পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া লন্ডনে যাওয়ার পর সরকারের ঘুম হারাম হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন দলের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। তিনি বলেন, সরকারের জনপ্রিয়তা এখন শূণ্যে চলে এসেছে। তাই তারা এখন দেশবাসী ও বিএনপি’র সাধারণ নেতা-কর্মীদের মধ্যে নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টির জন্য সরকারি এজেন্সিগুলোকে মাঠে নামিয়ে দিয়েছে। সরকারের এজেন্সিগুলো বিএনপির সিনিয়র নেতাদের উদ্ধৃত করে নানা অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। এবার বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও অবিশ্বাস্য কল্পকাহিনী প্রচার করা হচ্ছে। গতকাল (বুধবার) দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই অভিযোগ করেন।
বিএনপি’র এই সিনিয়র নেতা বলেন, আমরা এর আগেও বলেছি-বিএনপি’র জাতীয় স্থায়ী কমিটির সিনিয়র নেতৃবৃন্দের নামে বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বিবৃতি একটি ওয়েবসাইটে প্রচার করা হয়েছে। দু’দিন আগেও বিএনপি’র সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে উদ্দেশ্য করে ভাইস চেয়ারম্যান এম মুর্শেদ খানের নাম ব্যবহারের মাধ্যমে বানোয়াট, অসত্য, মনগড়া বক্তব্য একটি ওয়েবসাইটে প্রচার করা হয়েছে। যে বক্তব্যের সাথে মুর্শেদ খানের কোন সম্পর্কই নেই। তারা বিএনপি নেতা-কর্মীসহ সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করছে। ১/১১’র সরকারও কত অপচেষ্টা করেছিল কিন্তু কোন লাভ হয়নি। আপনারাও পারবেন না। অপপ্রচার ও কুৎসা রটনাকারীদের মানুষ ঘৃনা করে, এরা ইতিহাসের ঘৃন্য চরিত্র। এরা অসভ্যতা এবং নোংরা সংস্কৃতির ধারক।
রিজভী বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার লন্ডন সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা কতই না প্রলাপ বকছেন। তিনি চিকিৎসার জন্য লন্ডন গেছেন অথচ প্রথমে আওয়ামী লীগের নেতারা বললেন বেগম খালেদা জিয়া মামলার ভয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন, এখন তারা বলছেন বেগম খালেদা জিয়া ষড়যন্ত্র করতেই লন্ডন গেছেন। এরপর হয়তো তারা আবার আরেক নতুন তত্ত¡ দিবেন। ক্ষমতাসীন জোটের মন্ত্রী ও নেতারা মুনাফা, নগদ লাভ ইত্যাদির জন্যই প্রধানমন্ত্রীকে খুশী করতেই লন্ডনে বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াতেই ষড়যন্ত্রতত্তে¡ মেতেছেন। দেশে তাদের সৃষ্ট দারিদ্র, অবিচার, নিষ্ঠুর নিপীড়ন আর গুম, খুন ও লাশ ফেলার রাজনীতি ঢেকে ফেলার জন্যই এরা লন্ডনে চিকিৎসাধীন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। মামলার ভয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন এই আওয়াজ তুলে আওয়ামী নেতৃবৃন্দ নিজেরাই এক্সপোজ হয়ে গেছেন। বিপদের মূহুর্তে পলাতক কারা। কারা বারবার জনগণের সাথে বেঈমানী করেছে, সেটি জনগণ খুব ভাল করে জানে। গায়ের জোরে ইতিহাস লেখানো হলেও মানুষের অন্তরে সত্য ইতিহাস উদ্ভাসিত। আর আওয়ামী লীগের একটি স্বকীয় পরিমার্গ হচ্ছে-চক্রান্ত। আওয়ামী লীগের কর্মকাÐের মাধ্যমেই এদেশের মানুষ চক্রান্ত শব্দটির সাথে পরিচিত হয়েছে। এরাই প্রথম বহুদলীয় গণতন্ত্রকে নির্মমভাবে দড়িতে লটকিয়ে ১ নম্বর বাকশাল কায়েম করে বাক-ব্যক্তি ও সংবাদত্রের স্বাধীনতাসহ নাগরিক স্বাধীনতাকে সমাধিস্থ করে। এরা এরশাদের অধীনে নির্বাচনে না যাবার অঙ্গীকার করে এরশাদের সাথে মিলে চক্রান্তের মাধ্যমে ২৪ ঘন্টার মধ্যে সেই নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণা দিয়ে জনগণের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে। এরা তত্ত¡াবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য রক্তক্ষয়ী তাÐব চালিয়ে আবারো চক্রান্তের মাধ্যমে সেটিকে বাতিল করে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা নিরঙ্কুশ করে জনগণের সাথে প্রতারণা করেছে। সংবিধান ও গণতন্ত্রকে পাথরচাপা দিতে যারা ভূমিকা রেখেছিল সেই মঈনউদ্দিন-ফখরুদ্দিন এর সরকারকে তাদের আন্দোলনের ফসল হিসেবে উল্লেখ করে তাদের সাথে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে ২ নম্বর বাকশাল কায়েম করে। ’৭১ এবং এর পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহে পলায়ন ও আত্মসমর্পণের ইতিহাস শুধুই আওয়ামী লীগের। বর্তমান শাসকদল নির্দয়কর্তৃত্ত¡বাদী, কুৎসা রটনাকারী, মিথ্যুক। বিএনপি’র মুখপাত্র আওয়ামী নেতাদের উদ্দেশ্যে করে বলেন, বিএনপি নয়, ষড়যন্ত্র করছেন আপনারা। তার উপর আপনাদের সাথে আছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু সাহেব। সুতরাং ষড়যন্ত্রের ব্যাপকতা কত ভয়াবহ হতে পারে তা দেশবাসী প্রত্যক্ষ করছে।
রিজভী বলেন, কিভাবে দু:শাসনকে আরো দীর্ঘায়িত করা যায়, কিভাবে আরেকটি একদলীয় পাতানো নির্বাচন করে আবারো ক্ষমতায় আসা যায় সেই ষড়যন্ত্রেই লিপ্ত হয়েছে আওয়ামী লীগ। আর সেই কারণে সরকারের বিভিন্ন এজেন্সিগুলোকে মাঠে নামিয়ে মিথ্যা কল্পকাহিনী রচনা করে বিএনপি’র সিনিয়র নেতাদের নামে বদনাম ও কুৎসা রটানোর অপচেষ্টা করছে। এসব ষড়যন্ত্রমূলক রটনার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ৫ জানুয়ারীর মতো একতরফা নির্বাচন করা। তাতে কোন লাভ হবে না। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনেই আগামী সাধারণ নির্বাচন হবে। বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি ইস্পাতকঠিন মনোবলে ঐক্যবদ্ধ। কাজেই চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র-নীল নকশা করে আর পার পাওয়া যাবেনা। সংবাদ সম্মেলনে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, মুনির হোসেন প্রমূখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।