও চেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এজন্য গতকাল ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসে গিয়ে কথা বলেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের দু’জন কর্মকর্তা। এদিকে, ফিলিপাইনের অ্যান্টি মানি লন্ডারিং কাউন্সিল-এএমসিএল জানিয়েছে, হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের অর্থ পাচারের অভিযোগে ছয় ব্যক্তি ও দু’টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে জব্দ করা হয়েছে এদের সংশ্লিষ্ট সব ব্যাংক হিসাবও। যদিও চুরি করা অর্থ ক্যাসিনোতে ব্যবহার করায় পরিস্থিতি বেশ ঘোলাটে হয়ে আছে বলে জানা গেছে। অপরদিকে ফিলিপাইনের একটি দৈনিকের রিপোর্ট অনুযায়ী বিভিন্ন হাত ঘুরে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের টাকা এখন ফিলিপাইনের জুয়ার বাজারে বলে উঠে এসেছে। ক্যাসিনো এন্টি মানি লন্ডারিং আইনের আওতায় না থাকায়, প্রায় ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার কীভাবে আদায় হবে তা এখনো নিশ্চিত হয়নি। এর প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক শুভঙ্কর সাহা বলেন, ফিলিপাইনের এন্টি-মানি লন্ডারিং বিভাগ আমাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করছে। আশা করি আমরা অচিরেই টাকা উদ্ধার করতে পারব।
যদিও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক শীর্ষ কর্মকর্তা গতকাল আশঙ্কা করে বলছেন, এই টাকা আদৌ কোনোদিন আর উদ্ধার নাও হতে পারে। কারণ, ৮১ মিলিয়ন ডলারের অধিকাংশ অর্থ ফিলিপাইনের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে নেই। ওই অর্থ ক্যাসিনো হয়ে ব্ল্যাক মার্কেট অতিক্রম করে অন্যত্র চলে গেছে। এছাড়া বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ বা রিজার্র্ভের যতটুকু যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে জমা ছিল, তার একটা অংশ চুরি হয়েছে, সাইবার এ্যাটাকের মাধ্যমে। স্বাভাবিকভাবেই এখনও ঝুঁকিমুক্ত নয়, সেই অনলাইন ব্যবস্থা সুইফট। তাই বাংলাদেশ ব্যাংকসহ কয়েকটি বাণিজ্যিক ব্যাংক সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছে তাদের সুইফট অপারেশন।
এদিকে সরকারের আর্থিক খাতের তদারকি করা অর্থমন্ত্রণালয়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। রিজার্ভ থেকে চুরি হওয়ার ১ মাস পর ঘটনা অর্থমন্ত্রী জেনেছেন। বাংলাদেশ ব্যাংক ভারতের একজন আইটি বিশেষজ্ঞকে দিয়ে তদন্ত কমিটি করছে। অথচ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখতে অর্থমন্ত্রণালয় এখনো কোন তদন্ত কমিটি বা উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। অপরদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিযুক্ত ভারতের তদন্ত দলও তদন্ত শেষ না হতেই জানিয়ে দিয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। তদন্ত কমিটি গঠন প্রসঙ্গে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (ব্যাংকিং) গোকুল চাঁদ-এর কাছে এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এ বিষয়ে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সঙ্গে কথা বলতে বলেন।  
রিজার্ভের টাকা চুরি যাওয়া সম্পর্কে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র শুভঙ্কর সাহা গতকাল সাংবাদিকদের জানান, এ বিষয়ে আমাদের অনুসন্ধানের অগ্রগতি অব্যাহত আছে। ফিলিপাইনের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে যথেষ্ট তৎপর রয়েছে। আমরা যেটুকু জানতে পেরেছি সে বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করছি যে, যে অর্থ ওখানে (ফিলিপাইনে) গেছে তার পুরো অংশই আমরা ফেরত আনতে পারব। ফিলিপাইনের আদালতও যে রায় দিয়েছে তা টাকা আদায়ের পক্ষে। আমাদের তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা কাজ করছে সেকাজের ধারাবাহিকতারও অগ্রগতি আছে আছে বলে জানান তিনি। আরো ৮৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় সাত হাজার কোটি টাকা) যে লোপাটের জন্য হ্যাকাররা উদ্যোগ নিয়েছিল সে বিষয়ে জানাতে চাইলে তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকে অনেকগুলো ভুল নির্দেশনা গিয়েছিল তার মধ্যে কয়েকটি নির্দেশনার টাকা স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলে গিয়েছিল। আর বাকিগুলো তাদের যে এন্টি মানি লন্ডারিং সংকেত তার মাধ্যমে তারা যখন বুঝতে পারে তখন অর্থ স্থানান্তর বন্ধ করে দেয়। তাই এটা নিয়ে বিভ্রান্তির কিছু নেই। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের টিম ও বিশেষজ্ঞের নেতৃত্বে যে ফরেনসিক টিম কাজ করছে, তাদেরও ধারাবাহিক অগ্রগতি আছে এবং এ অগ্রগতি ফলপ্রসূ হবে বলে জানান তিনি।
