পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : কার্গো বিমান বন্ধের পর এবার বাংলাদেশ বিমানসহ সকল এয়ার লাইন্সের সরাসরি ঢাকা-লন্ডন ফ্লাইট বন্ধ হতে যাচ্ছে। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা পরিস্থিতির দৃশ্যমান উন্নতি না হলে সরাসরি ফ্লাইটটি বন্ধ করে দেবে বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দিয়েছে যুক্তরাজ্য। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন এক চিঠিতে প্রধানমন্ত্রীকে এ কথা জানিয়েছেন।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, আমারা এ বিষয়ে উদ্বিগ্ন। ব্রিটিশদের দেয়া সময়সীমার আগেই তারা কেন এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে তা খতিয়ে দেখতে হবে। তিনি বলেন, এর আগে ব্রিটিশ প্রতিনিধি দল এ বিষয়ে ৩১ মার্চ পর্যন্ত সময় দিয়েছিল। তারা বিষয়টি পর্যালোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিতে পারতো।
মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, অবস্থার উন্নতির জন্য আমাদের সদিচ্ছার কোনো ঘাটতি নেই। আমরা যখন সাধ্যের মধ্যে সবকিছু করার চেষ্টা করছি, সেই মুহূর্তে তারা এ নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর কারণ তারাই ভালো বলতে পারবে।
তিনি আরো বলেন, আমরা মঙ্গলবার একনেকে ৯০ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি কেনার অনুমোদন পেয়েছি এবং নতুন লোকবল নিয়োগ দেয়া হবে। তিনি বলেন, এখনও ঢাকা বিমানবন্দরে যুক্তরাজ্যের লোকজন কাজ করছেন। এছাড় বিমানবন্দরের নিরাপত্তার উন্নয়ন আমাদের নিজেদের জন্যই প্রয়োজন।
এ ব্যাপারে বিমান মন্ত্রণালয় বলছে, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় অনেকদিন ধরে বড় ধরনের খুঁত আছে। গত বুধবার ব্রিটিশ বেসামরিক বিমানমন্ত্রী তাকে ফোন করে বলেছেন, বাংলাদেশ অনেক কিছু করেছে। কিন্তু এখনও অনেক কিছু করা দরকার আছে।
ডেভিড ক্যামেরন তার চিঠিতে বলেন, ৩১ মার্চের মধ্যে অবস্থার উন্নতির জন্য একটি পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং তার দৃশ্যমান বাস্তবায়ন হলে পরবর্তী কোনো পদক্ষেপ, যেমন-বিমানের ঢাকা-লন্ডন সরাসরি ফ্লাইট বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয়া হবে না। তবে বুধবার থেকে ঢাকা-লন্ডন সরাসরি কার্গো পরিবহন পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বাতিল করেছে যুক্তরাজ্য।
মার্চের শেষে যুক্তরাজ্য যে পর্যালোচনা রিপোর্ট দেবে, তা ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া মেনে নেবে এবং সে অনুযায়ী তারা পদক্ষেপ নেবে।
যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশকে দীর্ঘদিন থেকেই অনুরোধ করে আসছে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য। যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া ঢাকা বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করার জন্য যুক্তরাজ্যকে দায়িত্ব দিয়েছে।
ব্রিটিশ এভিয়েশনের এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের লিয়াজোঁ অফিসার জন লাভসে গত নভেম্বরে ঢাকা বিমানবন্দর পরিদর্শনে আসেন। তিনি নিরাপত্তা উন্নয়নের জন্য বেশকিছু সুপারিশ করেন। প্রথম রিপোর্টটি শুধু যাত্রী পরিবহন বিষয়ক নিরাপত্তার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল।
পরে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি তিনি ফের ঢাকা আসেন এবং দ্বিতীয় রিপোর্ট দেন, যেখানে কার্গো পরিবহন বিষয়ক সুপারিশ ছিল। যুক্তরাজ্য প্রথম রিপোর্ট দেয়ার পর অস্ট্রেলিয়া এককভাবে বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়াতে কার্গো সার্ভিসের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। যুক্তরাজ্যের রিপোর্টে বলা হয়, যাত্রীদের সঠিকভাবে স্ক্যানিং করা হয় না এবং মালামাল ট্যাগ করার যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয় না।
এছাড়া কার্গো রাখার জায়গায় ফ্রেইট ফরোয়ার্ডার প্রতিষ্ঠানের বেসরকারি কর্মীদের সরিয়ে নিতে বলা হয়, নিরাপত্তা ট্যাগ লাগানোর মেশিন ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হয় এবং কার্গো ওয়ারহাউসের বাইরের সব পণ্য ভেতরে নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়।
ব্রিটিশরা তাদের অভিযোগে বলেছে, বিমানবন্দরে যারা স্ক্যান করেন তারা অন্যদিকে তাকিয়ে থাকেন, বসে বসে টেলিফোনে কথা বলেন, অন্য লোকের সঙ্গে গল্প করেন, তাদের কোনও প্রশিক্ষণ নেই। এছাড়া বিমানবন্দরে এক্সপ্লোসিভ ট্রেসিং মেশিনও কাজ করে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।