Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইসলামে নারীর মর্যাদা এবং আমাদের নারী নেত্রীগণ

প্রকাশের সময় : ১০ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১১:৫৬ পিএম, ১০ মার্চ, ২০১৬

স্টালিন সরকার : ঘুম ভাঙ্গালেন ইংরেজি দৈনিক নিউ এজ পত্রিকার সম্পাদক নূরুল কবির। ‘বিশ্ব নারী দিবস’এ টিভির এক টকশোতে প্রগতিশীল, বামপন্থী রাজনীতির প্রতি দুর্বল নির্ভীক এই সাংবাদিকের ‘ইসলামে নারীর অধিকার’ নিয়ে তথ্য উপাত্তে ভেঙ্গে যায় মরার ঘুম। ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে জ্ঞান তেমন নেই। ৪৩/৪৪ বছর আগে সেই ছোট বেলায় বাড়ির উঠোনের ফোরকানিয়া মাদ্রাসায় ‘কায়দা’ পড়েছি। ‘আমপাড়া’য় যেতে পারিনি স্কুলের পড়ার চাপে। জন্মগতভাবেই ইসলামের প্রতি একশ ভাগ বিশ্বাস-আস্থা থাকলেও ধর্মকর্ম চর্চা তেমন করা হয়ে ওঠে না। তাই ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে জ্ঞান প্রায় শূন্য। কিন্তু ইসলাম ধর্ম-নবী (সা.) কে নিয়ে কেউ কটূক্তি করলে এমনিতেই রক্ত গরম হয় মাথা বিগড়ে যায়। অন্যান্য ধর্ম নিয়ে কটূক্তিতেও একই অবস্থা। ৮ মার্চ পালিত হলো বিশ্ব নারী দিবস। সারাবিশ্বের খবর জানি না কিন্তু বাংলাদেশে দিবসটি পালিত হয়েছে জাঁকজমকপূর্ণভাবেই। দিবসটি উপলক্ষে কিছু নারী নেত্রী, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা, এনজিও কর্মী, মানবাধিকার কর্মী এবং বিশিষ্টজনের বক্তব্য মন্তব্যের মর্মাথই হলো নারীর প্রতি সহিংসতা, জুলুম, নির্যাতন এবং নারীর চলার পথের প্রধান বাধা ইসলাম ধর্ম। তাদের অভিযোগ ইসলাম ধর্মই নারীদের চার দেয়ালের মধ্যে আটকে রেখেছে এবং তারা পুরুষশাসিত সমাজ ব্যবস্থার শিকার হচ্ছেন। ৯১ ভাগ মুসলমানের এই দেশে ইসলামের প্রতি মানুষের অগাধ বিশ্বাস ও ভালোবাসা থাকলেও নানা কারণে কিছু আলেম ওলামাদের প্রতি মানুষের বিশ্বাসহীনতায় ইহুদি, ইঙ্গ-মার্কিনীদের মতো এদেশের কিছু তথাকথিত প্রগতিশীল মতবলবাজের টার্গেট ‘ইসলাম ধর্ম’। ইসলামবিদ্বেষী কথাবার্তা বলেই যেন তারা মজা পান। তারা সরাসরি ধর্মকে আক্রমণ করতে না পারায় মাদ্রাসা শিক্ষা নিয়ে কটূক্তি, আলেম-ওলামাদের তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য এবং মৌলবাদ, জঙ্গীবাদ শব্দগুলোর সঙ্গে ইসলাম ধর্মচর্চাকে একাকার করেন। ইসলামই হচ্ছে নারীর অধিকারের প্রধান বাধা ইত্যাদি ইত্যাদি নিজেদের প্রগতিশীলতা জাহির করেন। ব্যক্তিগতভাবে ইসলাম ধর্ম নিয়ে তেমন জ্ঞান না থাকায় নীরবেই সেগুলো হজম করতে হয়। কিন্তু নুরুল কবির সেই ‘নীরবতা’ ভেঙ্গে দিলেন।  
বিশ্ব নারী দিবসের রাতে ইন্ডেপেন্ডেন্ট টিভির টকশোতে আলোচনায় অংশ নেন অকুতভয় সাংবাদিক নূরুল কবির, অধ্যাপিকা সাদেকা হালিম ও অধ্যাপক ড. আজফাল হোসেন। অধ্যাপিকা তার বক্তব্যে নারীবাদী চিন্তা-চেতনার গন্ডিতে আবদ্ধ থাকলেও অধ্যাপক আজফাল বিশ্বের নারীবাদীদের একচোখা পক্ষপাতিত্বের মানসিকতার সমালোচনা করেন। কিন্তু নুরুল কবির দৃঢ়তার সঙ্গে বললেন, ‘ইসলাম ধর্মই সর্বপ্রথম নারীর অধিকার নিশ্চিত করেছে। আমেরিকা-ইউরোপসহ সভ্য দেশগুলো (খ্রিস্টান, ইহুদি ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরা) দু’শ/আড়াইশ বছর অগে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা করে। অথচ তারও ১২শ’ বছর আগে ইসলাম নারীর অধিকার সুনিশ্চিত করেছেন মহানবী (সা.)