এফবিআইয়ের সহযোগিতা
চুরি যাওয়া অর্থ উদ্ধারে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-এফবিআই-এর সহযোগিতা চেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানিয়েছে, চুরি যাওয়া অর্থ উদ্ধারে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে মার্কিন তদন্ত সংস্থা এফবিআইয়ের। একই সাথে ঘটনার বিস্তারিত জানিয়ে, একটি প্রতিবেদন দিয়েছে অর্থমন্ত্রণালয়কে। এজন্য গতকাল ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসে গিয়ে কথাও বলেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের দু’জন কর্মকর্তা। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাতে চায়নি বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা ফিলিপাইনের জুয়ার বাজারে
ফিলিপাইনের একটি দৈনিকের রিপোর্ট অনুযায়ী বিভিন্ন হাত ঘুরে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের টাকা এখন ফিলিপাইনের জুয়ার বাজারে ঘুরপাক খাচ্ছে। নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ সিস্টেমে বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে দশ কোটি ডলার লোপাট হওয়ার বিষয়টি নিয়ে ফিলিপাইনের কয়েকটি পত্রিকায় প্রতিদিনই খবর বের হচ্ছে। ফেডারেল রিজার্ভ থেকে কিভাবে এই অর্থ ফিলিপাইনের ব্যাংকিং সিস্টেমে ঢুকলো, সেখান থেকে কিভাবে নানা হাত বদল হয়ে সেটা বিভিন্ন জায়গায় চলে গেলো, তার বিস্তারিত বিবরণ উঠে এসেছে।
ফিলিপাইন ডেইলি ইনকোয়ারার পত্রিকার তথ্য অনুযায়ী, ফিলিপাইনের ব্যাংকিং ইতিহাসে এত বড় মানি লন্ডারিং-এর ঘটনা এটাই প্রথম। দেশটির স্থানীয় একটি ব্যাংক রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং সিস্টেম এই অর্থ লেনদেনের ঘটনায় জড়িত বলে অভিযোগ করা হচ্ছে। রিপোর্টে বলা হচ্ছে, গত মাসের পাঁচ তারিখে প্রথম ৮১ মিলিয়ন ডলার ট্রান্সফার করা হয়। নিউইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভ থেকে প্রথম অর্থ যায় যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি ব্যাংকে। এই ব্যাংকগুলো হচ্ছে- ব্যাংক অব নিউইয়র্ক, সিটি ব্যাংক এবং ওয়েলস ফার্গো ব্যাংকে। তারা এই অর্থ পাঠায় ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকে। এই অর্থ লোপাটের ঘটনা ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয় সবার মধ্যে। যদিও এরই মধ্যে ফিলিপাইনের এসব ব্যাংকে থাকা তাদের সংশ্লিষ্ট সব ব্যাংক হিসাব ৬ মাসের জন্যে জব্দের নির্দেশ দিয়েছে দেশটির আদালত।
ফিলিপাইনের মাকাটি শহরের যে শাখায় এই বিপুল পরিমাণ অর্থ আসে, সেই শাখার প্রধান কর্মকর্তা বিষয়টি ব্যাংকের উর্ধ্বতন ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের নজরে আনেন। এই লেনদেনের প্রত্যেকটি ধাপ সম্পর্কে এই ব্যাংকের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আগাগোড়াই জানতেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
কিন্তু এই ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লোরেনযো ট্যান, এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ব্যাংকের তরফ থেকে দেয়া এক বিবৃতি প্রকাশিত হয়েছে ফিলিপাইনের পত্র-পত্রিকায়। তাতে ব্যাংকটি এই অর্থ পাচারের ঘটনার তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিচ্ছে।
পুরো ঘটনাটি এখন তদন্ত করে দেখছে ফিলিপাইনের সেনেট, ন্যাশনাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন এবং ফিলিপাইনের ‘এমিউজমেন্ট এন্ড গেমিং কর্পোরেশন’ যারা সেখানকার জুয়ার ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে।
