Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইসির ভূমিকায় চটেছে আ.লীগ

প্রকাশের সময় : ১১ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নেওয়া দুটি পদক্ষেপ মেনে নিতে পারেনি ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। দলটি ইসির নিরপেক্ষ ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। গতকাল খোদ নির্বাচন কমিশনের গিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, দীপু মনি ও জাহাঙ্গীর কবির নানক প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে দেখা করে এই অভিযোগ করেন।
সিইসির সঙ্গে বৈঠক শেষে বের হয়ে যাওয়ার সময় মাহবুব-উল আলম হানিফ সাংবাদিকদের বলেন, আসন্ন ইউপি নির্বাচনে আমাদের দলীয় প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের উপরে নিরপেক্ষতার নাম করে ইসি অন্যায় আচরণ করছে। মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে ফুলগাজীতে আমাদের উপজেলা চেয়ারম্যানকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ইসি ভালোভাবে তদন্ত না করেই তাকে বরখাস্ত করেছে। আমাদের কাছে প্রমাণ আছে, যিনি এই তদন্ত করেছেন তিনি বিএনপি করেন। তাই তার এই তদন্ত গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।
তিনি বলেন, ফেনীর ফুলগাজীতে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল রয়েছে। সেখানে দলটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে। এর বহিঃপ্রকাশ হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে বাধা দেয়ার ঘটনা ঘটতে পারে। কিন্তু অভিযোগ অন্যভাবে ঘুরিয়ে সেখানে যে নির্বাচন কর্মকর্তা রয়েছেন, যিনি ২০০৫ সালে নিয়োগকৃত। তিনি সম্পূর্ণভাবে একটি রাজনৈতিক দলের আদর্শে আদর্শিত কর্মী। তার সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন ফুলগাজী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে অভিযুক্ত করেছেন। ওই চেয়ারম্যানকে সাময়িক বরাখাস্ত করেছে কমিশন।
তিনি বলেন, দলীয়ভাবে নির্বাচন হওয়ায় স্বাভাবিকভাবে মানুষের মধ্যে আগ্রহ, সাড়া ও উদ্দীপনা আছে। পাশাপাশি অনেক রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। এক সময়ে যারা নির্বাচন বানচালের অপচেষ্টা করেছে, তারাও এ নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। তাদের কিছু নেতিবাচক কর্মকা- রয়েছে। ইসির কাছে আমাদের সুনির্দিষ্ট পর্যবেক্ষণ এবং অভিযোগ তুলে ধরেছি। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে তারা সব ধরনের আইন প্রয়োগ করতে পারেন। কিন্তু নিরপেক্ষ থাকার দোহাই দিয়ে ক্ষমতাসীন দলের উপর আইনের খড়্গ চাপালে তা কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।
এক প্রশ্নের জবাবে হানিফ বলেন, আমরা গণমাধ্যমের মাধ্যমে জেনেছি, একজন সংসদ সদস্যদের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ এসেছে। আমরা নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু করার স্বার্থে বিদ্যমান যে আইন রয়েছে, তার সর্বোচ্চ প্রয়োগ করার জন্য বলেছি। সরকারি দল বা অন্য দলের সংসদ সদস্য হোক, তা ইসির কাছে বিবেচ্য হতে পারে না। আমরা এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে সম্পূর্ণ সমর্থন দিয়ে যাবো। আমরা এমপিদের সতর্ক করে দেবো, যাতে কোনোভাবে আচরণবিধি লঙ্ঘনের মধ্যে না যান। যদি আচরণবিধি লঙ্ঘন করেন, তবে তদন্ত সাপেক্ষে দলীয়ভাবে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি পাঁচ বছর রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকাবস্থায় অন্যায়, সন্ত্রাস, দুর্নীতি করার কারণে ইতোমধ্যে জনগণের কাছে ধিকৃত হয়েছে। বিরোধী দলে থাকাবস্থায় জনগণের বিরুদ্ধে বারবার অবস্থান করেছে, সন্ত্রাসী ও নাশকতামূলক কর্মকা- করেছে। তাই তারা জনরোষের আক্রোশের শিকার হতে চায় না বলে প্রার্থী দেয়নি। এছাড়া অনেক জায়গায় প্রার্থীই খুঁজে পায়নি বিএনপি। এজন্যই অনেক জায়গায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন।
এ সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দিপু মনি ও স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক ও দফতর সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ উপস্থিত ছিলেন।



 

Show all comments
  • MD Jasim ১১ মার্চ, ২০১৬, ১০:৩৬ এএম says : 0
    সঠিক ভাবে অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে না পারলে কাজী রকিব উদ্দিন সাহেবকে অব্যাহতি দেওয়া হোক।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইসির ভূমিকায় চটেছে আ.লীগ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