। ইসলাম ধর্মের নারীরা ১৪শ’ বছর আগ থেকে জন্মগতভাবেই বাবা-মায়ের সম্পদের ভাগ পান। অথচ এখনো অনেক ধর্মে নারীরা পৈত্রিক সম্পদের ভাগ পান না।’ আরো কিছু তৎপর্যপূর্ণ কথা বলেছেন নূরুল কবির। তার এ বক্তব্য শোনার পর শুরু হলো ঘাটাঘাটি। আরবী পড়তে জানি না। বাংলা-ইংরেজিই সম্বল। তাতেও আবার ইংরেজিতে খুবই দুর্বল। গুগলের সৈজন্যে বিক্ষিপ্তভাবে কোরআনের সুরা ও হাদিসের বয়ান ঘেটে বেশ কিছু তথ্য উৎঘাটন করা গেল। পড়ে নিশ্চিত হওয়া গেল যে, ইসলাম ধর্মই সর্বপ্রথম নারীর অধিকার-মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করেছে। শুধু তাই নয় ইসলামই আজকের গণতন্ত্র চর্চার রেওয়াজ চালুর প্রবর্তক। অথচ তথাকথিত কিছু উচ্চশিক্ষিত প্রগতিশীল ও এনজিওর নারী নেত্রী দেশের নারীর দূরবস্থার জন্য দায়ী করেন ইসলাম ধর্মকে। ইসলাম সম্পর্কে তাদের জ্ঞানের অভাব, নাকি চিন্তা-চেতনায় ইসলামবিদ্বেষী মানসিকতা থেকে তারা এসব করছেন তা বোধগম্য নয়। কোরআন হচ্ছেÑ একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা। সেখানেই বর্ণিত হয়েছে সৃষ্টির সহজাত ধারায় নারী-পুরুষের মধ্যে মর্যাদাগত তেমন পার্থক্য নেই। তথাপি যুগে যুগে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী নারীদের বঞ্চিত করেছে তাদের প্রাপ্য অধিকার থেকে। তাদের নিগৃহিত করেছে এবং স্বাধীনতা-স্বকীয়তা দাবিয়ে রাখার চেষ্টা করেছে যুগের পর যুগ ধরে। মা-বোন তথা নারীরা সবচেয়ে বেশি লাঞ্ছনার শিকার হন ইসলামপূর্ব জাহেলি সমাজে। সে সময়ে নারী হিসেবে জন্ম নেয়াই ছিল যেন অভিশাপ। মানব সমাজে নৈতিক শিক্ষা না থাকায় নারীদের সামান্য মানুষ হিসেবে মূল্য দিতেও কুণ্ঠাবোধ করা হতো। নির্মমতা-নিষ্ঠুরতা হতো নারীদের ওপর। সর্বকালের সেরা মানব মহানবী (সা.)-এর আবির্ভাবের (নবুওত) পর আরবের নারীদের ভাগ্যাকাশে দেখা দেয় প্রোজ্জ্বল জ্যোতি। ইসলাম ধর্ম প্রচারের সঙ্গে সেই জ্যোতি ক্রমান্বয়ে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। মূলত নারী সমাজের জন্য আশীর্বাদ হিসেবে এসেছে ইসলাম। ইসলামই প্রথম দ্ব্যর্থহীনভবে ঘোষণা করে নারীরাও মানুষ। সমাজে তাদেরও সদাচরণ পাওয়ার অধিকার আছে। তাদের প্রতি কোনো অবজ্ঞা-অবহেলা-অপমান সমর্থনযোগ্য নয়। মহানবী (সা.) তার কথা ও কর্মের মধ্যেই সে দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন। পবিত্র কোরআনে পুরুষদের উদ্দেশে বলা হয়েছে ‘তারা (নারীরা) তোমাদের পোশাক ও তোমরা তাদের পোশাক।’ ২৩/২৪ বছর আগে ‘রাজনীতিকদের ঘর সংসার’ বইয়ের জন্য কয়েকজন নারী নেত্রী ও নেতার স্ত্রীর সাক্ষাৎকার নিই। সে সময় এক নেতার স্ত্রী (অধ্যাপিকা) বলেছিলেন ‘নারী স্বাধীনতা কি তা মাঠের বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেয়া নারী নেত্রীরাই জানেন- বোঝেন না।’ আরেক নেতার স্ত্রী (বর্তমানে ওই নেতা যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত হয়ে কারাগারে) বলেছিলেন ‘ইসলাম নারীদের চার দেয়ালের মধ্যে আটকে রাখেনি’ (এসব লেখা ইনকিলাবে ছাপা হয়েছে)। তথাকথিত প্রগতিশীল ইসলামবিদ্বেষীরা যতই চিৎকার করুক ‘পর্দা হিজাবের মাধ্যমে ইসলাম ধর্ম নারীদের পায়ে শিকল পরিয়ে রেখেছে’। বাস্তবতা উল্টো। বরং ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয়, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক সব ক্ষেত্রে নারী অধিকার প্রতিষ্ঠার অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে ইসলাম। গর্ভধারিণী মায়ের অধিকার, কন্যা-জায়া-জননীর মর্যাদা ও মুক্তির দিশারী ইসলাম ধর্ম। এই পৃথিবীর মানবজীবনের এমন কোনো ক্ষেত্র নেই; যেখানে নারীদের মর্যাদার ব্যাপারে ইসলামের ন্যায়ানুগ ও বিবেচনাপ্রসূত নির্দেশনা অনুপস্থিত। পবিত্র কোরআনের বিভিন্ন আয়াত এবং হাদিসে নারীদের অধিকার, মর্যাদা ও তাদের মূল্যায়ন সম্পর্কে সুস্পষ্ট বর্ণনা রয়েছে। মহানবী (সা.) তাঁর স্ত্রী ও কন্যার সঙ্গে আচরণ করে শিখিয়ে গেছেন কিভাবে নারীর প্রতি সম্মানপ্রদর্শন করতে হয়। তিনি সাহাবাদের সেটা অনুকরণ-অনুসরণ করার পরামর্শ দিয়েছেন। ইসলামের দৃষ্টিকোণে নারী-পুরুষ পরস্পরে সহযোগী। অথচ নারী নেত্রীরা সর্বত্র নারী অধিকারের নামে পুরুষের প্রতিযোগী করে তুলছেন নারীদের। কাজী নজরুল ইসলাম লিখেছেন ‘এ বিশ্বের যা কিছু চির কল্যাণকর/অর্ধেক তার করিয়াছে নারী অর্ধেক তার নর’। অথবা ‘কোনোকালে একা হয়নিকো জয়ী পুরুষের তরবারি/প্রেরণা দিয়েছে শক্তি দিয়েছে বিজয় ল²ী নারী।’ যুগের যুগে কবি লেখক, চিন্তাবিদরা নারী-পুরুষের এই সহঅবস্থান ও মর্যাদা নিয়ে কাব্য-গীতি রচনা করে গেছেন। এদেশের নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন কি কোমড় বেঁধে রাস্তায় নেমেছিলেন? নাকি গৃহবাসিনী নারীদের মার্যাদার সঙ্গে কাজ করার আহŸান জানিয়েছিলেন?
পৃথিবীর দেশে দেশে আজকের যে গণতন্ত্র, নাগরিকের ভোটে অধিকার, জনপ্রতিনিধি নির্বাচন এসব কিছুই মূলে রয়েছে ইসলামের অবদান। আদিম যুগে মানুষ গোত্রবদ্ধভাবে বসবাস করলেও ‘জোর যার মুল্লুক তার’ নীতির প্রচলন ছিল। কিন্তু ইসলাম ধর্মের রীতি অনুযায়ী সেই যুগে আরবে মুসলমানদের ‘খলিফা’ নির্বাচনের মাধ্যমে সেই গণতন্ত্র এবং প্রতিনিধি নির্বাচনে মানুষের মতামত নেয়ার অধিকারের প্রচলন হয়। মানুষ সামাজিক জীব। সংঘবদ্ধ জীবন-যাপনে মানুষের আচার-আচরণ, লেনদেন, সমাজ ও শাসনব্যবস্থা কেমন হবে তার পুরো বিবরণ ইসলামে রয়েছে। খলিফা নির্বাচনের ধারণা থেকেই গণতন্ত্র আসে পৃথিবীতে। সবার পক্ষ থেকে যিনি দায়িত্ব পাবেন শাব্দিক অর্থে তাকেই খলিফা বলা হয়। আজকের যে ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, উপজেলা পরিষদ, সংসদ নির্বাচনের মাধমে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের প্রচলন বিদ্যামান তার গোড়াপত্তান ওই খলিফা নির্বাচনের মধ্য দিয়েই। শুধু ভোট দিয়ে নেতা নির্বাচন নয়; ভোটারেরও দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে। যাকে-তাকে ভোট দেয়া অনুচিত সেটাও বলা হয়েছে। ইসলামে শুধু ভোট দিয়ে একজনকে জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করে নেয়া পর্যন্তই ভোটারের দায়িত্ব শেষ করেনি। ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির কর্মকাÐের দায়ও আপনার ওপর বর্তায়। সৎ-যোগ্য ব্যক্তিকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করলে এর জন্য আপনি যেমন পুরস্কৃত হবেন; তেমনি কোনো দুর্নীতিবাজ-অসাধু, অযোগ্য-অসৎ, ইসলামবিদ্বেষী কপট ব্যক্তিকে ভোট দিয়ে নির্বাচন করলে তার যাবতীয় অপকর্মের দায়ভার আপনার ওপর বর্তাবে। এ জন্য জনপ্রতিনিধি নির্বাচন সবাইকে সতর্ক ও সুবিবেচক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে ইসলাম। কোরআনের এক আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘যে ব্যক্তি সৎ কাজের জন্য কোনো সুপারিশ করবে তার সুফল থেকে সেও একটি অংশ পাবে। আর যে ব্যক্তি সুপারিশ করবে মন্দের পক্ষে তার পাপের বোঝার একটি অংশ তাকে ভোগ করতে হবে।’ অর্থাৎ ভোট দেয়ার অর্থ হলো প্রার্থীর যোগ্যতা ও সততার সাক্ষ্য দেয়া। এখন জনপিতিনিধি নির্বাচনে অযোগ্য-অসৎ, দুর্নীতিবাজ, প্রতিহিংশা পরায়ন, সন্ত্রাসী-মন্তান কাউকে ভোট দিলে আপনি মিথ্যা সাক্ষ্য দিলেন। আর মিথ্যা সাক্ষ্যের পরিণতি জাহান্নাম। জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে ভোট দেয়ার আরেকটি অর্থ হলো প্রার্থীর পক্ষে আপনি সুপারিশ করলেন। সুতরাং সুপারিশ করার আগে আপনাকে ভাবতে হবে আপনি কার পক্ষে সুপারিশ করছেন। জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে ইসলামে যে সুন্দর উপদেশাবলী তুলে ধরা হয়েছে তা অন্য কোথাও নেই। আর নারীর অধিকার! পুরুষদের প্রেরণার মূল উৎস নারী। নারী বাদ দিয়ে মানবসভ্যতার অস্তিত্ব অকল্পনীয়। উন্নতি-অগ্রগতির কোনোটির প্রত্যক্ষ কোনোটির পরোক্ষভাবে ভূমিকা রয়েছে কন্যা-জায়া-জননীর। নারীর সঙ্গে ইসলামের নির্দেশনা অনুযায়ী আচরণ বাধ্যতামূলক। একমাত্র ইসলামই নারীদের প্রকৃত নিরাপত্তা ও শান্তির আশ্রয়। সভ্যতার চোখ ধাঁধানো উৎকর্ষের যুগেও নারীদের অপব্যবহার ও তাদের প্রতি অনাচার করা হচ্ছে। ইসলামবিদ্বেষী কিছু নেত্রী ও শিক্ষিত মানুষ নারী স্বাধীনতা ও পুরুষের সম-অধিকারের নামে আমাদের কন্যা-জায়া-জননীদের বেলেল্লাপনার পথে ঠেলে দিচ্ছে; পুরুষের মুখোমুখি দাঁড় করাচ্ছে। সভ্যতা-ভব্যতা, পর্দানশীলতা থেকে টেনে-হেঁচড়ে বের করছে। নারীর অধিকারের নামে তারা কার্যত নারীদের বিজ্ঞাপনের পণ্যে পরিণত করেছে। সাংবাদিক নুরুল কবির ও অধ্যাপক আজফাল নারীবাদিতা নিয়ে শোনালেন তা কি নারী নেত্রীদের কর্ণে গেছে? নাকি এনজিওর মাধ্যমে খ্রিস্টান-ইহুদিদের কাছ থেকে পাওয়া অর্থ জায়েযের জন্য নারী স্বাধীনতা নারী স্বাধীনতা চিৎকার করছেন? এই নারী নেত্রীদের কখনো যৌতুক প্রথা বিলোপের জন্য আন্দোলন করতে দেখা যায়নি। অথচ দেশের গ্রামে-গঞ্জে হাজার হাজার বিবাহযোগ্য মেয়ের যৌতুকের কারণে বিয়ে হচ্ছে না। তাহলে এই নেত্রীদের কাছে নারী স্বাধীনতার অর্থ কি?



 

Show all comments
  • Tania ১১ মার্চ, ২০১৬, ৩:২৬ পিএম says : 0
    একমাত্র ইসলামই নারীদের প্রকৃত নিরাপত্তা ও শান্তির আশ্রয়।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইসলামে নারীর মর্যাদা এবং আমাদের নারী নেত্রীগণ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