এদিকে রিপোর্টে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের চুরি যাওয়া অর্থ কিভাবে হাত বদল হয়েছে, তার একটা মোটামুটি চিত্রও দিয়েছে। রিপোর্টে বলা হচ্ছে, রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংক থেকে এই অর্থ তাদের ক্লায়েন্টদের মাধ্যমে চলে যায় স্থানীয় এক ফরেন এক্সচেঞ্জ ব্যবসায়ীর কাছে। ৮১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার স্থানীয় মুদ্রায় বিনিময়ের পর এই পরিমাণ দাঁড়ায় ৩৭০ কোটি পেঁসোতে। এরপর এই অর্থ চলে যায় তিনটি বড় ক্যাসিনোতে। এগুলো হচ্ছে সোলারি রিসোর্ট এন্ড ক্যাসিনো, সিটি অব ড্রিমস এবং মাইডাস। পুরো অর্থ খরচ করে সেখানে জুয়া খেলার জন্য চিপস কেনা হয়েছে। এরপর জুয়া খেলে এই চিপস আবার ফিলিপিনো মুদ্রায় কনভার্ট করা হয়েছে। পরে সেই অর্থ পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে হংকং-এর বিভিন্ন একাউন্টে।
রিজার্ভ হ্যাকের সাথে জড়িত
ফিলিপাইনের ৬ ব্যক্তি শনাক্ত
চুরি যাওয়া ৮০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় ৬ জনকে শনাক্তের পর তদন্ত শুরু করেছে ফিলিপাইনের এন্টি-মানিলন্ডারিং বিভাগ (এএমএলসি)। খবরটি দিয়েছে ফিলিপাইন ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইনকিউয়ার ডট নেট।
সংবাদমাধ্যমটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এএমএলসি প্রাথমিকভাবে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় মিশেল ফান্সসিসকো ক্রুজ, জেসি ক্রিস্টোফার ল্যাগরোসাস, আলফ্রেড সানটস ভারগারা, এনরিকো টিওডোরো বাসকিউজ, উইলিয়াম সোগো এবং কিম ওং কে শনাক্ত করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ক্রুজ, লেগরোসাস, ভারগারা ও ভাসকুইজ প্রত্যেকে গত বছরের ১৫ মে ৫০০ ডলার দিয়ে ফিলিপাইনের স্থানীয় ত্রিজেল কমার্শিয়াল ব্যাংক করপোরেশন (আরসিবিসি) ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খোলেন। দীর্ঘদিন এসব অ্যাকাউন্টে কোনো লেনদেন হয়নি। এরপর ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত উল্লেখিত চার ব্যক্তির আরবিসির ব্যাংক হিসাবে ৮১ মিলিয়ন ডলার যোগ হয়। অথচ এর আগ পর্যন্ত এ সব হিসাবে কোনো লেনদেন হয়নি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্রুজ, লেগরোসাস, ভারগারা ও ভাসকুইজের কোনো নির্দিষ্ট আয়ের উৎস নেই। অথচ একদিনে তাদের অ্যাকাউন্টে ৮১ মিলিয়ন ডলার যোগ হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাটি টের পাওয়ার আগেই তারা অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে নেয়।
ফিলিপাইনের দৈনিক দি ইনকোয়েরার পত্রিকা ২৯ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ থেকে ১০ কোটি ডলার মানিলন্ডারিং হয়েছে বলে খবর প্রকাশ করে। ওই খবরে বলা হয়, দেশটির মাকাতি শহরে অবস্থিত রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনের একটি শাখার মাধ্যমে ওই অর্থ ফিলিপাইনে আসে। চীনা হ্যাকাররা বাংলাদেশ ব্যাংক অথবা সেখানকার কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে এ অর্থ হাতিয়ে নেয়। হ্যাকার দল এ অর্থ প্রথমে ফিলিপাইনে পাচার করে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, অর্থ পাচারের এ ঘটনা তদন্ত করছে ফিলিপাইনের অ্যান্টি-মানিলন্ডারিং কাউন্সিল।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের একটি বড় অংশ রাখা আছে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে। সেখানে থেকেই টাকা তোলার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্ভার থেকে জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ থেকে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত ৩৫টি আদেশ পাঠানো হয়। এরমধ্যে প্রথম পাঁচটি আদেশে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা চলে যায় শ্রীলংকা ও ফিলিপাইনের ব্যক্তিগত কয়েকটি অ্যাকাউন্টে। টাকার সন্দেহজনক গন্তব্যের কারণে পরবর্তী আদেশগুলো কার্যকর করেনি ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ ব্যাংকের কেন্দ্রীয় সার্ভারের মধ্যে ম্যালঅয়্যার ঢুকিয়ে পাসওয়ার্ড, সুইপ কোডসহ সব তথ্য চুরি করা হয়। এরপর এই সার্ভারের মাধ্যমেই নিউইয়র্কের ফেডারেল ব্যাংক থেকে টাকা স্থানান্তরের আদেশ পাঠনো হয়। হ্যাকাররা সর্বমোট ১০০ কোটি ডলার বা ৮ হাজার কোটি টাকা চুরির অপচেষ্টা করেছিল। কিন্তু সফল হয়েছিল ১০ কোটি ডলার চুরি করার ক্ষেত্রে। এর মধ্যে ২০ মিলিয়ন ডলার উদ্ধার হলেও ৮১ মিলিয়ন ডলার উদ্ধার হয়নি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: এফবিআই’র সহযোগিতা চেয়ে চিঠি
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