পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় ৪শ’টাকা বেড়েছে এক প্যাকেট ইনসুলিনের দাম। গত সপ্তাহেও যে ইনসুলিনের প্যাকেট বিক্রি হয়েছে ১৭শ’ টাকা। গতকালই সেই ইনসুলিন বিক্রি করা হচ্ছে ২হাজার ৯৫টাকা।
গতকাল রাজধানীর আজিমপুরের মদিনা ফার্মেসিতে দাঁড়িয়ে ইনসুলিন কিনতে আসা বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা হাসিবুর রহমান দোকান মালিকের উদ্দেশ্যে ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলছিলেন ‘এই মিয়া, দেশটা কি মগের মুল্লুক নাকি! গত সপ্তাহে পাঁচটির এক প্যাকেট ইনসুলিন এক হাজার ৭শ’ টাকায় কিনলাম। আর আজ চাইছ দুই হাজার ৯৫ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে দাম প্রায় ৪শ’ টাকা বেশি। এটা কী করে সম্ভব?’
ক্রেতা হাসিবুর রহমান ক্ষুব্ধ হলেও ফার্মেসি মালিক হাসিমুখে বললেন, ‘আঙ্কেল, দেশটা মগের মুল্লুক কি না- তা জানি না, কোম্পানি দাম বাড়িয়েছে। এ কারণে কিনতে হয় বেশি দামে, বেচিও বেশি দামে। ইচ্ছা হইলে নেবেন, না হলে নেবেন না, আপনার খুশি।’
ফার্মেসি মালিকের কথা শুনে চুপ করে গেলেন হাসিবুর রহমান। পকেট থেকে ৫শ’ টাকার একটি নোট বের করে দিয়ে এক পিস ইনসুলিন নিলেন। সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানান, গত ৭-৮ বছর ধরে ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত। চিকিৎসকের পরামর্শে গত দুই বছর ধরে নিয়মিত দুই বেলা মিক্সটার্ড-৩০ নামের ইনসুলিন নেন।তিনি জানান, বেতনের সামান্য টাকায় ফ্ল্যাট ভাড়া, ছয় সদস্যের পরিবারের ভরণ-পোষণ ও ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ার খরচ চালাতে হয়। তার ওপর ইনসুলিন ও ওষুধ বাবদও কয়েক হাজার টাকা চলে যায়। এমন হুটহাট করে ইনসুলিনের মূল্যবৃদ্ধি ‘মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা’ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সরেজমিনে ধানমন্ডি, কলাবাগান, লালবাগ, শাহবাগ ও আজিমপুর এলাকার বিভিন্ন ফার্মেসি ঘুরে দেখা গেছে, নভো নরডিস্ক কোম্পানির উৎপাদিত মিক্সটার্ড-৩০ ইনসুলিন প্রতি প্যাকেট কমপক্ষে সাড়ে ৪শ’ থেকে ৫শ’ টাকা অতিরিক্ত দামে বিক্রি হচ্ছে। এ কোম্পানির ওষুধটি স্থানীয়ভাবে এসকেএফ নামে দেশীয় ওষুধ কোম্পানি বাজারজাত করে। বিজিবি-৩ নম্বর গেট সংলগ্ন তাহসিন ফার্মেসির মালিক আরিফ আহমেদ জানান, গত সপ্তাহে ইনসুলিন সরবরাহ দু’দিন বন্ধ ছিল। হঠাৎ ইনসুলিন সরবরাহের সময় ডিস্ট্রিবিউটররা জানান, এখন থেকে নতুন দামে ইনসুলিন বিক্রি করতে হবে। নতুন দাম নিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে তাদের বাদানুবাদও হচ্ছে বলে জানান। ইনসুলিনের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিচালক গোলাম কিবরিয়ার সঙ্গে একাধিকবারের যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।