পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ সকল প্রকার তামাকজাত দ্রব্যের মোড়ক ও প্যাকেটে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণীসহ বাস্তবায়ন ও বাজারজাতকরণে প্রস্তাবিত সচিত্র সতর্কবাণীর সাথে বিভিন্ন দেশের সচিত্র সর্তকবাণী প্রদর্শন করা হয়েছে। ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের উদ্যোগে গতকাল দিনব্যাপী শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে এই কর্মসূচি পালিত হয়।
আয়োজক সূত্রে জানা যায়, ২০০৫ সালের ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইনটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ১৯ মার্চ ২০১৬ থেকে তামাকজাত দ্রব্যের মোড়ক ও প্যাকেটে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী ব্যবহারের প্রস্তাবনা রয়েছে। আর এটা যাতে বাস্তবায়িত হয় সে লক্ষ্যেই এই কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে।
সূত্রমতে, বিশে^র বিভিন্ন দেশে ইতিমধ্যে এই বিষয়টি বাস্তবায়ন করেছে তারা তাদের দেশের সিগারেটের প্যাকেটসহ অন্যান্য তামাকজাত সামগ্রীর মোড়কের গায়ে রঙিন ছবিসহ স্বাস্থ্য সতর্কীকরণ বাণী প্রচার শুরু করেছে। দেশগুলোর মধ্যে থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, কানাডা, ব্রাজিল, অস্ট্রেলিয়া, উরুগুয়ে, নিউজিল্যান্ড, জর্ডান উল্লেখযোগ্য। ফলে এ সকল দেশে তামাকের ব্যবহার অনেকাংশে কমে এসেছে।
প্রদর্শনী কার্যক্রমে বাংলাদেশ গ্রæপ থিয়েটার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ঝুনা চৌধুরী ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস্ এর কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর শরিফুল ইসলাম, গ্রান্ট ম্যানেজার ডা মাহফুজুল হক ভূঁইয়া, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের ডা. আবদুল্লা, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য সেক্টরের প্রধান ইকবাল মাসুদ ও বিভিন্ন মিডিয়া ব্যক্তিত্বরাও উপস্থিত ছিলেন। প্রদর্শনীটি সকল জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত ছিল।
উল্লেখ্য, জনসংখ্যার আধিক্য, নি¤œ-আয়, দারিদ্রতা ইত্যাদির কারনে বিশ্বের সর্বোচ্চ তামাকজাত পণ্য ব্যবহারকারী ১০টি দেশসমূহের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। তামাক ও ধূমপানের কারণে বাংলাদেশে প্রতি বছর ৫৭হাজার মানুষ মারা যায় এবং ৩ লাখ ৮২ হাজার মানুষ পঙ্গুত্ববরণ করে। ৪ কোটি ১৩ লাখ লোক প্রত্যক্ষভাবে তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার ও ধূমপান করে অন্যদিকে ৪ কোটি ৩০ লাখ লোক পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হয় অর্থাৎ ধূমপান না করেও এই বৃহৎ অংশের জনগোষ্ঠী ধূমপানের জন্য ক্ষতির শিকার হচ্ছে।
প্রতিবছর ধূমপান ও তামাক ব্যবহারজনিত রোগের চিকিৎসার জন্য সরকারের স্বাস্থ্যখাতে বৃহৎ অংশের অর্থ ব্যয় হয়। ধূমপান ও তামাকের ব্যবহার ক্ষতি কমাতে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সচেতনতা সৃষ্টি বিশেষ করে যারা সরাসরি তামাকজাত পণ্য ব্যবহার করে তাদের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি। এক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে ভূমিকা রাখতে পারে তামাকজাত সামগ্রীর মোড়কের গায়ে ছবিসহ সতর্কীকরণ বাণী। বিশেষজ্ঞদের মতে তামাকজাত সামগ্রীর মোড়কের গায়ে বিভিন্ন রোগের ছবিসহ সতর্কীকরণ বাণীর প্রচার করা যায় তাহলে বিনা অর্থ ব্যয়ে ছবিসহ সতর্কীকরণ বাণীর মাধ্যমে ক্রেতা-ভোক্তা ও ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর কাছে তামাক ব্যবহারের ভয়াবহতাকে পৌঁছে দেয়া সম্ভব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।